কলকাতা, 5 এপ্রিল: সংখ্যাটা নেহাত কম ছিল না। সন্দেহের তালিকায় ছিল 20 হাজারেরও বেশি "ট্রাবল মঙ্গার"(ভোটে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন ব্যক্তি)। কমিশনের নির্দেশ ছিল, শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে ওইসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সূত্রের খবর, তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের তরফে সম্প্রতি কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে "ট্রাবল মঙ্গার"-এর সংখ্যাটা শূন্যে নেমে এসেছে। নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকেও এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে রাজ্যে আসে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। সব জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেদিন ধর্মতলার সবকটি পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার, ADG-র আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে ফুলবেঞ্চের সদস্যরা বৈঠক হয়। সেখানে পুলিশকে ভোটে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে এমন ব্যক্তিদের একটি তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দাওয়াই বাতলে ছিল নির্বাচন কমিশন।
কী সেই দাওয়াই?
প্রাথমিকভাবে "ট্রাবল মঙ্গার"-দের সতর্ক করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। বলা হয়, মুচলেকা লিখিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
কমিশনের নির্দেশ মত, রাজ্য পুলিশ "ট্রাবল মঙ্গার"-দের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করে দেয়। সংখ্যাটা দাঁড়ায় 20 হাজারেরও বেশি। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই পুলিশের সেই কাজ শুরু হয়ে যায়। সূত্রের খবর, উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছিলেন। রাজ্য পুলিশের তরফে ADG (আইনশৃঙ্খলা) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা জানান, এখনও "ট্রাবল মঙ্গার"-দের সংখ্যা 18 হাজারের বেশি। তাতে খুব একটা খুশি হননি উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। সংখ্যাটি সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় (2 হাজারের কিছু বেশি)। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানেও 2 হাজারের বেশি সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি চিহ্নিত হয়েছিল। উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার দ্রুত ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ জেন। তারপর দ্রুত কাজ শুরু করে পুলিশ।