ETV Bharat / state

কোরোনা পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্বের রাজ‍্যে যাচ্ছে না মেখলা-আনারকলি, সমস্যায় ব্যবসায়ীরা - কোরোনার প্রভাব তাঁত শিল্পে

কোরোনার প্রভাব পড়েছে সব ক্ষেত্রেই । সরকারি, বেসরকারি, ক্ষুদ্র, ছোটো, মাঝারি শিল্প, বাদ যায়নি কিছুই । প্রভাব পড়েছে তাঁত শিল্পেও । লকডাউনের জেরে উত্তর-পূর্বের রাজ‍্যে যায়নি মেখলা-আনারকলি । আনলকেও একই অবস্থা । সমস্যায় তাঁত ব্যবসায়ীরা ।

Coochbehar
উত্তর-পূর্বের রাজ‍্যে যাচ্ছে না মেখলা-আনারকলি
author img

By

Published : Jul 31, 2020, 9:25 PM IST

কোচবিহার, 31 জুলাই : ঘুম ভাঙলেই খটখট শব্দ । দিনরাত কাজ চলছে তাঁত ঘরে । একদিকে তাঁত বোনার ব্যস্ততা, অন্যদিকে তা রপ্তানি করার ব্যস্ততা । দুই মিলিয়ে দম ফেলারও সময় থাকে না শিল্পী থেকে ব্যবসায়ী সকলে । পুজোর আগে তো এই ব্যস্ততা চরমে ওঠে । কার্যত নাওয়া-খাওয়া ভুলে বছরের বাকি দিনগুলোর কাজও অনেকটা এগিয়ে রাখেন তাঁরা । এই ছবিটাই পরিচিত কোচবিহারের দিনহাটার তাঁত পাড়ায় । কিন্তু ছবিটা পালটায় লকডাউনের শুরু থেকে । আর পাঁচটা ব্যবসার মতো ক্ষতির মুখে পড়ে তাঁত ব্যবসায়ও । শুরুতে কোনওমতে কয়েকটা কাজ হলেও পরে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় । আনলকে কাজ শুরু হলেও সেভাবে স্বাভাবিক হয়নি কিছু । ফলে রীতিমতো সমস্যায় শিল্পীরা । একই পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদেরও । তাঁদের কথায়, সংসার চালাতে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । এভাবে চললে কী হবে জানা নেই ।

কোরোনার প্রভাব পড়েছে সব ক্ষেত্রেই । সরকারি, বেসরকারি, ক্ষুদ্র, ছোটো, মাঝারি শিল্প, বাদ যায়নি কিছুই । প্রভাব পড়েছে তাঁত শিল্পেও । একদিনে তিন মাস লকডাউন, তার উপর আনলকে বাড়ছে সংক্রমণ । ফলে ক্রেতার সংখ্যা নেই বললেই চলে । ক্রেতা নেই, রপ্তানিও বন্ধ, রীতিমতো সমস্যায় তাঁত শিল্পীরা । কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার তাঁত শিল্পীদের অনেকেরই কথায়, অসমসহ উত্তর-পূর্ব রাজ‍্যে যাচ্ছে না মেখলা, আনারকলি , দোকনা । বানিয়ে ফেলে রেখে দিতে হচ্ছে । না হয় তো বানানোই হচ্ছে না । চলছে না সংসার । কীভাবে আগামী দিন কাটবে, কী পরিস্থিতি আসতে চলেছে জানা নেই ।

Coochbehar
কোরোনার জেরে সমস্যায় আর্থিক ক্ষতির মুখে তাঁত শিল্পীরা

পরিসংখ্যান বলছে, আগে যেখানে প্রতি মাসে আট থেকে দশ লাখ টাকার জিনিস রপ্তানি হত, এখন সেটা একেবারেই কমে গেছে । উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির ব্যবসায়ীরা আনলকের পর থেকে সেভাবে উৎসাহও দেখাচ্ছেন না বলেও মত অনেকের । ফলে রাজ্যের কিছু এলাকা বাদে সেভাবে ব্যবসা চলছে না । কিন্তু সংসার চালাতে হবে, তাই কার্যত জোর করেই কাজ করছেন শিল্পীরা । মাত্র একটি শিফটেই এক, দু'টো শাড়ি তৈরি হচ্ছে রোজ । বানাচ্ছেন তাঁত বা হ্যান্ডলুমের শাড়িও ।

Coochbehar
বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে যন্ত্র

এ বিষয়ে তাঁত শিল্পী যতীন বর্মণ বলেন, "এখন তো চলেই না ব্যবসা । কাজই হয় না । একটা-দু'টো করে হচ্ছে তবু । সংসার তো চলছিল না । আমরাই মালিককে চাপ দিয়ে কাজ শুরু করেছি ।" তাঁত শিল্পী বিশু দেবনাথ বলেন, "তিনমাস বন্ধ ছিল সব । এখন টুকটাক কাজ হচ্ছে । কোনওদিন কাজ হয়, কোনওদিন হয় না । এইভাবে সংসার চলে না । আমাদের খুবই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ।"

Coochbehar
দিনে একটা-দু'টো করে কাজ করছেন শিল্পীরা

তাঁত শিল্পী প্রিয়নাথ বর্মণ আবার বলেন, "তিন মাস তো একদম বসেইছিলাম । লকডাউন উঠে যেতে ফের কাজ শুরু হয় । কিন্তু কোরোনা পরিস্থিতিতে তো আর সেভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না । একটু আধটু কাজ হচ্ছে । এর জন্য আর্থিকভাবে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে ।"

কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে তাঁত শিল্পীরা

ক্রেতা নেই, ব্যবসার অবস্থা ভালো নয় । একই কথা বলছেন তাঁতমিলের মালিকরাও । দিনহাটার এক তাঁতমিলের মালিক দিলীপ রায়ের কথায়, ক্রেতাই নেই তো, বিক্রি নেই । ফলে উৎপাদনও বন্ধ । লকডাউনের জেরে তো অসমেও মেঘলা পাঠাতে পারছি না ।

কোচবিহার, 31 জুলাই : ঘুম ভাঙলেই খটখট শব্দ । দিনরাত কাজ চলছে তাঁত ঘরে । একদিকে তাঁত বোনার ব্যস্ততা, অন্যদিকে তা রপ্তানি করার ব্যস্ততা । দুই মিলিয়ে দম ফেলারও সময় থাকে না শিল্পী থেকে ব্যবসায়ী সকলে । পুজোর আগে তো এই ব্যস্ততা চরমে ওঠে । কার্যত নাওয়া-খাওয়া ভুলে বছরের বাকি দিনগুলোর কাজও অনেকটা এগিয়ে রাখেন তাঁরা । এই ছবিটাই পরিচিত কোচবিহারের দিনহাটার তাঁত পাড়ায় । কিন্তু ছবিটা পালটায় লকডাউনের শুরু থেকে । আর পাঁচটা ব্যবসার মতো ক্ষতির মুখে পড়ে তাঁত ব্যবসায়ও । শুরুতে কোনওমতে কয়েকটা কাজ হলেও পরে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় । আনলকে কাজ শুরু হলেও সেভাবে স্বাভাবিক হয়নি কিছু । ফলে রীতিমতো সমস্যায় শিল্পীরা । একই পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদেরও । তাঁদের কথায়, সংসার চালাতে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । এভাবে চললে কী হবে জানা নেই ।

কোরোনার প্রভাব পড়েছে সব ক্ষেত্রেই । সরকারি, বেসরকারি, ক্ষুদ্র, ছোটো, মাঝারি শিল্প, বাদ যায়নি কিছুই । প্রভাব পড়েছে তাঁত শিল্পেও । একদিনে তিন মাস লকডাউন, তার উপর আনলকে বাড়ছে সংক্রমণ । ফলে ক্রেতার সংখ্যা নেই বললেই চলে । ক্রেতা নেই, রপ্তানিও বন্ধ, রীতিমতো সমস্যায় তাঁত শিল্পীরা । কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার তাঁত শিল্পীদের অনেকেরই কথায়, অসমসহ উত্তর-পূর্ব রাজ‍্যে যাচ্ছে না মেখলা, আনারকলি , দোকনা । বানিয়ে ফেলে রেখে দিতে হচ্ছে । না হয় তো বানানোই হচ্ছে না । চলছে না সংসার । কীভাবে আগামী দিন কাটবে, কী পরিস্থিতি আসতে চলেছে জানা নেই ।

Coochbehar
কোরোনার জেরে সমস্যায় আর্থিক ক্ষতির মুখে তাঁত শিল্পীরা

পরিসংখ্যান বলছে, আগে যেখানে প্রতি মাসে আট থেকে দশ লাখ টাকার জিনিস রপ্তানি হত, এখন সেটা একেবারেই কমে গেছে । উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির ব্যবসায়ীরা আনলকের পর থেকে সেভাবে উৎসাহও দেখাচ্ছেন না বলেও মত অনেকের । ফলে রাজ্যের কিছু এলাকা বাদে সেভাবে ব্যবসা চলছে না । কিন্তু সংসার চালাতে হবে, তাই কার্যত জোর করেই কাজ করছেন শিল্পীরা । মাত্র একটি শিফটেই এক, দু'টো শাড়ি তৈরি হচ্ছে রোজ । বানাচ্ছেন তাঁত বা হ্যান্ডলুমের শাড়িও ।

Coochbehar
বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে যন্ত্র

এ বিষয়ে তাঁত শিল্পী যতীন বর্মণ বলেন, "এখন তো চলেই না ব্যবসা । কাজই হয় না । একটা-দু'টো করে হচ্ছে তবু । সংসার তো চলছিল না । আমরাই মালিককে চাপ দিয়ে কাজ শুরু করেছি ।" তাঁত শিল্পী বিশু দেবনাথ বলেন, "তিনমাস বন্ধ ছিল সব । এখন টুকটাক কাজ হচ্ছে । কোনওদিন কাজ হয়, কোনওদিন হয় না । এইভাবে সংসার চলে না । আমাদের খুবই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ।"

Coochbehar
দিনে একটা-দু'টো করে কাজ করছেন শিল্পীরা

তাঁত শিল্পী প্রিয়নাথ বর্মণ আবার বলেন, "তিন মাস তো একদম বসেইছিলাম । লকডাউন উঠে যেতে ফের কাজ শুরু হয় । কিন্তু কোরোনা পরিস্থিতিতে তো আর সেভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না । একটু আধটু কাজ হচ্ছে । এর জন্য আর্থিকভাবে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে ।"

কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে তাঁত শিল্পীরা

ক্রেতা নেই, ব্যবসার অবস্থা ভালো নয় । একই কথা বলছেন তাঁতমিলের মালিকরাও । দিনহাটার এক তাঁতমিলের মালিক দিলীপ রায়ের কথায়, ক্রেতাই নেই তো, বিক্রি নেই । ফলে উৎপাদনও বন্ধ । লকডাউনের জেরে তো অসমেও মেঘলা পাঠাতে পারছি না ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.