কোচবিহার, 1 এপ্রিল: বীরভূমের বগটুই কাণ্ডের (Bagtui massacre) পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিতেই তৎপর জেলা পুলিশ । জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে (Arms recovery increased at Coochbihar)। গত দু'সপ্তাহে 5টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল । আর এতেই রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি জেনেশুনেই পুলিশ চুপচাপ ছিল । যদিও এ নিয়ে পুলিশ কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি ।
গত 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই দিনহাটা মহকুমা-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বোমা-বন্দুকের ব্যাপক ব্যবহার হতে থাকে । প্রায় প্রতি রাতেই বোমাবাজি ও বন্দুক চালানোর মতো ঘটনা ঘটে । পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বোমা, বন্দুক উদ্ধার হলেও কিছুদিন পর তা থেমে যায় । কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই দিনহাটা মহকুমায় ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটছে ।
মাসখানেক আগে দিনহাটা (Coochbihar news) শহরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন দিনহাটা পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিঠু দাসের স্বামী তাপস দাস । এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও বিজেপি আবার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ এনেছে । তার আগে দিনহাটা-1 ব্লকের গীতালদহে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে । এ ছাড়া দিনহাটার ওকড়াবাড়িতেও বন্দুক তৈরির ছোটখাটো কারখানা উদ্ধার করে জেলা পুলিশ ।
এ সবের মধ্যেই সম্প্রতি বীরভূমের বগটুই গ্রামের ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে বোমা ও বন্দুক উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এর পরই আরও তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ । কোন কোন এলাকায় কাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারে, এ সবের তালিকা তৈরি করে অভিযানে নামে । এরপরই জেলার দিনহাটা, সিতাই ও তুফানগঞ্জ থেকে 5টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় ।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre : বগটুইয়ের হপ্তা পার, হত্যালীলার পর কীভাবে কাটল 7 দিন ?