কোচবিহার, 8 এপ্রিল: কোচবিহারের 1 নম্বর ব্লকের হাড়িভাঙায় দু'টি বাইসনের তাণ্ডবে মৃত্যু হয়েছে 1 গ্রামবাসীর । আহত হয়েছেন আরও 4 জন। শনিবার সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে । মৃতের নাম বীরেন বর্মন। আহতরা কোচবিহার মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল সাতটা নাগাদ ভুট্টা ক্ষেত থেকে এলাকায় হঠৎই একটি বাইসন বেরিয়ে আসে। তারপরে বাইসনটি ভুট্টা ক্ষেতে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি এলাকার আশে পাশের বাড়িতেও ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট করতে শুরু করে । এরপরেই বাইসনের তাণ্ডব মৃত্যু হয়েছে বীরেন বর্মন নামে এক বাসিন্দার। মৃতের ভাই অলোক বর্মন বলেন, "সকালে নিজের দাদা বাড়ির পিছনে বাগানে ফুল তুলতে গিয়েছিলেন। । আচমকাই তিনি পিছনে ঘুরে দেখেন বাইসনটি দাঁড়িয়ে । ভয়ে তিনি দৌড়াতে শুরু করলে বাইসনটিও তাঁকে তাড়া করে । এরপরেই বাইসন পিছন থেকে গুঁতো মারলে ছিটকে পড়েন তিনি। হাসপাতালে দাদাকে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।"
আরও পড়ুন: মোটরভ্যানে ধাক্কা লরির, জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনায় মৃত 2
এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বনদফতরের কর্মীরা । কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টায় বাইসন দুটোকে ট্রাঙ্কুলাইজ করেন। দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান কোচবিহারের এডিএফও বিজন নাথ ও এনবিএসটিসি-এর চেয়ারম্যান পার্থপ্রতীম রায়। এডিএফও বিজন নাথ বলেন, "বাইসনদুটিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করা গিয়েছে। পাতলাখাওয়া কিংবা জলদাপাড়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। মৃত ব্যাক্তির পরিবারকে 5 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি যাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।"
এনবিএসটিসি চেয়ারম্যান পার্থপ্রতীম রায় বলেন, "খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এদিন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললাম।" প্রসঙ্গত দিনকয়েক আগেই ঘোকসাডাঙায় বাইসনের তাণ্ডবে একাধিক ব্যাক্তি জখম হয়েছিলেন। পাতলাখাওয়া জঙ্গল থেকেও বহুবার বাইসন এলাকায় বেরিয়ে এসেছিল। বারবার একই ঘটনা ঘটতে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। প্রশ্ন উঠেছে বনদফতরের ভূমিকা নিয়েও।