কোচবিহার, 27 অগস্ট : ভারতীয় সেনাবাহিনী, সিআইএসএফ, অসম রাইফেলস এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে ‘সশস্ত্র বিপ্লব’ ঘোষণা করল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) ৷ ‘সোনার কামতাপুর’ নামে একটি পোর্টালে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে ৷ তাতে হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে কেএলও-র যুগ্ম সম্পাদক পাভেল কোচকে ৷ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো ৷ আর তাতেই ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের কর্তাদের ৷ যদিও বিষয় বিষয়টি নিয়ে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা ৷ সূত্রের খবর, গোপন ডেরা থেকে এই হুমকি ভিডিয়ো রেকর্ড করে পাঠিয়েছেন পাভেল ৷
আরও পড়ুন : মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ভিডিয়ো বার্তা কেএলও প্রধান জীবন সিংহের
পাভেলের বক্তব্য, তাঁদের আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, সিআইএসএফ, অসম রাইফেলস এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ৷ কেএলও জঙ্গিদের দাবি, পৃথক রাষ্ট্র ৷ উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলা, অসমের ১৪টি জেলা, পশ্চিম গারো পাহাড়ের মেঘালয়, নেপালের তিনটি রাজ্য, বিহারের দু’টি জেলা এবং বাংলাদেশের রংপুর, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলা নিয়ে পৃথক কামতাপুর রাষ্ট্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আসছে কেএলও ৷ আর এই দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের নামে অনেক অশান্তির সাক্ষী থেকেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির বাসিন্দারা ৷ তবে এই মুহূর্তে কেএলও জঙ্গিরা অত্যন্ত সক্রিয় না হলেও নতুন করে তাদের ভিডিয়ো বার্তা চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের ৷
আরও পড়ুন : কেএলও সক্রিয় হতেই উত্তরের নিরাপত্তা নিয়ে শিলিগুড়িতে রাজ্য পুলিশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
পাভেলের দাবি, 1946 সালের আগে এই এলাকাগুলিতে বসবাসকারী বোরো, কোচ, রাজবংশী, মেচ, হিন্দু, মুসলমান সকলেই কামতাপুর রাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন ৷ কিন্তু এখন আর তাঁদের সেই পরিচয় নেই ৷ এঁদের নিয়েই নতুন করে কামতাপুর রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায় কেএলও ৷ কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিচ্ছে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী ৷ আর সেই রাগ থেকেই বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ‘সশস্ত্র বিপ্লব’ ঘোষণা বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি তৎপরতা শুরু হয়েছে অসমের প্রশাসনিক মহলেও ৷ নতুন করে এইসব এলাকায় কেএলও-র উত্থান হোক, তা চাইছে না প্রশাসনের কোনও অংশই ৷