ETV Bharat / state

ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো সোয়াইন ফ্লু আসলে কী ? - kolkata

দেশে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই এই অবস্থায় সোয়াইন ফ্লু আসলে কী ? কীভাবে ঘটে সংক্রমণ ? চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের উপায় কী? এসব বিষয়ে জানিয়েছেন কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রাক্তন অধিকর্তা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অমিয়কুমার হাটি।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Apr 4, 2019, 1:25 PM IST

কলকাতা, 4 এপ্রিল: বেলেঘাটা ID হাসপাতালে এখন প্রতিদিন গড়ে 5-6 জন সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের চিকিৎসা হয়। সোয়াইন ফ্লু সন্দেহে এখানে অনেকই আসেন। এছাড়াও শহরের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেও সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। তবুও চলতি বছরে এই রোগে আক্রন্তেরমৃত্যুএড়ানো যায়নি। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মতই সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়বে বই কমবে না।

এবিষয়ে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রাক্তন অধিকর্তা ডাঃ অমিয়কুমার হাটির সঙ্গে কথা বলেছেন ETV ভারতের প্রতিনিধি।

ETV ভারত : সোয়াইন ফ্লু আসলে কী ?

অমিয়কুমার হাটি : সোয়াইন ফ্লু আসলে একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। H1N1 ভাইরাস। 2009 সালে মেক্সিকোয় প্রথমে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছিল। মাত্র 5-6 মাসের মধ্যে 168টি দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত হয়েছিলেন 2 লাখের মত মানুষ। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় দু'হাজার মানুষের। শূকরের শ্বাসনালীর ভাইরাস(এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস), পাখির ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ও মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের রিকম্বিনেশন এবং মিউটেশন থেকে এই সোয়াইন ফ্লুর উৎপত্তি হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথমে শূকরের শ্বাসনালীর ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসের সঙ্গে পাখির ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাস মেশে। এর সঙ্গে মেশে মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাস। এই তিন ভাইরাসের সংযুক্তি এবং পরে পরিব্যাপ্তির ফলে H1N1 ভাইরাস তৈরি হয়। একে সোয়াইন ফ্লু বলা হয়েও শূকর থেকে এখন আর এটা সংক্রামিত হয় না। এই ভাইরাস এখন মানুষের শ্বাসনালীতে বাসা বাঁধে‌। এখন এটা একজন মানুষ থেকে আর একজনের মধ্যে ছড়ায়। শূকর এখন আর ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী নয়। এই ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রকেই আক্রান্ত করে বেশি। তার পরে শরীরের অন্য বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।

ETV ভারত : কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই সংক্রমণ ?

অমিয়কুমার হাটি : প্রত্যক্ষভাবে এই সংক্রমণ ছড়ায় হাঁচি-কাশি থেকে। রোগীদের থেকে ছড়াতে পারে এই সংক্রমণ। যাদের সংক্রমণ হয়েছে অথচ হাঁচি-কাশি ছাড়া তাদের কারও তেমন কিছু হয় না, তাঁদের থেকেও এই রোগ ছড়ায়। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যে ভাইরাস বেরিয়ে আসে, সেগুলি এক মিটার পর্যন্ত ছড়াতে পারে। এই সময় শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে কারও শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাস।

ETV ভারত : পরোক্ষভাবে কীভাবে ছড়ায় এই সংক্রমণ ?

অমিয়কুমার হাটি : রোগীর যখন হাঁচি-কাশি হচ্ছে তখন তাঁর শরীরের ভাইরাস কোনও খেলনা বা মাটিতে গিয়ে লাগে। কেউ যদি সেখানে হাত দেন এবং তারপর সেই হাত যদি মুখে বা নাকে যায়, তাহলে তার ফলে শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হতে পারে।

ETV ভারত : সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন সোয়াইন ফ্লু হয়েছে ? উপসর্গ কী ?


অমিয়কুমার হাটি : মুশকিলটা হল কেউ কেউ আছেন যাঁদের মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। অথচ তাঁদের কিন্তু সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু, তাঁদের তেমন কিছুই হয় না। শুধুমাত্র সামান্য হাঁচি-কাশি হয়। তারপর তা সেরেও যায়। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তাঁরা এই ভাইরাস ছড়াতে পারেন। এছাড়া আরও এক ধরনের হয়, সেটা হল ইনফ্লুয়েঞ্জা। জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা হয়। কেউ কেউ বমি করেন। কারোর পায়খানা হয়। সোয়াইন ফ্লু-র এই উপসর্গগুলিও দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কারোর আবার শ্বাসকষ্ট হয়, মুখ নীলচে হয়ে যায়, নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা দেয়, ফুসফুস আক্রান্ত হয়। সেখান থেকে অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হৃদয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভয়ঙ্কর এই অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যায়।


ETV ভারত : কীভাবে রোগনির্ণয় সম্ভব ?

অমিয়কুমার হাটি : যখন কোনও স্থানে সোয়াইন ফ্লু হয়, সোয়াইন ফ্লু-র সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনও ব্যক্তির যদি উপসর্গগুলি দেখা যায়, তা হলে মনে করতে হবে তাঁর সোয়াইন ফ্লু হতে পারে। আর যদি সোয়াইন ফ্লু এলাকা থেকে কোনও ব্যক্তি আসেন, কিছদিন পর যদি তাঁর মধ্যে এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়, তা হলে ধরে নিতে হবে তাঁর সংক্রমণ হয়েছে। আসলে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাটা খুব প্রয়োজন। ল্যাবরেটরিতেই H1N1 নির্ণয় সম্ভব।


ETV ভারত : এই রোগের চিকিৎসা কী ?

অমিয়কুমার হাটি : প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে চিকিৎসা আছে। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধও আছে। সেই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে।

ETV ভারত : সোয়াইন ফ্লুতে প্রাণহানি হতে পারে ?

অমিয়কুমার হাটি : দু'ধরনের রোগী দেখতে পাওয়া যায়। এক ধরনের রোগীর কিছু হয় না। সাধারণ সর্দি-কাশিতে ভোগেন। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো হয়। কিন্তু ঝুঁকি থেকে যায় শিশুদের, বয়স্কদের ও গর্ভবতীদের। যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট কিংবা কিডনির অসুখ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও বেশি ঝুঁকি থাকে।


ETV ভারত : সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধের উপায় ?

অমিয়কুমার হাটি : কোনও এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ হলে সেই এলাকায় মানুষকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। টিকা দিলে এই অসুখ আর হয় না। টিকা একবারই নিতে হয়। ১৫ দিনের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি হয় শরীরে। বিশেষ করে শিশুদের এবং বয়স্কদের এই টিকার আওতায় আনা যেতে পারে। এটা একটি স্বাস্থ্য প্রকল্পের মধ্য দিয়ে করা যেতে পারে‌। তবে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেই নড়বড়ে। এর মধ্যে সোয়াইন ফ্লু এসেছে নতুন করে। 2009-এ ভারতে প্রবেশ করেছিল সোয়াইন ফ্লু। তখনই আমরা বলার চেষ্টা করেছিলাম যে ঠিক সময়মত যদি এটা আটকানো না যায় তা হলে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া মতই সোয়াইন ফ্লুও দেশের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কলকাতা, 4 এপ্রিল: বেলেঘাটা ID হাসপাতালে এখন প্রতিদিন গড়ে 5-6 জন সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের চিকিৎসা হয়। সোয়াইন ফ্লু সন্দেহে এখানে অনেকই আসেন। এছাড়াও শহরের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেও সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। তবুও চলতি বছরে এই রোগে আক্রন্তেরমৃত্যুএড়ানো যায়নি। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মতই সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়বে বই কমবে না।

এবিষয়ে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রাক্তন অধিকর্তা ডাঃ অমিয়কুমার হাটির সঙ্গে কথা বলেছেন ETV ভারতের প্রতিনিধি।

ETV ভারত : সোয়াইন ফ্লু আসলে কী ?

অমিয়কুমার হাটি : সোয়াইন ফ্লু আসলে একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। H1N1 ভাইরাস। 2009 সালে মেক্সিকোয় প্রথমে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছিল। মাত্র 5-6 মাসের মধ্যে 168টি দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত হয়েছিলেন 2 লাখের মত মানুষ। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় দু'হাজার মানুষের। শূকরের শ্বাসনালীর ভাইরাস(এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস), পাখির ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ও মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের রিকম্বিনেশন এবং মিউটেশন থেকে এই সোয়াইন ফ্লুর উৎপত্তি হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথমে শূকরের শ্বাসনালীর ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসের সঙ্গে পাখির ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাস মেশে। এর সঙ্গে মেশে মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাস। এই তিন ভাইরাসের সংযুক্তি এবং পরে পরিব্যাপ্তির ফলে H1N1 ভাইরাস তৈরি হয়। একে সোয়াইন ফ্লু বলা হয়েও শূকর থেকে এখন আর এটা সংক্রামিত হয় না। এই ভাইরাস এখন মানুষের শ্বাসনালীতে বাসা বাঁধে‌। এখন এটা একজন মানুষ থেকে আর একজনের মধ্যে ছড়ায়। শূকর এখন আর ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী নয়। এই ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রকেই আক্রান্ত করে বেশি। তার পরে শরীরের অন্য বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।

ETV ভারত : কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই সংক্রমণ ?

অমিয়কুমার হাটি : প্রত্যক্ষভাবে এই সংক্রমণ ছড়ায় হাঁচি-কাশি থেকে। রোগীদের থেকে ছড়াতে পারে এই সংক্রমণ। যাদের সংক্রমণ হয়েছে অথচ হাঁচি-কাশি ছাড়া তাদের কারও তেমন কিছু হয় না, তাঁদের থেকেও এই রোগ ছড়ায়। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যে ভাইরাস বেরিয়ে আসে, সেগুলি এক মিটার পর্যন্ত ছড়াতে পারে। এই সময় শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে কারও শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাস।

ETV ভারত : পরোক্ষভাবে কীভাবে ছড়ায় এই সংক্রমণ ?

অমিয়কুমার হাটি : রোগীর যখন হাঁচি-কাশি হচ্ছে তখন তাঁর শরীরের ভাইরাস কোনও খেলনা বা মাটিতে গিয়ে লাগে। কেউ যদি সেখানে হাত দেন এবং তারপর সেই হাত যদি মুখে বা নাকে যায়, তাহলে তার ফলে শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হতে পারে।

ETV ভারত : সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন সোয়াইন ফ্লু হয়েছে ? উপসর্গ কী ?


অমিয়কুমার হাটি : মুশকিলটা হল কেউ কেউ আছেন যাঁদের মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। অথচ তাঁদের কিন্তু সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু, তাঁদের তেমন কিছুই হয় না। শুধুমাত্র সামান্য হাঁচি-কাশি হয়। তারপর তা সেরেও যায়। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তাঁরা এই ভাইরাস ছড়াতে পারেন। এছাড়া আরও এক ধরনের হয়, সেটা হল ইনফ্লুয়েঞ্জা। জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা হয়। কেউ কেউ বমি করেন। কারোর পায়খানা হয়। সোয়াইন ফ্লু-র এই উপসর্গগুলিও দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কারোর আবার শ্বাসকষ্ট হয়, মুখ নীলচে হয়ে যায়, নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা দেয়, ফুসফুস আক্রান্ত হয়। সেখান থেকে অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হৃদয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভয়ঙ্কর এই অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যায়।


ETV ভারত : কীভাবে রোগনির্ণয় সম্ভব ?

অমিয়কুমার হাটি : যখন কোনও স্থানে সোয়াইন ফ্লু হয়, সোয়াইন ফ্লু-র সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনও ব্যক্তির যদি উপসর্গগুলি দেখা যায়, তা হলে মনে করতে হবে তাঁর সোয়াইন ফ্লু হতে পারে। আর যদি সোয়াইন ফ্লু এলাকা থেকে কোনও ব্যক্তি আসেন, কিছদিন পর যদি তাঁর মধ্যে এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়, তা হলে ধরে নিতে হবে তাঁর সংক্রমণ হয়েছে। আসলে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাটা খুব প্রয়োজন। ল্যাবরেটরিতেই H1N1 নির্ণয় সম্ভব।


ETV ভারত : এই রোগের চিকিৎসা কী ?

অমিয়কুমার হাটি : প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে চিকিৎসা আছে। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধও আছে। সেই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে।

ETV ভারত : সোয়াইন ফ্লুতে প্রাণহানি হতে পারে ?

অমিয়কুমার হাটি : দু'ধরনের রোগী দেখতে পাওয়া যায়। এক ধরনের রোগীর কিছু হয় না। সাধারণ সর্দি-কাশিতে ভোগেন। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো হয়। কিন্তু ঝুঁকি থেকে যায় শিশুদের, বয়স্কদের ও গর্ভবতীদের। যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট কিংবা কিডনির অসুখ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও বেশি ঝুঁকি থাকে।


ETV ভারত : সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধের উপায় ?

অমিয়কুমার হাটি : কোনও এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ হলে সেই এলাকায় মানুষকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। টিকা দিলে এই অসুখ আর হয় না। টিকা একবারই নিতে হয়। ১৫ দিনের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি হয় শরীরে। বিশেষ করে শিশুদের এবং বয়স্কদের এই টিকার আওতায় আনা যেতে পারে। এটা একটি স্বাস্থ্য প্রকল্পের মধ্য দিয়ে করা যেতে পারে‌। তবে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেই নড়বড়ে। এর মধ্যে সোয়াইন ফ্লু এসেছে নতুন করে। 2009-এ ভারতে প্রবেশ করেছিল সোয়াইন ফ্লু। তখনই আমরা বলার চেষ্টা করেছিলাম যে ঠিক সময়মত যদি এটা আটকানো না যায় তা হলে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া মতই সোয়াইন ফ্লুও দেশের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.