কোচবিহার, 25 নভেম্বর: কুকুরে তার ছাগলকে কমড়েছে। রাগে 7টি কুকুরকে বিষ খাইয়ে মারার অভিযোগ ছাগলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কোচবিহার জেলার পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সত্যেন বর্মন। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার কোচবিহার 2 নম্বর ব্লকের ক্ষাপাইডাঙা এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে, কুকুর মারার অভিযোগে শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দা সত্যেন বর্মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসছেন পশুপ্রেমীরা।
এমন ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না পশুপ্রেমীরা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করায় পুলিশের উদ্যোগকে সাধুবাদও জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা ৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার এলাকার একটি কুকুর সত্যেন বর্মনের বাড়ির ছাগলকে কামড়ে দেয়। সেই রাগের বশবর্তি হয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়ে সত্যেন। ঘটনায় রাগে শুক্রবার রাতে কুকুর মারার পরিকল্পনা করে। খাবারের সঙ্গে বিষ দিয়ে রাখে। একে একে 7টি কুকুরকে বিষ খাইয়ে মেরে বলে অভিযোগ।
শনিবার সকালে এলাকায় ওই কুকুর গুলোর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপরেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। এরপর সত্যেন বর্মনকে গ্রেফতার করে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, "সত্যেন বর্মনের ছাগলকে কুকুর কামড়ে দেওয়ায় ও কয়েকটি কুকুরকে মেরে ফেলে। ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু'টি কুকুরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কোচবিহার 2 নম্বর ব্লকের ক্ষাপাইডাঙা এলাকায় রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি কুকুরের দেহ পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ভিড় জমায় আশেপাশের লোকজন। এরপর খবর পেয়ে পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে জানতে পারে স্থানীয় বাসিন্দা সত্যেন বর্মনের ছেলের ছাগলকে শুক্রবার এলাকার একটি কুকুর কামড়ে দিয়েছে। এরপরই অভিযুক্ত সত্যেন বর্মনকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাকে বিশেষ আদালতে তোলা হবে ৷
আরও পড়ুন: