কোচবিহার, 7 জুন : দেশজুড়ে শেষ হয়েছে লকডাউন ৷ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে সকলে ৷ খুলছে দোকানপাট ৷ রাস্তায় রয়েছে গাড়িও ৷ কিন্তু, এখনও যেন লকডাউন রয়েছে কোচবিহারের যৌনপল্লিতে ৷ কোরোনা সংক্রমণ রুখতে মার্চের শেষ দেশজুড়ে শুরু লকডাউনের ৷ আর তার সঙ্গেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যৌনপল্লির রাস্তা ৷ দীর্ঘ দুই মাস পর লকডাউন উঠলেও যৌনপল্লি খোলার অনুমতি মেলেনি ৷ ফলে আর্থিক সংকটে কোচবিহারের যৌনকর্মীরা ৷
প্রথম প্রথম প্রশাসনের তরফে সাহায্য মিললেও সময়ের সঙ্গে সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ এদিকে কাজও বন্ধ ৷ রীতিমতো অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে যৌনপল্লির পরিবারগুলি ৷ তাঁদের বক্তব্য, যৌনপল্লির উপর থেকে লকডাউন তুলে তাঁদের ফের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক ৷ নাহলে তাঁদের পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন ৷
কোচবিহার শহরের ছয় নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে যৌনপল্লি ৷ এখানে 150 জন কাজ করেন ৷ এছাড়া, দিনহাটার যৌনপল্লিতে রয়েছেন 400 জন যৌনকর্মী ৷ তাঁদের মধ্যে 100জন বাইরে থেকে এসে এই যৌনপল্লিতে কাজ করতেন ৷ কিন্তু, কোরোনা রুখতে লকডাউন শুরু হতেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে বিপাকে তাঁরা ৷ লকডাউনের শুরুর দিকে পৌরসভা বা বিভিন্ন সংগঠন সহযোগিতা করলেও আর কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি ৷ এখন কীভাবে সংসার চালাবেন, কীভাবে খাবার জোগাড় করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা ৷
যৌনকর্মীরা বলছেন, কাজ বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে আসা যৌনকর্মীরা ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৷ কিন্তু, স্থানীয়রা পড়েছেন সমস্যায় ৷ নিজেরা কী খাবেন, আর ছেলেমেয়েদের কী খাওয়াবেন তা নিয়ে চিন্তায় তাঁরা ৷ দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, "পৌরসভার তরফে যৌনকর্মীদের জন্য চাল, আলু দেওয়া হয়েছে ৷ এরপর আরও কিছু সাহায্য লাগলে খোঁজ নিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"