কোচবিহার, ২4 নভেম্বর : পানীয় জলের সংকটে কোচবিহারের সীমান্তে তিনটি গ্রাম ৷ পরিস্রুত পানীয় জল পেতে মাটির হাঁড়ি আর বালিকেই হাতিয়ার করে নিয়েছেন তিনটি গ্রামের প্রায় দেড়শো পরিবার ৷ বাকি কয়েকশো পরিবার পান করছেন বাড়িতে বসানো বিষাক্ত আয়রন মিশ্রিত নলকূপের পানীয় জল ৷ এমন চিত্র কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৷ দীর্ঘ চার বছর এইভাবে পানীয় জল সমস্যা নিয়ে জর্জরিত সীমান্তের এই তিনটি প্রত্যন্ত গ্রাম ৷ একাধিকবার , স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর , ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ব্লক প্রশাসন ৷ যার জেরে সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে নিজেরাই মাটির হাঁড়ি, বালি ও ছোটো ছোটো পাথর নিয়ে এক প্রাচীন পদ্ধতির মাধ্যমে জল পরিষ্কার করে পান করছেন ৷
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকার তাঁদের সমস্যার বিষয়ে কিছু করছে না ৷ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এবং ব্লক প্রশাসনের প্রতি তাদের চরম ক্ষোভ ৷ কেননা একাধিকবার জল সমস্যা নিয়ে আবেদন করলেও কেউ গ্রামে এসে একবারও দেখে যাননি তাঁরা কীভাবে আছেন ,কীভাবে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে দিনযাপন করছেন ৷
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, "অনেকদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছি ৷ গ্রামের নলকূপের জল পান করতে পারছি না , এতটাই আয়রন যে জল লাল রং হয়ে গেছে ৷ প্রায় দুই বছর আগে গ্রামে পাইপ লাইন বসায় সরকার ৷ কিন্তু, সেগুলো দিয়ে আমরা জল পাচ্ছি না ৷ বসানো পাইপ লাইন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ বাধ্য হয়ে মাটির হাঁড়ি ও বালি পাথর দিয়ে জল পরিস্রুত করার চেষ্টা করছি ৷ যদিও সেই জলও সম্পূর্ণ পরিস্রুত নয় ৷ এইভাবেই পান করছি ,আমরা চাই সরকার এই সমস্যায় পাশে আসুক ৷ "
ওই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মেখলিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ফুলতি রায় বলেন, "ওই তিন গ্রামের জল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি ৷ কোচবিহার জেলা পরিষদ অফিসেও জানিয়েছি ৷ ব্লক প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে ৷ "
অন্যদিকে, মেখলিগঞ্জ BDO-র সঙ্গে ইউডেন ভুটিয়ার কাছে পানীয় জল সমস্যার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছু বলতে চাননি ৷