ETV Bharat / state

পানীয় জলের সংকট, হাঁড়ি-বালি দিয়ে জলশোধন - villagers are suffering for drinking water in Choochbehar

দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছে কোচবিহারের সীমান্তের তিনটি গ্রাম ৷ অথচ দীর্ঘদিন ধরে জানিয়েও সরকারি তরফে মিলছে না কোনও সাহায্য ৷ অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷

ছবি
author img

By

Published : Nov 24, 2019, 1:40 PM IST

কোচবিহার, ২4 নভেম্বর : পানীয় জলের সংকটে কোচবিহারের সীমান্তে তিনটি গ্রাম ৷ পরিস্রুত পানীয় জল পেতে মাটির হাঁড়ি আর বালিকেই হাতিয়ার করে নিয়েছেন তিনটি গ্রামের প্রায় দেড়শো পরিবার ৷ বাকি কয়েকশো পরিবার পান করছেন বাড়িতে বসানো বিষাক্ত আয়রন মিশ্রিত নলকূপের পানীয় জল ৷ এমন চিত্র কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৷ দীর্ঘ চার বছর এইভাবে পানীয় জল সমস্যা নিয়ে জর্জরিত সীমান্তের এই তিনটি প্রত্যন্ত গ্রাম ৷ একাধিকবার , স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর , ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ব্লক প্রশাসন ৷ যার জেরে সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে নিজেরাই মাটির হাঁড়ি, বালি ও ছোটো ছোটো পাথর নিয়ে এক প্রাচীন পদ্ধতির মাধ্যমে জল পরিষ্কার করে পান করছেন ৷

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকার তাঁদের সমস্যার বিষয়ে কিছু করছে না ৷ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এবং ব্লক প্রশাসনের প্রতি তাদের চরম ক্ষোভ ৷ কেননা একাধিকবার জল সমস্যা নিয়ে আবেদন করলেও কেউ গ্রামে এসে একবারও দেখে যাননি তাঁরা কীভাবে আছেন ,কীভাবে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে দিনযাপন করছেন ৷

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, "অনেকদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছি ৷ গ্রামের নলকূপের জল পান করতে পারছি না , এতটাই আয়রন যে জল লাল রং হয়ে গেছে ৷ প্রায় দুই বছর আগে গ্রামে পাইপ লাইন বসায় সরকার ৷ কিন্তু, সেগুলো দিয়ে আমরা জল পাচ্ছি না ৷ বসানো পাইপ লাইন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ বাধ্য হয়ে মাটির হাঁড়ি ও বালি পাথর দিয়ে জল পরিস্রুত করার চেষ্টা করছি ৷ যদিও সেই জলও সম্পূর্ণ পরিস্রুত নয় ৷ এইভাবেই পান করছি ,আমরা চাই সরকার এই সমস্যায় পাশে আসুক ৷ "

ওই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মেখলিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ফুলতি রায় বলেন, "ওই তিন গ্রামের জল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি ৷ কোচবিহার জেলা পরিষদ অফিসেও জানিয়েছি ৷ ব্লক প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে ৷ "


অন্যদিকে, মেখলিগঞ্জ BDO-র সঙ্গে ইউডেন ভুটিয়ার কাছে পানীয় জল সমস্যার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছু বলতে চাননি ৷

কোচবিহার, ২4 নভেম্বর : পানীয় জলের সংকটে কোচবিহারের সীমান্তে তিনটি গ্রাম ৷ পরিস্রুত পানীয় জল পেতে মাটির হাঁড়ি আর বালিকেই হাতিয়ার করে নিয়েছেন তিনটি গ্রামের প্রায় দেড়শো পরিবার ৷ বাকি কয়েকশো পরিবার পান করছেন বাড়িতে বসানো বিষাক্ত আয়রন মিশ্রিত নলকূপের পানীয় জল ৷ এমন চিত্র কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৷ দীর্ঘ চার বছর এইভাবে পানীয় জল সমস্যা নিয়ে জর্জরিত সীমান্তের এই তিনটি প্রত্যন্ত গ্রাম ৷ একাধিকবার , স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর , ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ব্লক প্রশাসন ৷ যার জেরে সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে নিজেরাই মাটির হাঁড়ি, বালি ও ছোটো ছোটো পাথর নিয়ে এক প্রাচীন পদ্ধতির মাধ্যমে জল পরিষ্কার করে পান করছেন ৷

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকার তাঁদের সমস্যার বিষয়ে কিছু করছে না ৷ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এবং ব্লক প্রশাসনের প্রতি তাদের চরম ক্ষোভ ৷ কেননা একাধিকবার জল সমস্যা নিয়ে আবেদন করলেও কেউ গ্রামে এসে একবারও দেখে যাননি তাঁরা কীভাবে আছেন ,কীভাবে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে দিনযাপন করছেন ৷

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, "অনেকদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছি ৷ গ্রামের নলকূপের জল পান করতে পারছি না , এতটাই আয়রন যে জল লাল রং হয়ে গেছে ৷ প্রায় দুই বছর আগে গ্রামে পাইপ লাইন বসায় সরকার ৷ কিন্তু, সেগুলো দিয়ে আমরা জল পাচ্ছি না ৷ বসানো পাইপ লাইন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ বাধ্য হয়ে মাটির হাঁড়ি ও বালি পাথর দিয়ে জল পরিস্রুত করার চেষ্টা করছি ৷ যদিও সেই জলও সম্পূর্ণ পরিস্রুত নয় ৷ এইভাবেই পান করছি ,আমরা চাই সরকার এই সমস্যায় পাশে আসুক ৷ "

ওই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মেখলিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ফুলতি রায় বলেন, "ওই তিন গ্রামের জল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি ৷ কোচবিহার জেলা পরিষদ অফিসেও জানিয়েছি ৷ ব্লক প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে ৷ "


অন্যদিকে, মেখলিগঞ্জ BDO-র সঙ্গে ইউডেন ভুটিয়ার কাছে পানীয় জল সমস্যার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছু বলতে চাননি ৷

Intro:পানীয় জলের তীব্র সংকটে কোচবিহার সীমান্তের তিন গ্রাম। বাধ্য হয়ে হাঁড়ি -বালি দিয়ে জল শোধন।

কোচবিহার :২৩ নভেম্বর :

পানীয় জলের সংকটে কোচবিহারের সীমান্তে তিনটি গ্রাম ,পরিস্রুত পানীয় জল পেতে মাটির হাঁড়ি আর বালিকেই হাতিয়ার করে নিয়েছেন তিন গ্রামের দেড়শো পরিবার ৷ বাকী কয়েকশ পরিবার পান করছেন বাড়িতে বসানো বিষাক্ত আয়রন মিশ্রিত নলকূপের পানীয় জল ৷ এমন চিত্র কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভারত -বাংলাদেশ সীমান্তের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সরকার পাড়া ,বসাক পাড়া ,রায় পাড়া র কয়েকশো মানুষের৷ দীর্ঘ চার বছর ধড়ে এভাবে পানীয় জল সমস্যা নিয়ে জর্জরিত এই তিনটি সীমান্তের প্রত্যন্ত গ্রাম ৷ একাধিকবার ,স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর ,ব্লক প্রশাসনের দারস্থ হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি ব্লক প্রশাসন ৷ যাঁর জেরে সরকারের প্রতি আস্থা হাড়িয়ে নিজেরাই মাটির হাঁড়ি এবং বালি ,ছোট ছোট পাথর নিয়ে এক প্রাচীন পদ্ধতির মাধ্যমে জল পরিষ্কার করে পান করছেন বাসিন্দারা ৷ ঐ ছোট ছোট তিনটি গ্রামের প্রায় দেড়শো পরিবার পরিস্রুত পানীয়ে জলের জন্য হাহাকার করছে ৷ তারা চান দ্রুত সরকার পদক্ষেপ নিক ,না হলে তারা এভাবে কত দিন চলবে ?৷

গ্রামবাসিদের অভিযোগ ,সরকার তাদের সমস্যা বিষয়ে কিছূ করছে না ,স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এবং ব্লক প্রশাসনের প্রতি তাদের চরম ক্ষোভ ,কেননা একাধিকবার জল সমস্যা নিয়ে আবেদন করলেও কেউ গ্রামে এসে একবারও দেখে যাননি তারা কিভাবে আছেন ,কিভাবে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে দিন যাপন করছেন ৷

গ্রামবাসিদের মধ্যে পান্ডে সরকার ,অজয় রায়দের অভিযোগ" অনেক বছর ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন তারা ৷ গ্রামের নলকূপের জল পান করতে পারছেন না ,এতটাই আয়রন যে জল লাল রং নিয়েছে ৷প্রায় দুই বছর আগে গ্রামে পাইপ লাইন বসায় সরকার ,কিন্তু ,সেগুলো দিয়ে কেউই জল পাচ্ছে না ,বসানো পাইপ লাইন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ বাধ্য হয়ে মাটির হাঁড়ি ও বালি পাথর দিয়ে জল পরিস্রুত করার চেষ্টা করছি ,যদিও সেই জন সম্পূর্ণ পরিস্রুত নয় ,ঐভাবেই পান করছি ,আমরা চাই সরকার এই সমস্যায় পাশে আসুক ৷ "


ঐ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মেখলিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদেস্যা ফুলতি রায় জানান "ওই তিন গ্রামের জল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি ,কোচবিহার জেলা পরিষদ দপ্তরে জানিয়েছি ,ব্লক প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে ৷ "

অন্যদিকে ,মেখলিগঞ্জ বিডিও সাঙ্গে ইউডেন ভুটিয়া জানান পানীয়জল সমস্যার বিষয়ে কিছূ জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছূ বলতে চাননি ৷Body:COB Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.