ETV Bharat / state

মহিলা বক্সার হেনস্থায় সক্রিয় পুলিশ, 11 দিনেই চার্জশিট পেশ - সুমন কুমারী

মহিলা বক্সারের হেনস্থার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল । পরে অবশ্য তৎপর হয় পুলিশ । গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে । সেই ঘটনার 11 দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল পুলিশ ।

সুমন কুমারী
author img

By

Published : Jul 9, 2019, 5:58 AM IST

কলকাতা, 9 জুলাই : মহিলা বক্সারকে হেনস্থার ঘটনায় 11 দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ । ঘটনার প্রথমদিকে পুলিশি সাহায্য না পেলেও পরে তদন্তকারী অফিসারদের তৎপরতায় খুশি বক্সার সুমন কুমারী ।

28 জুন বেলা সাড়ে 11টা নাগাদ স্কুটিতে করে অফিসে যাচ্ছিলেন আন্তর্জাতিক স্তরের বক্সার সুমন কুমারী । মোমিনপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাঁর স্কুটির সামনে দাঁড়ায় এক যুবক । সুমনকে গালিগালাজ করে সে । বাসে ওঠার পরও সুমনকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে অভিযুক্ত ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : কলকাতার রাস্তায় মহিলা বক্সারকে হেনস্থা, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ !

প্রতিবাদ করেন সুমন । বাসটিকে ধাওয়া করেন । পরের স্টপেজে বাস থামলে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করেন, কেন তাঁকে গালিগালাজ করা হয়েছে । সুমনের অভিযোগ, এরপর ওই যুবক বাস থেকে নেমে তাঁকে মারতে উদ্যত হয় । গলা চেপে ধরে । তখন সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী । তিনি কোনও সাহায্য করেননি । উলটে ওই পুলিশকর্মী থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন । পরে ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সুমন ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : "আমি বক্সার বলে বাঁচতে পেরেছিলাম, সাধারণ মেয়েরা তো পারবে না"

এই খবর ETV ভারতে প্রকাশিত হতেই তৎপর হয় পুলিশ । সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয় । সেদিনই সন্ধ্যায় তিন অভিযুক্ত রাহুল শর্মা, শেখ ফিরোজ়, ওয়াসিম খানকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ বন্দর থানা । ধৃতদের সনাক্ত করেন সুমন । এরপর 11 দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ধন্যবাদ ETV ভারত : সুমন

কলকাতা, 9 জুলাই : মহিলা বক্সারকে হেনস্থার ঘটনায় 11 দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ । ঘটনার প্রথমদিকে পুলিশি সাহায্য না পেলেও পরে তদন্তকারী অফিসারদের তৎপরতায় খুশি বক্সার সুমন কুমারী ।

28 জুন বেলা সাড়ে 11টা নাগাদ স্কুটিতে করে অফিসে যাচ্ছিলেন আন্তর্জাতিক স্তরের বক্সার সুমন কুমারী । মোমিনপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাঁর স্কুটির সামনে দাঁড়ায় এক যুবক । সুমনকে গালিগালাজ করে সে । বাসে ওঠার পরও সুমনকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে অভিযুক্ত ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : কলকাতার রাস্তায় মহিলা বক্সারকে হেনস্থা, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ !

প্রতিবাদ করেন সুমন । বাসটিকে ধাওয়া করেন । পরের স্টপেজে বাস থামলে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করেন, কেন তাঁকে গালিগালাজ করা হয়েছে । সুমনের অভিযোগ, এরপর ওই যুবক বাস থেকে নেমে তাঁকে মারতে উদ্যত হয় । গলা চেপে ধরে । তখন সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী । তিনি কোনও সাহায্য করেননি । উলটে ওই পুলিশকর্মী থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন । পরে ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সুমন ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : "আমি বক্সার বলে বাঁচতে পেরেছিলাম, সাধারণ মেয়েরা তো পারবে না"

এই খবর ETV ভারতে প্রকাশিত হতেই তৎপর হয় পুলিশ । সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয় । সেদিনই সন্ধ্যায় তিন অভিযুক্ত রাহুল শর্মা, শেখ ফিরোজ়, ওয়াসিম খানকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ বন্দর থানা । ধৃতদের সনাক্ত করেন সুমন । এরপর 11 দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ধন্যবাদ ETV ভারত : সুমন

Intro:কলকাতা, ৮ জুলাই: প্রথমটায় অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধেই। অভিযোগ ছিল, জাতীয় বক্সার সুমন কুমারীর হেনস্থায় সাহায্য করেনি পুলিশ। পরে অবশ্য বাপক সক্রিয় হয়ে ওঠে দক্ষিণ বন্দর থানা। অভিযোগ দায়েরের এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় তিন অভিযুক্তকে। আর এবার মাত্র 11 দিনের মধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়ে দিল পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারের তৎপরতা নিয়ে প্রশংসা করেছেন বক্সার সুমন।Body:গত 28 জুন সকাল 11 টা 15 মিনিট নাগাদ হেনস্তার শিকার হতে হয় সুমনকে।ওই দিন মহাকরণের অফিসে যাওয়ার সময় তাঁকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। সুনিতা ইটিভি ভারতকে জানান, সকালে অফিসে আসার সময় মমিনপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে আসছিলেন। এক 25 বছরের যুবক হঠাৎই তার স্কুটির সামনে এসে দাঁড়ায়। হঠাৎ শুরু করে গালিগালাজ। প্রতিবাদ করেছিলেন সুমন। অভিযোগ, তখন ওই যুবক তাকে মারধর করে। সেই সময় নাকি সামনে দাঁড়িয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের এক কর্মী। কিন্তু তিনি সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। অভিযোগ, ওই পুলিশ কর্মী তাকে থানায় যাওয়ার কথা বলেন। Conclusion:সুমন কুমার নামে ওই বক্সার চাকরি করেন রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরে। তিনি কলকাতা পুলিশের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে উগরে দেন ক্ষোভ। সেই খবর ইটিভি ভারতে প্রথম প্রচারিত হওয়ার পরেই সক্রিয় হয় পুলিশ। দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশ সুমনের থানায় যাওয়ার অপেক্ষা না করেই তার কাছে চলে আসে। পরে অবশ্য সুমন দক্ষিণ বন্দর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তৎপরতার সঙ্গে দক্ষিণ বন্দর থানা এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে তিন দুষ্কৃতীকে। তাদের নাম রাহুল শর্মা, শেখ ফিরোজ, ওয়াসিম খান। পরে তাদের টি আই প্যারেড সহ প্রয়োজনীয় তদন্তের কাজ করার পর 11 দিনের মধ্যেই চার্জশিট পেশ করে দিল পুলিশ। সূত্র জানাচ্ছে, চার্জশিট দোষীদের বিরুদ্ধেই গেছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.