কোচবিহার, 25 এপ্রিল: দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে চান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই কারণে মঙ্গলবার থেকে তিনি শুরু করেছেন তৃণমূলের নবজোয়ার নামে একটি কর্মসূচি ৷ প্রথমদিনই সেই কর্মসূচি ঘিরে বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করল ৷ এদিন কোচবিহারের মাথাভাঙায় এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠিচার্জেরও অভিযোগ উঠেছে ৷
যেখানে এই ঘটনা ঘটে, সেখানেই মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধিবেশন বসার কথা ছিল ৷ সেখানেই তিনি স্থানীয় মানুষের মতামত নেবেন বলে জানা গিয়েছিল ৷ কিন্তু তার আগেই লাঠিচার্জের অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয় ৷ প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের ৷ শাসক দলের সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিশ লাঠিচার্জ করা হল, সেই প্রশ্ন তোলেন অনেকে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যেতে হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকে ৷ তিনি ক্ষুব্ধ কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন ৷
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল ? তৃণমূলের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, অভিষেকের নির্দেশেই প্রার্থী নির্বাচনে ব্যালট বাক্সে ভোট দিতে আসেন কোচবিহারের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতি, অঞ্চল কমিটি, ব্লক স্তরের তৃণমূলের কমিটির সদস্যরা । এই কর্মসূচি ঘিরে কড়া নজরদারি ছিল । কলেজ ময়দানের তাঁবু মঞ্চে যেতে হলে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ভোটারদের । দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা ।
এই অবস্থায় হঠাৎই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় । পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ । এক মহিলা তৃণমূল কর্মী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, তাঁর ওপর দিয়ে হুড়মুড়িয়ে লোকজন পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ । আহত হন মেখলিগঞ্জের এক তৃণমূল নেতা, মাথাভাঙা হাজরাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও । এর পরই বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা ।
দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকে তৃণমূলের নেত্রী মমতাজ বেগমের অভিযোগ, পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে । পুলিশ যেভাবে লাঠিচার্জ করেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না । পুলিশ নিজে নিজেরাই গেট বন্ধ করে দেয় । এরপর লাঠিচার্জ করে ৷ কয়েকজনকে লাথিও মারা হয়েছে ৷ পুলিশ গুলিও করতে পারত বলে তিনি অভিযোগ করেন ।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বার্তা দিয়ে অভিষেক মঞ্চ ছাড়তেই লুঠ তৃণমূলের গণভোটের ব্যালট বক্স!