মাথাভাঙা (কোচবিহার), 28 জানুয়ারি: বিএসএফ-এর গুলিতে জখম বাংলাদেশি গরুপাচারকারী ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা-1 ব্লকের বৈরাগীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চোঙ্গার খাতা খাগড়িবাড়ি এলাকায় ৷ বিএসএএফ বাধা দিলে তাঁদের উপরে হামলা চালানো হয় ৷ পালটা প্রতিরোধে গুলি চালায় বিএসএফ (Bangladeshi Cow Smuggler Injured in BSF Firing) ৷ সেই গুলি এক পাচারকারীর পায়ে লাগে ৷
জানা গিয়েছে, চোঙ্গারখাতা খাগড়িবাড়ির সীমান্তবর্তী এলাকায় পাচারের উদ্দেশে জমায়েত হয়েছিল একদল গরুপাচারকারী ৷ বিষয়টি বিএসএফ-এর নজরে এলে, তাঁরা বাধা দেয় ৷ বিএসএফ-এর কাছ থেকে বাধা পেয়ে পালটা আক্রমণের চেষ্টা করে পাচারকারীরা ৷ বিএসএফ সূত্রে খবর, সেই সময় পালটা বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালায় ৷ সেই গুলি একজন পাচারকারীর পায়ে লাগে বলে জানা গিয়েছে ৷
আহত ওই পাচারকারীর নাম মহম্মদ আলম (30), বাংলাদেশের লালমণিহাটের বাসিন্দা । আহত ওই পাচারকারীকে উদ্ধার করে প্রথমে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখান থেকে তাঁকে চিকিৎসকরা কোচবিহারে স্থানান্তরিত করার কথা জানান ৷ বর্তমানে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আহত ওই বাংলাদেশি চোরাচালানকারী ৷
জখম ওই পাচারকারী মহম্মদ আলম বিএসএফ-কে জানিয়েছেন, এবারই প্রথম পাচারের কাজে ভারতে এসেছিলেন তিনি ৷ প্রতি গরু পিছু পাচারের জন্য 5000 টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল তাঁকে ৷ কোচবিহারের বক্সিরহাট থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত 400 কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ৷ দীর্ঘ এই সীমান্তের অধিকাংশ এলাকাতেই কাঁটাতারে বেড়া রয়েছে ৷ কিন্তু, নদী ও সীমান্তের সমস্যার কারণে কিছু কিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই ৷ আর সেই সুযোগে কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম হওয়ায় বাংলাদেশে গরুপাচার করছিল ওই পাচারকারী ৷
আরও পড়ুন: হামলা উপেক্ষা করে মাদক পাচারে মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতীকে ধরল বিএসএফ
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে দিনহাটার সিতাই ও গিতালদহ সীমান্তে গরুপাচার করার সময়, বিএসএফ এর সঙ্গে পাচারকারীদের সংঘর্ষ হয় ৷ সেই ঘটনায় একাধিক পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছিল ৷ এদের মধ্যে 2 জন ভারতীয় ছিল ৷ যা নিয়ে বিএসএফ-কে পালটা নিশানা করেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ৷ এনিয়ে বিধানসভাতেও সরব হয়েছিলেন মন্ত্রী ৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে আন্তর্জাতিক সীমান্তে 50 কিলোমিটার পর্যন্ত বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের আওতায় নিয়ে এসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ যার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারকারীদের কাজে সমস্যা বেড়েছে ৷ ফলে এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে ৷