কোচবিহার, 26 জুন: রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রতিমাসে বাংলার মহিলাদের দু'হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ আর এই বক্তব্যের একদিন পরই সোমবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শুভেন্দুকে 'নন্দলাল মিথ্যেবাদি' বলে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজ্যে সরকারের এলে দুই হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবে বিজেপি, শনিবার এমনি ঘোষণা শোনা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। যার পালটা এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অভিযোগ করে বলেন, "বিজেপি মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তিন হাজার করে দেবে।"
শুভেন্দু অধিকারীর নাম না-করে মমতা বলেন, "নন্দলাল আগে বিনে পয়সায় গ্যাস দাও ৷" এদিন কোচবিহারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে গেলেও আমাদের কোনও চিন্তা নেই আমাদের সরকার চলে যাবে না। আগামী দিনে যেগুলো বাকি আছে নিশ্চয়ই করব। কোনও জায়গায় জলের সমস্যা থাকলে বিডিও, জেলাশাসককে বলবেন। তারা জলের সমস্যার সমাধান করে দেবেন।" এদিন মমতা আরও বলেন, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কয়েক কোটি মানুষকে দিয়েছি। স্বাস্থ্যসাথী ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অনেক দিয়েছি। খাদ্যসাথী ন'কোটি, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড 54 হাজার দিয়েছি। দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠলেই ট্যাব দিয়েছি 27 লক্ষ আর কন্যাশ্রী 85 লক্ষ দিয়েছি। প্রচুর কাজ করেছি। আগামীতেও করব। বিজেপি মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছে। তিন হাজার করে দেব, 300 হাজার করে দেবে। তোমরা বলেছিলে উজ্জ্বলা গ্যাস দেবে বিনে পয়সায় তাও তো কেড়ে নিয়েছে। কী নন্দনাল বিনে পয়সার চাল ফুটছে এক হাজার 200 টাকায়।"
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি জানান, উজ্জ্বলা গ্যাস ফিরিয়ে দিতে হবে ৷ তারপর মিথ্যে কথা বলবেন। তিনি বলেন, "বলেছিল 15 লক্ষ টাকা ব্যাংকে দেবে ৷ এক পয়সাও দাওনি ৷ একমাত্র তৃণমূল যা বলে তাই করে। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন। সব পাবেন। যখনই আমাদের সুযোগ আসবে আমি করে দেব বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মাথা নত করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের প্রণাম করেন।"
আরও পড়ুন: 'আমি তোমাদেরই লোক', জলপাইগুড়ি সফরে গিয়ে দোকানে চা বানিয়ে পরিবেশন মমতার
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বাংলার বাড়ির টাকা না-দিলে বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে লড়াই হবে আগামিদিনে। আগামিদিনে দিল্লীতে নতুন সরকার হবে বলেও আশাবাদী মমতা ৷ আর সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "আমরা তখন টাকা নিয়ে আসব এবং আমরা বাংলার বাড়ি করে দেব। রাস্তার টাকা নেই তাও আমরা রাস্তা করছি। আমি দু'বছরে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেব। বিনে পয়সার রেশন দিচ্ছি। এক স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড করে দেব বলেছিলাম দিয়ে দিয়েছি। কৃষক বন্ধুদের টাকা দিয়েছি। দুয়ারে রেশন করে দিয়েছি। আগে নিয়ম ছিল 25 থেকে 60 বছর পর্যন্ত পরিবারের একজন পাবেন। এখন 25 বছর বয়স হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন।"