কোচবিহার, 4 মে : দুই মন্ত্রীসহ জেলা তৃণমূল সভাপতি পরাজিতের তালিকায় । হেরেছেন জেলার তৃণমূল যুব সভাপতিও । এর জেরে কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে কোচবিহার জেলা তৃণমুল । আর এতেই নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন । যখন গোটা রাজ্যে তৃণমূলের জয়জয়কার, তখন কোচবিহারে অধিকাংশ হেভিওয়েট নেতাই পরাজিত । ফলে জেলায় এখন তৃণমূলের খুব খারাপ অবস্থা ।
কোচবিহার জেলার ন’টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন তৃণমুল প্রার্থীরা । মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে পরেশচন্দ্র অধিকারী এবং সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া জয়ী হয়েছেন । পরাজিতদের তালিকায় রয়েছেন জেলার দুই প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী । নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন বিদায়ী মন্ত্রীসভার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ । কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রীসভার অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন । শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় । কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক পরাজিত হয়েছেন ।
আরও পড়ুন : গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই কোচবিহারে হারলেন কাকা-ভাইপো
কেন এই ফলাফল তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ । যদিও জেলার প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন,"কোচবিহারে ফল খারাপ হলেও রাজ্যে ফলাফল ভালো । আমরা জেলায় আবার ঘুরে দাঁড়াব ।"