কোচবিহার, 22 সেপ্টেম্বর: জেলার 1 হাজার 38টি স্কুলে নিউট্রিশন বাগানে এই সবজি চাষ করা হবে। প্রতি স্কুলের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলার সমস্ত স্কুল, এসএসকে, এমএসকে প্রধানদের চিঠি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই স্কুলগুলোর প্রতিনিধিদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে (Administration to Start Farming in Schools to Give Vegetables) । তবে চলতি মাসেই যাতে এই বাগানগুলোর কাজ শুরু করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
কোচবিহার জেলায় 250টিরও বেশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। এছাড়া 697টি এসএসকে ও 119টি এমএসকে রয়েছে। এই স্কুলগুলিতে সব মিলে কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা মিড-ডে মিলের আওতায় পড়েছে। মিড-ডে মিলের (Mid-Day Meal) খাবারের সাধারণত ভাত, ডাল, আলু-সয়াবিনের সবজি কিংবা ডিম করে থেকে। সবজি খুব বেশি হয় না। হলেও তা বাজার থেকে কেনা হয় যার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থাকে। তাই ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষাবাদের প্রতি যাতে আগ্রহী বাড়ে সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন কোচবিহারের সমস্ত স্কুলে (Mid-Day Meal in Cooch Behar) নিউট্রিশন বাগান তৈরি করতে চাইছে। জেলার 1 হাজার 38টি স্কুলের জন্য 5 হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সমর চন্দ্র মণ্ডল বলেন, "কোচবিহার জেলা প্রশাসনের তরফে স্কুলগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রথমে 104টি স্কুলকে মেন্টর করা হয়েছে। ওই মেন্টর স্কুলের প্রতিনিধিদের হর্টিকালচার ও এগ্রিকালচারের বিশেষজ্ঞর দিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর এক একটি মেন্টর স্কুলের প্রতিনিধিরা দশ-বারোটি স্কুলের প্রতিনিধিদের সেই প্রশিক্ষণ দেবেন।"
আরও পড়ুন: খেলতে খেলতে ভাতের থালায় পড়ে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মার শিক্ষকের
তিনি আরও বলেন, "গোটা প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া চলতি মাসে সম্পন্ন করা হবে এবং বাগান তৈরির কাজ যাতে এমাসেই শুরু করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলগুলোতে প্রথমে বাগান তৈরি করে বিশেষজ্ঞ শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হলেও সারা বছর তো বাগানে বিভিন্ন গাছের জল দেওয়া দেখভাল করা ছাত্র শিক্ষক বিশেষ করে পড়ুয়ারাই করবে। ওইসব ক্ষেতে সবুজ শাকসবজি, বাঁধাকপি, পালন, বেগুন, টম্যাটো চাষ করতে পারবে।"