কোচবিহার, 11 সেপ্টেম্বর: কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়িতে গুলি চলার অভিযোগ ৷ রবিবার রাতের সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির ৷ পুণ্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন মহিষবাথান এলাকায় 17 নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনায় সুশীলচন্দ্র দাসের (42) মৃত্যু হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মহিষবাথানের পার্শ্ববর্তী খারিজা কাকরিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মৃত ওই ব্যক্তি ৷ তিনি পেশায় জমি ব্যবসায়ী বলে পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে ৷ স্থানীয়রা তাঁকে জাতীয় সড়কের পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ৷ কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ? তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন মহিষবাথান এলাকায় 17 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর সুশীলচন্দ্র দাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা ৷ প্রথমে পথ দুর্ঘটনা ভেবে তাঁরা সুশীলচন্দ্র দাসকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যায় ৷ তাঁকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ৷ এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷ খবর পেয়ে পুলিশ নার্সিংহোম থেকে দেহ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷
আজ সকালে ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ এবং ডিএসপি হেডকোয়ার্টার চন্দন দাস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ৷ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালায় পুলিশ ৷ স্থানীয়দের দাবি, রাত দশটার পর বিকট একটি শব্দ পায় তারা ৷ প্রথমে পথ দুর্ঘটনা বলেই ভেবেছিল সকলে ৷ কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘‘অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে সুশীলচন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি আমরা ৷ কারা এই ঘটনায় জড়িত ? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷’’
আরও পড়ুন: দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ কিশোর, বাবার বিরুদ্ধে গুলি চালনার অভিযোগ
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, জমির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সুশীলচন্দ্র দাস ৷ গতকাল রাতে রাজারহাট এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ সেই সময়ই তাঁর উপর হামলা চলে বলে অনুমান পুলিশের ৷ তবে, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে ব্যবসায়িক নাকি, ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে ? তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷