কোচবিহার, 5 জুন: পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে স্ত্রী'কে খুন ৷ স্বামীর বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ মৃতার পরিবারের সদস্যদের ৷ মৃতার নাম সুচিত্রা বর্মন ৷ রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের উচুলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় খালেরবাড়ি এলাকায়। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী সুবল বর্মন ৷ তাদের দুটি কন্যা-সন্তান আছে ৷
জানা গিয়েছে, সুবল কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকত ৷ মাঝে মাঝে স্ত্রী-র সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুরবাড়ি আসত ৷ কয়েকদিন আগেই ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থকে বের হয়েছিল সুবল ৷ শনিবার সন্ধ্যায় ফিরলেও তিনি শ্বশুরবাড়ি বাড়ি না-গিয়ে পাশের পাট ক্ষেতের মধ্যে লুকিয়েছিলেন ৷ অভিযোগ, মধ্যরাতে ওই মহিলা শৌচাগারের যেতে গেলে তাঁর উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় সুবল বর্মন ৷ বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে সুচিত্রাকে কোপায় অভিযুক্ত ৷
মেয়ের গলার আওয়াজ পেয়েই ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে আসেন সুচিত্রার মা ও বোন ৷ প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে জামালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জলপাইগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর ।
আরও পড়ুন: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুনের 'সুপারি' স্বামীর, গ্রেফতার তিন
স্থানীয় বাসিন্দা সুবল বর্মনের সঙ্গে সুচিত্রা বর্মনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তাঁরা পালিয়ে বিয়েও করেন। কিন্তু সুবল সন্দেহ বাতিক হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হামেশাই পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত বলে অভিযোগ সুচিত্রার আত্মীয়দের। সেই সন্দেহ ক্রমশই বাড়তে থাকছিল ৷ মাঝে মধ্যে দু’জনের মধ্যে অশান্তি বড় আকার নিত। ফলে বেশ কিছু দিন ধরে দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে বসবাস শুরু করেছিলেন সুচিত্রা। কাছেই নিজেদের বাড়িও তৈরি করছিলেন সুচিত্রা। কিন্তু দাম্পত্য কলহ থামেনি । ঘটনা প্রসঙ্গে, কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান, সুবল বর্মন নামে একজন তার স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে মেরেছেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক পলাতক। ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে । অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে ।