শীতলকুচি (কোচবিহার), 26 মে: সুপারি গাছ কাটা নিয়ে বিবাদের জেরে প্রাণ গেল একজনের ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার শীতলকুচিতে ৷ অভিযোগ, ওই বিবাদের জেরে ভাইপোর হাতে খুন হয়েছেন কাকা ৷ শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের গোঁসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের খারিজা ধাপের চাত্রা গ্রামে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় শীতলকুচি থানার পুলিশ ৷
শীতলকুচি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছ’টা গ্রামের যুবক সেরাজুল মিয়াঁর সঙ্গে তাঁর কাকা আবেদ আলি মিয়াঁর বাড়ির পিছনে থাকা সুপারি গাছ কাটা নিয়ে তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয় । জানা গিয়েছে, সিরাজুল একটি মরা সুপারি গাছ কাটছিলেন ৷ সেই সময় তাঁর কাকা বাধা দেন । এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয় ৷ অভিযোগ, সেই সময় সেরাজুল তাঁর কাকার মাথায় কুড়ুল দিয়ে কোপ মারেন । ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান আবেদ আলি ৷ স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
মৃত ব্যক্তির ছেলে আব্দুল কালাম বলেন, ‘‘বাবা সুপারি গাছ কাটতে বাধা দেন । আমার জ্যাঠাতো ভাই তৈরি ছিল কোপ মারার জন্য । কুড়ুল দিয়ে কোপ মারে ।’’ পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভাইপোকে আটক করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।
পরে কোচবিহারের মাথাভাঙা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান, এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে অভিযুক্ত ও মৃত আবেদ আলি মিয়াঁর মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদ আগে থেকেই ছিল ৷ তা শুক্রবার সকালে সুপারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে চরমে পৌঁছায় ৷ তার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: বৌভাতের পরের দিনই জঙ্গলে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার যুবক