কোচবিহার, 1ডিসেম্বর: শেষ হয়েছে কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা (cooch-behar-municipality-earn-1-corer-from-rash-mela) ৷ 8 নভেম্বর থেকে প্রায় 20 দিন চলে এই মেলা ৷ পৌরসভার দাবি, এবার এই মেলায় কেনাবেচা হয়েছে 200 কেটি টাকার ৷ একই সঙ্গে পৌরসভা জানিয়েছে, এই মেলা থেকে এবার 1 কোটির বেশি টাকা আয় করেছে পৌরসভা। 20দিন ধরে চলা রাসমেলায় কয়েক হাজার দোকান, সার্কাস ও বিভিন্ন ধরনের নাগরদোলা বসেছিল ৷ মেলা পরিচালনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খরচ বাদ দিয়ে অন্তত পৌরসভার হাতে প্রায় 30 লক্ষ টাকা থাকবে। খবর পৌরসভা সূত্রে ৷
আরও পড়ুন: বারুইপুরে শুরু ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা, এবারের চমক আফ্রিকান ডায়মন্ড সার্কাস
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘এবার রাসমেলা থেকে আমাদের 1কোটির বেশি টাকা আয় হয়েছে। যদিও চূড়ান্ত হিসাব এখনো শেষ হয়নি। পাশাপাশি রাসমেলা উপলক্ষে পৌরসভার বিপুল টাকা খরচ হয়েছে। সেই সমস্ত খরচ মেটানোর পর পৌরসভার কোষাগারে প্রায় 30 লক্ষ টাকা থাকবে ৷’’
মদনমোহনের রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে কোচবিহারে যে রাসমেলা অনুষ্ঠিত হয়, তা উত্তরপূর্ব ভারতের বৃহত্তম মেলা। বিগত কয়েকবছর 15 দিন ধরে মেলা হলেও এবার 20 দিনের মেলা হয়েছে। গত 8 নভেম্বর থেকে এই মেলা শুরু হয়। দু’বছর কোভিডের কারণে রাসমেলা হয়নি। ফলে এবার রাসমেলা ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। এই মেলায় এরাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে দোকানীরা পসরা নিয়ে যেমন হাজির হয়েছেন, তেমনি ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা এসেছেন। বাংলাদেশ থেকেও গুড়, ইলিশ মাছ, ঢাকাই জামদানি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে কয়েক হাজার দোকান বসেছিল। পৌরসভার দাবি এবারের মেলায় অন্তত 200 কোটি টাকার কেনাবেচা হয়েছে। গত 27 নভেম্বর মেলা শেষ হয়েছে ৷ এখন ভাঙা মেলা চলছে। সেখানেও বহু মানুষ কেনাকাটা করছে। এরইমধ্যে চলছে হিসেবের পালা। পাশাপাশি রাসমালাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে।