কোচবিহার, 6 মে : তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণের পরই রাজ্য পুলিশে রদবদল হয়েছে ৷ নির্বাচনের ঠিক আগেই কোচবিহারের পুলিশ সুপারের পদ থেকে কে কান্নানকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন ৷ বদলে আনা হয়েছিল দেবাশিস ধরকে ৷ গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথের পরই ফের কোচবিহারের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হল কে কান্নানকে ৷
নির্বাচন চলাকালীন প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ'র তরফে দেবাশিসের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ ওঠে ৷ নির্বাচন চলাকালীন শীতলকুচির ঘটনায় তাঁর কেন্দ্রীয় বাহিনীর হয়ে কথা বলাকে ঘিরে বিস্তর জলঘোলাও হয় ৷ তারপর থেকেই তাঁর কাজের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ৷ সেই কারণেই কোচবিহারের পুলিশ সুপারের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মত ওয়াকিবহল মহলের ৷
উল্লেখ্য, গতকাল দুপুরে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে জেলার হিংসাত্মক পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের আর্জি জানিয়েছিলেন ৷ আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে অপসারণের ঘোষণা হয় ৷ যদিও এই বিষয়ে দেবাশিসের তরফে কোনও বিবৃতি মেলেনি ৷ আপাতত তাঁকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : ভোট মিটতেই পুরনো পদে বহাল বীরেন্দ্র ও জাভেদ শামিম, সরানো হল পূর্ব মেদিনীপুরের এডিএমকেও
এদিকে, রাজ্যে ভোট প্রক্রিয়ার শুরুতেই রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে বীরেন্দ্রকে এবং এডিজির (আইনশৃঙ্খলা) পদ থেকে জাভেদ শামিমকে অপসারিত করেছিল নির্বাচন কমিশন । তাঁদের পরিবর্তে দুই পদে বসানো হয়েছিল পি নীরজনয়ন ও জগমোহনকে । বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েই ডিজি ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) পদে অপসারিত দুই পুলিশ আধিকারিক ফিরিয়ে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।