কোচবিহার, 31 জুলাই : কোরোনায় মৃত্যু সন্দেহে পুলিশকর্মীর বাবার মৃতদেহ দাহ করতে বাধা স্থানীয়দের । একের পর এক শ্মশানে ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা । কিন্তু ফিরতে হয় তাঁদের । কারণ প্রত্যেক শ্মশানেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা । তাদের দাবি, ওই দেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা যাবে না । এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় দিনহাটার বুড়িরহাট এবং সাহেবগঞ্জ এলাকায় । শেষে প্রশাসনের সহায়তায় রাত সাড়ে 12টায় পুলিশকর্মীর বাবার দেহ দাহ করা হয় । মৃতের কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে জানা যায়, তিনি পজ়িটিভ ছিলেন ।
বুড়িরহাটের বাসিন্দা ওই পুলিশকর্মী শিলিগুড়িতে কর্মরত । কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন । সেইসময় তাঁর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে । কোচবিহারের কোভিড হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে । পরবর্তীতে ওই পুলিশকর্মীর বাবা অসুস্থ হয়ে কোচবিহার মেডিকেলে ভরতি হন । বুধবার তাঁর মৃত্যু হয় ।
গতকাল ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর এলাকায় আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । আতঙ্কিত জনতা দিনভর একাধিক শ্মশানে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ দাহ করার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । দিনহাটার SDO ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা শবদেহ দাহ করতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায় । ফলে একাধিক শ্মশান ঘুরেও মৃত ব্যক্তির সৎকার করা সম্ভব হয়নি । শেষে প্রশাসনিক সহায়তায় একটি শ্মশানে রাত সাড়ে 12টায় ব্যক্তির মৃতদেহ দাহ হয় ।
এই বিষয়ে দিনহাটা -2 ব্লকের যুগ্ম ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বিপ্লবকুমার ঘোষ বলেন, "মৃত ব্যক্তির সৎকার নিয়ে একাধিক জায়গায় বাধা আসে । আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয় ।"
কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, বুধবার ওই ব্যক্তি মারা যান। এরপর তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । সমস্ত নিয়ম মেনেই মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে ৷