কোচবিহার, 12 জুন : কোরোনা সংক্রমণের আতঙ্কে কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক, নার্স সহ 15 জনকে পাঠানো হল হোম কোয়ারানটিনে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল দু-মাসের এক শিশু। বর্তমানে তাকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিকালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে ওই শিশুর কোরোনার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। সেই খবর পেয়েই কোচবিহার মেডিকেলে থাকাকালীন ওই শিশুর যারা সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন 15 জনকে হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হল।
কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল ডা: রাজীব প্রসাদ বলেন, শিশুটির শরীরে কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই সবরকমের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। শিশুটিকে মেডিকেলের যে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল সেই ওয়ার্ড বৃহস্পতিবারই স্যানিটাইজ় করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সপ্তাহখানেক আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে 52 দিনের ওই শিশুকে কোচবিহার মেডিকেলে ভরতি করা হয়। এরপর কয়েকদিন আগে তাকে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে রেফার করা হয় । সেখানে গতকাল তার রিপোর্ট পজিটি়ভ আসে। শিশুটির বাবার রিপোর্টও পজিটি়ভ এসেছে। তবে তার মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ। বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। ওই শিশুটির চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা চিকিৎসক, নার্স সহ 15 জনকে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে কোচবিহারে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। ফলে কোরোনা সংক্রমণ যাতে কোচবিহার মেডিকেল কলেজে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য গতকালই হাসপাতালে ইনফেকশন কন্ট্রোল কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্যের এই কমিটি হাসপাতালে কোরোনা মোকাবিলায় সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে। এরপরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর কোরোনা সংক্রমণ ধরা পরার পড়তেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় কমিটি।