কোচবিহার, 10 মে: নবদম্পতির হানিমুন কাটছে কোয়ারানটিন সেন্টারে । 5 মে শ্বশুরবাড়ি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থেকে দ্বিরাগমন সেরে কোচবিহারের দিনহাটা ফিরেই সোজা কোয়ারানটিনে সেন্টারে চলে যান তারা । আপাতত সরকারি আতিথেয়তায় সেখানেই তাঁদের হানিমুন কাটাতে হচ্ছে ।
দিনহাটা শহর সংলগ্ন পুঁটিমারি এলাকার যুবক সঞ্জয় মোদক (29) পেশায় ব্যবসায়ী । লকডাউনের আগে মার্চ মাসের শেষদিকে ময়নাগুড়ির তরুণী শিল্পীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর । বিয়ে জাঁকজমক ভাবে হলেও দ্বিরাগমনে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে লকডাউনের কারণে আটকে পড়েন দু'জনে । এরপর এক মাসের বেশি সময় শ্বশুরবাড়িতে কাটানোর পর গাড়ি ভাড়া করে দিনহাটায় নিজের বাড়িতে চলে আসেন দুজনে । কিন্তু যেহেতু অন্য জেলা থেকে এসেছেন তাই দিনহাটা থানায় বিষয়টি জানালে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় । সেখান থেকে সোজা কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ।
গত 5 মে থেকে ওই নবদম্পতি দিনহাটা পৌরসভার সামাজিক অনুষ্ঠান ভবনে গড়ে ওঠা কোয়ারাটিন সেন্টারে রয়েছেন । শনিবার তাদের দু'জনের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে । তবে বিয়ের পরপর এত অচেনা মানুষের মাঝে থাকতে বাধ্য হওয়ায় কিছুটা মন খারাপ ওই নবদম্পতির । তাঁদের বক্তব্য, এভাবে সবাইকে এক হলঘরে রাখার কোনও মানে হয় না । সঞ্জয় মোদক জানান, "কতদিন আর বাড়ি ঘর ছেড়ে নতুন শ্বশুরবাড়িতে থাকা যায় । কিন্তু এমনটা হবে আগে জানলে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতাম ।"