কোচবিহার, 14 এপ্রিল : কোলে 45 দিনের শিশুকে নিয়ে মাথাভাঙা হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে এসেছিলেন মণিরুজ্জামনের স্ত্রী আয়লা খাতুন ৷ সেখানেই ছিল মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সভা ৷ কাছে যেতেই আয়লার হাত থেকে বাচ্চাটিকে সস্নেহে কোলে তুলে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ শিশুর মাথায় নিজের কপাল ঠেকালেন ৷ আর তাতেই কিছুটা বল পেলেন সদ্য স্বামীহারা, ভবিষ্যতের চিন্তায় দিশেহারা নিহত মণিরুজ্জামানের স্ত্রী ৷ বললেন, "দিদি আমার বাচ্চাকে কোলে তুলে নিলেন ৷ এতে সাহস পেলাম ৷ আশ্বস্ত হলাম ৷"
চতুর্থ দফার ভোটের বলি মণিরুজ্জামান ৷ ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে মৃত পাঁচজনের মধ্যে একজন ৷ মাসখানেক আগে মণিরুজ্জামান-আয়লার পরিবারের আসে ফুটফুটে সন্তান ৷ স্বামী, সংসার নিয়ে সুখে ঘর করার স্বপ্নটা এক ঝটকায় ভেঙে গিয়েছে এক লহমায় ৷ সন্তানের আসন্ন ভবিষ্যতের চিন্তা কুরেকুরে খাচ্ছে মণিরুজ্জামানের স্ত্রীকে ৷ সেদিনের ঘটনায় মৃত সামিয়ুলের পরিবারও উপস্থিত ছিল ৷ সামিয়ুলের এক বছরের মেয়েকে কাছে টেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ প্রতিটি পরিবারকে পাশে থাকার আশ্বাস দেন ৷ ভোটের পরে ফের আসবেন বলে জানান ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মৃতদের প্রত্যেক পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে প্রাথমিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে ৷ নির্বাচনের পরেও তাদের পাশে থাকা হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে আশ্বস্ত মৃতদের পরিবারের সদস্যরাও ।
আরও পড়ুন : শীতলকুচিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ মমতার
মাথাভাঙার হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করার ব্যবস্থা করা হয় ৷ বিশেষ হেলিকপ্টারে সাড়ে এগারোটা নাগাদ নামেন তিনি । এরপর নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন । মঞ্চে উঠে মৃত পাঁচজনের নামে শহিদ বেদি তৈরি করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷