কোচবিহার, 17 এপ্রিল: ছেলে ও পুত্রবধূর অত্যাচার থেকে বাঁচতে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন নব্বই ছুঁই ছুঁই এক বৃদ্ধা (Homeless old mother)। তুফানগঞ্জের ধলপল গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাটরামপুর এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
ওই বৃদ্ধার অভিযোগ, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ মাঝেমধ্যে তাঁকে মারধর করে। দিনকয়েক আগে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এখন প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। নিজের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বৃদ্ধা ৷
জানা গিয়েছে, ধলপল-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাটরামপুরের দ্রুপদী দাসের চার ছেলে ৷ স্বামী হরিচরণ দাস মারা গিয়েছেন ৷ এরপর ছেলেরা বিয়ে করে যে যার মত হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে দ্রুপদীদেবী ছোটো ছেলে গোষ্ঠ দাসের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন । তাঁর অভিযোগ, তিনি যে বার্ধক্যভাতা পান সেটাও ছেলে নিয়ে নেয় । এমতাবস্থায় কয়েক মাস যাবত ছোট ছেলে, ছেলের বউ বীনা দাস অকথ্য অত্যাচার শুরু করে ।
বিশেষ করে ছেলের বউয়ের অত্যাচার সীমাহীন বলে অভিযোগ। মাঝেমধ্যে মারধর করত । প্রতিবেশীা যাঁরা বাঁচাতে যেতেন, তাঁদের নামে কেস করার হুমকিও দিত ৷ একবার বৃদ্ধাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কয়েকবার এই নিয়ে গ্রামে সালিসি সভাও বসে। ইদানিং অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় এবং বৃদ্ধার ঘরে তালা মেরে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । এরপর থেকেই তিনি প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৷ এরপর এদিন বাধ্য হয়ে লাঠিতে ভর করে বৃদ্ধা থানায় হাজির হন অভিযোগ জানাতে। বৃদ্ধাকে এভাবে থানায় আসতে দেখে সকলেই হতবাক। তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।