কোচবিহার, 23 ফেব্রুয়ারি: বিজেপির বুথ সেক্রেটারির তরমুজ ক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙার পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাট খাটেরবাড়ি এলাকায় । সুবল দাস নামে ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসায় বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছিল তাঁর । নিজেকে বাঁচানোর জন্য দীর্ঘদিন বাড়ি ছাড়া ছিলেন তিনি । এরপর বাড়ি ফিরে এসে ধার দেনা করে মানসাই নদীর চরে তরমুজ চাষ করার পরিকল্পনা নেন । কিন্তু শুরুতেই শাসকদল তৃণমূলের লোকজন চাষের কাজে বাধা দিয়েছিল (BJP worker accuses Trinamool of destroying watermelon field) ।
তৃণমূলের সেই বাধা উপেক্ষা করে এরপরও তরমুজ চাষ করেন সুবল । আর কয়েকদিন গেলেই তরমুজের ফলন আসবে । কিন্তু, সব যেন বিপরীত হয়ে গেল । তাঁর অভিযোগ, তিনি বিজেপি করেন বলেই তরমুজ ক্ষেত নষ্ট করেছে শাসকদল তৃণমূলের কর্মীরা । রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছেন তিনি । বৃহস্পতিবার সুবিচারের আশায় মাথাভাঙ্গা থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হন সুবল । যদিও, তাদের বিরূদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মাথাভাঙা পচাগর অঞ্চল সাধারণ সম্পাদক কামাখ্যা বর্মন বলেন "যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন । তৃণমূলের লোকজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন । মানুষের রুজি রুটিতে হাত দেয় না তৃণমূল । এটা বিজেপি দলের নিজেদেরেই কোন্দল ৷" এই বিষয়ে বিজেপির মাথাভাঙা 8/9 মন্ডল সভাপতি শেখর রায় জানান, শাসকদলের লোকজন এর আগেও ওই বিজেপি কর্মীর উপর নানাভাবে অত্যাচার করেছে । ভোট পরবর্তী হিংসায় তাঁর বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছিল । বাড়ি ছাড়া ছিলেন তিনি । বাড়ি ফিরে তরমুজ চাষ করছিলেন । কিন্তু সুবলের জমির ফসল নষ্ট করেছে তৃণমূল কর্মীরা । তিনি বলেন, "আমরা চাই প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক ।"
আরও পড়ুন: জাল গুটিয়ে অপরাধীদের ধরা হচ্ছে, কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপের