কোচবিহার, 26 জুন : বিধানসভা নির্বাচনে আগে এবং পরবর্তী রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি । খুন, বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজির মতো একাধিক ঘটনা ঘটে ৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিন ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় আনন্দ বর্মন নামে এক যুবকের ৷ নির্বাচনের পর শীতলকুচিতে ধীরেন্দ্রনাথ বর্মনের মৃত্যু হয় । তাঁকে খুন করা হয়ে বলে অভিযোগ ওঠে । ভোট পরবর্তী হিংসায় শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর হয় । চলে বোমাবাজি । এবার ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে শীতলকুচিতে এলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের 6 সদস্যের প্রতিনিধি ।
এদিন শীতলকুচি এলাকার মৃত ধীরেন্দ্রনাথ বর্মনের বাড়ি যান এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন । মৃত আনন্দ বর্মনের বাড়ি গেলেও পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না । সেখানে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে ফিরে আসে 6 সদস্যের দল । ভাঙচুর হওয়া একাধিক বাড়ি পরিদর্শন করেন ৷ তাপস বর্মন, সুধীর বর্মনের বাড়িতে যান কমিশনের প্রতিনিধিরা । এরপর শীতলকুচির জয়দুয়ার গ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত মানিক মৈত্রের বাড়িতে যান ।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh : রাজ্যে ন্যায় না পেয়ে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যপাল : দিলীপ
এদিন, 6 জনের একটি দল বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শীতলকুচিতে আসেন । যদিও তাঁরা কেউ সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি হননি । প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ সেখানে কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন ৷ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ কুমার মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেন ৷ এরপরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের 6 সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসে ৷