ETV Bharat / state

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মতলায় জমায়েত, SSK-MSK শিক্ষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের

পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের মতো কাজ করেন । তাই তাঁদের হারে বেতন দিতে হবে । এই দাবিতে রানি রাসমণি রোডে 1000-র বেশি SSK ও MSK শিক্ষক-শিক্ষিকার । অভিযোগ, জমায়েতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে ।

ধর্মতলায় জমায়েত
author img

By

Published : Jul 6, 2019, 4:27 AM IST

Updated : Jul 6, 2019, 7:47 AM IST

কলকাতা, 6 জুলাই : পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের মতো বেতন দিতে হবে । এই দাবিতে রানি রাসমণি রোডে জমায়েত হন 1000-র বেশি SSK (শিশু শিক্ষা কেন্দ্র) ও MSK (মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র) শিক্ষক-শিক্ষিকা । এর জেরে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা । ঘটনাস্থানে এসে তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় । পরে কয়েকজনকে আটক করা হয় । শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে । এমনকী শিক্ষিকাদের অশালীনভাবে গাড়িতে তোলা হয় ।

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এর আগে একাধিকবার আন্দোলন করেছে SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকারা । কয়েকদিন আগে সল্টলেকে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাসে উঠে যায় বিক্ষোভ । সম্প্রতি বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী জানান, পার্শ্বশিক্ষকদের সমতুল্য করা হচ্ছে SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । অর্থাৎ পার্শ্বশিক্ষকদের হারে বেতন পাবেন । এনিয়েই সরব হন SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকরা । তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের মতো কাজ করেন । তাহলে তাঁদের কেন পার্শ্বশিক্ষকদের হারে বেতন দেওয়া হবে ?

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ধরনা মঞ্চ থেকে বের হতেই আটকাল পুলিশ, ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ শিক্ষকরা

পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের হারে বেতনের দাবিতে গতকাল রানি রাসমণি রোডে জমায়েত হন SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকরা । সেখান থেকে বিধানসভা অভিযানের পরিকল্পনা ছিল । জমায়েতে আসা এক শিক্ষক মহম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, "2010 সালের 3 মার্চ আমাদের বেতন হয় 8 হাজার 930 টাকা । রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার এক টাকাও বেতন বাড়ায়নি । উলটে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট কেটে নিয়েছে । শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভোটের পর বেতন বাড়ানো হবে । সেজন্য গত মাসে বিকাশ ভবনের সামনে ধরনায় বসেছিলাম । আমরা চাইলে সেদিন বিকাশ ভবন গুঁড়িয়ে দিতে পারতাম । কিন্তু, শিক্ষক বলে আমরা কিছু করিনি । " তাঁর যুক্তি, SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকরা পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের মতো কাজ করেন । কিন্তু, পার্শ্বশিক্ষকরা সপ্তাহে চারদিন কাজ করেন ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : নির্বাচনবিধির জন্য আলোচনা সম্ভব হচ্ছে না, SSK ও MSK নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর

এই জমায়েতের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রানি রাসমণি রোড । পুলিশ তাঁদের রাস্তা থেকে উঠে যেতে বলে । কিন্তু, তাতে রাজি না হওয়ায় শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ । কয়েকজনকে আটক করা হয় । অভিযোগ, শিক্ষিকাদের গাড়িতে তোলার সময় সেখানে কোনও মহিলা পুলিশ ছিলেন না । পুরুষরাই তাঁদের গাড়িতে তুলেছিলেন ।

দেখুন ভিডিয়ো

এই সংক্রান্ত আরও খবর : শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরও অবস্থানে অনড় শিক্ষকরা

বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থেকে আসা এক শিক্ষক প্রশান্ত রায় বলেন, "বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে । ষাটোর্ধ্ব মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে গাড়িতে তুলেছে । তখন কোনও মহিলা পুলিশ ছিলেন না । পুলিশ 300-400 জনকে আটক করেছে । পিটিয়ে পিটিয়ে তুলেছে সবাইকে । এটা কি গণতান্ত্রিক সরকার ? " 2006 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনশনের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর বক্তব্য, "জাতীয় সড়ক অবরোধ করে 18 দিন অনশন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । আমরা তো তাঁর দেখানো পথেই আন্দোলন করেছি । শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন বিকাশ ভবনে দেখা করবেন । তারপর উনি আমাদের অনুরোধ করেছিলেন, আপনারা ধর্মতলায় আসুন । আমি আপনাদের বিধানসভায় ডেকে কথা বলব । সেজন্যই আমরা এখানে জমায়েত হয়েছি । কিন্তু, উনি কোনও কথা রাখলেন না । এমনকী, পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে অত্যাচার করে আমাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়েছে । "

এই সংক্রান্ত আরও খবর : সল্টলেকে SSK, MSK সহায়কদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

কলকাতা, 6 জুলাই : পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের মতো বেতন দিতে হবে । এই দাবিতে রানি রাসমণি রোডে জমায়েত হন 1000-র বেশি SSK (শিশু শিক্ষা কেন্দ্র) ও MSK (মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র) শিক্ষক-শিক্ষিকা । এর জেরে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা । ঘটনাস্থানে এসে তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় । পরে কয়েকজনকে আটক করা হয় । শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে । এমনকী শিক্ষিকাদের অশালীনভাবে গাড়িতে তোলা হয় ।

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এর আগে একাধিকবার আন্দোলন করেছে SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকারা । কয়েকদিন আগে সল্টলেকে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাসে উঠে যায় বিক্ষোভ । সম্প্রতি বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী জানান, পার্শ্বশিক্ষকদের সমতুল্য করা হচ্ছে SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । অর্থাৎ পার্শ্বশিক্ষকদের হারে বেতন পাবেন । এনিয়েই সরব হন SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকরা । তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের মতো কাজ করেন । তাহলে তাঁদের কেন পার্শ্বশিক্ষকদের হারে বেতন দেওয়া হবে ?

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ধরনা মঞ্চ থেকে বের হতেই আটকাল পুলিশ, ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ শিক্ষকরা

পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের হারে বেতনের দাবিতে গতকাল রানি রাসমণি রোডে জমায়েত হন SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকরা । সেখান থেকে বিধানসভা অভিযানের পরিকল্পনা ছিল । জমায়েতে আসা এক শিক্ষক মহম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, "2010 সালের 3 মার্চ আমাদের বেতন হয় 8 হাজার 930 টাকা । রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার এক টাকাও বেতন বাড়ায়নি । উলটে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট কেটে নিয়েছে । শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভোটের পর বেতন বাড়ানো হবে । সেজন্য গত মাসে বিকাশ ভবনের সামনে ধরনায় বসেছিলাম । আমরা চাইলে সেদিন বিকাশ ভবন গুঁড়িয়ে দিতে পারতাম । কিন্তু, শিক্ষক বলে আমরা কিছু করিনি । " তাঁর যুক্তি, SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকরা পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের মতো কাজ করেন । কিন্তু, পার্শ্বশিক্ষকরা সপ্তাহে চারদিন কাজ করেন ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : নির্বাচনবিধির জন্য আলোচনা সম্ভব হচ্ছে না, SSK ও MSK নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর

এই জমায়েতের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রানি রাসমণি রোড । পুলিশ তাঁদের রাস্তা থেকে উঠে যেতে বলে । কিন্তু, তাতে রাজি না হওয়ায় শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ । কয়েকজনকে আটক করা হয় । অভিযোগ, শিক্ষিকাদের গাড়িতে তোলার সময় সেখানে কোনও মহিলা পুলিশ ছিলেন না । পুরুষরাই তাঁদের গাড়িতে তুলেছিলেন ।

দেখুন ভিডিয়ো

এই সংক্রান্ত আরও খবর : শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরও অবস্থানে অনড় শিক্ষকরা

বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থেকে আসা এক শিক্ষক প্রশান্ত রায় বলেন, "বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে । ষাটোর্ধ্ব মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে গাড়িতে তুলেছে । তখন কোনও মহিলা পুলিশ ছিলেন না । পুলিশ 300-400 জনকে আটক করেছে । পিটিয়ে পিটিয়ে তুলেছে সবাইকে । এটা কি গণতান্ত্রিক সরকার ? " 2006 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনশনের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর বক্তব্য, "জাতীয় সড়ক অবরোধ করে 18 দিন অনশন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । আমরা তো তাঁর দেখানো পথেই আন্দোলন করেছি । শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন বিকাশ ভবনে দেখা করবেন । তারপর উনি আমাদের অনুরোধ করেছিলেন, আপনারা ধর্মতলায় আসুন । আমি আপনাদের বিধানসভায় ডেকে কথা বলব । সেজন্যই আমরা এখানে জমায়েত হয়েছি । কিন্তু, উনি কোনও কথা রাখলেন না । এমনকী, পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে অত্যাচার করে আমাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়েছে । "

এই সংক্রান্ত আরও খবর : সল্টলেকে SSK, MSK সহায়কদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

Intro:কলকাতা, ৫ জুলাই: আবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ধর্মতলার রানী রাসমণি রোডে। আজ প্রায় হাজারের বেশি SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকারা ধর্মতলায় রানী রাসমণি রোডে জমায়েত করেন। ঘন্টাখানেকের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাস্তা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে তাঁদের তুলতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। আনা হয়েছিল জলকামানও। তারপরে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বহু SSK, MSK শিক্ষকদের।
Body:বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এর আগে বহুবার আন্দোলনে নেমেছে SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিছুদিন আগেও সল্টলেকে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে উঠে যায় অবস্থান। কয়েক মাস আগেও একই ভাবে সল্টলেকে অবস্থান করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, সম্প্রতি বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, পাশ্বশিক্ষকদের সমতুল্য করা হল ইSSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের কাজ করে পার্শ্বশিক্ষকদের সমতুল্য বেতন নিতে রাজি নন SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাই আজ ধর্মতলায় এসে জমায়েত করেন তাঁরা। রানী রাসমণি রোড অবরুদ্ধ করে অবস্থান-বিক্ষোভ করতেই পুলিশ এসে তাঁদের উঠে যেতে বলে। উঠতে রাজি না হওয়ায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। অভিযোগ, পুলিশ লাঠিচার্জও করে। তারপরে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।

নিজেদের দাবি নিয়ে মুর্শিদাবাদের মহম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, "আমরা SSK, MSK শিক্ষক। আমরা তদানীন্তন বাম আমলে ২০১০ সালের ৩ মার্চ মাইনে ৮ হাজার ৯৩০ টাকা হয়। তারপর ২০১১ সালে পালাবদলের পর এই সরকার ১ টাকা তো বাড়ায়নি, উপরন্তু ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট কেটে নিয়েছে। তার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের কিছু না দেওয়ার ফলে আমরা ১-৭ মার্চ আন্দোলন করেছিলাম বিকাশ ভবনের পাশে। তারপরে রাজ্যপালের মধ্যস্থতায়, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা আন্দোলন তুলে নিয়েছিলাম। উনি বলেছিলেন, ভোটের পর আপনাদের মাইনেপত্র বৃদ্ধি করব। তিনি কথা রাখেননি। তারপরে ১২ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত বিকাশ ভবনের পাশে আমরা আবার ধরনায় বসি আট দিন। ১৭ তারিখ আমরা বিকাশ ভবন অভিযান করি। আমরা চাইলে সেদিন বিকাশ ভবন গুঁড়িয়ে দিতে পারতাম। ১৮ তারিখে শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন আপনাদের সমকাজে সমবেতন দেওয়া হবে। যদি না পারি একটা শিক্ষকের মর্যাদার মতো বেতন দেওয়া হবে এবং পর্ষদের অধীনে নেওয়া হবে। গতকাল বিধানসভায় এক বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমি SSK, MSK-দের পার্শ্বশিক্ষকদের সমতুল্য করলাম। আমাদের দাবি ছিল, আমরা কোনোদিন পার্শ্বশিক্ষকদের মতো নেব না।কারণ ওনারা সপ্তাহে চারদিন ক্লাস নেন ও তিন দিন রেস্ট নেন। আমরা পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকদের মতো কাজ করি। অথচ, আজকে আমাদের বেতন হচ্ছে ৮ হাজার ৯৩০ টাকা এবং ৫ হাজার ৯০০ টাকা। এই অবস্থায় আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা ধর্মতলায় যাব। সেখান থেকে বিধানসভা অভিযান করব।"

কিন্তু, অভিযানের আগেই পুলিশ এসে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বিক্ষোভকারীদের। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থেকে আসা প্রশান্ত রায় বলেন, "আমাদের বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। আমাদের ষাটোর্ধ্ব মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে গাড়িতে তুলেছে। গাড়িতে তোলার সময় কোনো মহিলা পুলিশ ছিল না। পরুষ পুলিশরা যেখানে খুশি হাত দিয়ে তাঁদেরকে তুলেছে। অকথ্য অত্যাচার করেছে। লাঠিচার্জ করেছে এবং বিনা প্ররোচনায় তাঁদেরকে তুলে নিয়ে গেছে। আমাদের প্রায় তিন চারশো জনকে সাতটি গাড়ি ভরে নিয়ে গেছে। পিটিয়ে পিটিয়ে তুলেছে সবাইকে। এটা কি গণতান্ত্রিক সরকার একটা? সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় মুখ্যমন্ত্রী প্রায় ১৮ দিন অনশন করেছিলেন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। আর আমরা কী অপরাধ করেছি? আমরা তো তাঁর দেখানো পথেই আন্দোলন করেছি। শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন বিকাশ ভবনে দেখা করবেন। তারপরে উনি আমাদের অনুরোধ করেছিলেন, আপনারা ধর্মতলায় রানী রাসমণিতে আসুন। আমি আপনাদের বিধানসভায় ডেকে নিয়ে কথা বলব। সেই জন্যই আমরা এখানে জমায়েত হয়েছি। কিন্তু, উনি কোনো কথা রাখলেন না। এমনকি পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে আমাদের উপর অকথ্য অত্যাচার করে আমাদের আমাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে।"
Conclusion:
Last Updated : Jul 6, 2019, 7:47 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.