কোচবিহার, 4 ডিসেম্বর: কোচবিহারে এই প্রথম বন্যপ্রাণ দত্তক ৷ রসিকবিল মিনি জু থেকে ফিশিং ক্যাট দত্তক নিলেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী রেশমি দাস ভট্টাচার্য । সোমবার সকালে তাঁরা তুফানগঞ্জের রসিকবিল মিনি জু'তে যান । সেখানে দু'বছরের বেশি সময় ধরে থাকা ফিশিং ক্যাটকে আনুষ্ঠানিকভাবে এক বছরের জন্য দত্তক নেন দম্পতি ।
দত্তকের বিষয়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, "এদিন আমি ও আমার স্ত্রী রসিকবিল মিনি জু'তে একটি ফিশিং ক্যাট দত্তক নিয়েছি । এর আগেও একাধিক জায়গায় আমরা বন্যপ্রাণ দত্তক নিয়েছি । আমরা চাই সবাই এই কাজে এগিয়ে আসুক । বন্যপ্রাণীদের দত্তক নিক ।" বন দফতরের কোচবিহার ডিভিশনের এ ডি এফ ও বিজন নাথ বলেন, "কোচবিহারের পুলিশ সুপার ও তার স্ত্রী একটি ফিশিং ক্যাট এক বছরের জন্য দত্তক নিয়েছেন । কোচবিহারে এ ধরণের ঘটনা এই প্রথম । ওই প্রাণীটির এক বছরের খাবার ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাবদ 30 হাজার টাকা দিয়েছেন তাঁরা । এ দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দম্পতির হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে ।"
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকবছর ধরেই এ রাজ্যে বন্যপ্রাণ দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । কেউ দত্তক নিতে চাইলে ওই প্রাণীটির রক্ষণাবেক্ষণ ও খাবার খরচের টাকা বন দফতরের হাতে তুলে দিতে হবে । যতদিনের জন্য দত্তক নিতে চান সেই হিসাবে টাকা দিতে হবে । তারপর বনদফতরের পক্ষ থেকে দত্তক নেওয়া ব্যক্তির হাতে একটি এ বিষয়ক শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে । জানা গিয়েছে, চিতাবাঘ দত্তক নিতে মাসে 10 হাজার টাকা, ঘড়িয়ালের জন্য দেড় হাজার টাকা, ইন্ডিয়ান রক পাইথনের জন্য এক হাজার টাকা,স্পটেড ডিয়ারের জন্য এক হাজার টাকা দিতে হয় । এর আগে আলিপুর-সহ রাজ্যের অন্যান্য চিড়িয়াখানায় এই দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ তবে কোচবিহারে এই প্রথম ।
আরও পড়ুন: