কোচবিহার, 3 নভেম্বর: কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়িতে জিসিপিএ (GCPA) কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সভা করলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মণ (GCPA leader Bangshibadan Barman organised a meeting with party workers)। সেই সভায় কর্মীদের সংগঠনে কর্মসূচি ও আগামী কর্মসূচির বার্তা দেন তিনি। একটা সময় ছিল যখন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মণের ডাকে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়েছিল। বুধবার মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ির নালারটারি গ্রামে দলের কর্মীসভায় আসেন বংশীবদন বর্মণ।
দলের একাংশ বংশীবদন বর্মনের তৃণমূল প্রীতি মেনে নিতে পারছে না অনেকেই। তাই এদিনে সভায় কম লোক হয়েছে। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিলেন। এমনকী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ আলাদা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনকারীদের হাটু ভেঙে দেওয়ার নিদান দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যর শাসকদল তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন জিসিপিএ (GCPA)-এর নেতৃত্ব, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় আলাদা রাজ্যের দাবি বিরূদ্ধে বার্তা দিচ্ছেন। এতে আলাদা রাজ্যর দাবির এই পরিস্থিতিতেও বংশী বদন তৃণমূলের প্রতি দূরত্ব বজায় রাখেননি। এমন প্রশ্ন করছেন জিসিপিএ (GCPA) এর বেশ কিছু সমর্থক। জিসিপিএ (GCPA) দলেরই কিছু নেতৃত্ব দাবি করছেন যেখানে মূল দাবি, আলাদা রাজ্যর সেখানে তৃণমূলের সমর্থন থেকে আদৌ দাবির প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন দাঁড়ায় ৷ জিসিপিএ (GCPA)-এর কিছু পক্ষের দাবি তাঁদের মূল দাবি পূরণ এভাবে সম্ভব নয় তাই, সরিয়ে এসেছেন বংশীবদন বর্মনের নেতৃত্ব থেকে।
আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধে থানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
বেশ কিছুদিন আগে আলাদা করে একটি কমিটিও গঠিত হয়েছে কোচবিহারে। এদিন কর্মীসভায় এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে বংশীবদন বর্মণের বক্তব্য, 'মুখ্যমন্ত্রী আমাদের 200টি স্কুল ও নারায়ণি ব্যাটেলিয়ান দিতে চেয়েছে। যার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের ভূমিপুত্রদের জন্য যারাই কাজ করবে তাদেরকেই সমর্থন করব আমরা।' এদিন সভা শেষে আলাদা রাজ্যের দাবি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে বংশীবদন বর্মণ বলেন, 'যতদিন আলাদা রাজ্য হবে না ততদিন আন্দোলন জারি থাকবে।' এদিন বংশীবদন কর্মিসভা করার ডাক দিয়ে বুথে বুথে নতুন কমিটি গঠন করার কথা বলেন। তাঁর দাবি বুথ স্তরে কমিটি গঠন করে ভারত ভুক্তি চুক্তি অনুসারে বৃহত্তর কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে জোরদার আন্দোলন চলবে।