কোচবিহার, ৪ মার্চ: কোচবিহার পৌরসভার জয়ী ৩ নির্দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। দলের টিকিট না পেয়ে কোচবিহার শহরের পাঁচটি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার মধ্যে তিনটিতেই জয়ী হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই আবার দলের শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ। ফলে জয়ী নির্দলদের কি এবার তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে ? এ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে কোচবিহার জেলার শাসকদলের অন্দরে।
যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, এবিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে। কোচবিহার পৌরসভায় ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বিগত বোর্ডের কাউন্সিলরদের টিকিট দেয়নি তৃণমুল। টিকিট না পেয়ে তাঁরা নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। এদের মধ্যে ছিলেন কোচবিহার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি উজ্জ্বল তর। তিনি তার মা মিনা তরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে জয়ী হন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভূষণ সিং যিনি বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান ও পরে বিজেপি ত্যাগ করেন ৷ তিনিও টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। জয়ের পর তিনিও কি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন?
আরও পড়ুন: কোচবিহারে খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি, ক্ষোভ দলের অন্দরে
এ প্রসঙ্গে ভূষণ সিং বলেন, ‘‘সময় কথা বলবে।’’ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর শুভ্রাংশু সাহাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং তৃণমূল প্রার্থীকে হারান। এই তিনটি ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীরা জিতলেও বাকি দু'জন নির্দল প্রার্থীরা জিততে পারেননি। বুধবার পৌরসভা নির্বাচনের ফল গণনা শেষে শহরজুড়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তাহলে কি এবার এই নির্দল প্রার্থীদের দল ফিরিয়ে নেবে?
এদিন প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে ভিকট্রি সাইন দেখিয়ে মিছিলে হাঁটতে দেখা গিয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী উজ্জ্বল তরকে। তবে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘নির্দলদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে।’’