ETV Bharat / state

কাল থেকে সোমবার পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতির ডাক - howrah clash

হাওড়ার ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতির ডাক দিল বার কাউন্সিল ।

হাওড়ায় সংঘর্ষ
author img

By

Published : Apr 25, 2019, 11:59 PM IST

কলকাতা, 25 এপ্রিল: হাওড়া কোর্ট চত্বরের ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত জেলা আদালতে কর্মবিরতির ডাক দিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্টবেঙ্গল । কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বলেন, "সমস্ত দোষী পুলিশ আধিকারিকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে । সোমবারের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে, ওইদিন বিকাল 4টে 30 নাগাদ আবার মিটিং ডেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করব ।" সেইসঙ্গে আহত আইনজীবীদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাসও দেন তিনি ।

আগামীকাল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করবেন বার কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা । সেখান থেকে হাওড়া কোর্টে যাওয়া হবে বিচারকের সাথে দেখা করতে । প্রয়োজনে তাঁরা SP-র সাথেও দেখা করতে পারেন । তাঁদের দাবি, যাঁরা এই ঘটনায় মদত দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় ।

গতকাল ঠিক কী ঘটেছিল?

হাওড়া ক্রিমিনাল কোর্ট বার লাইব্রেরির সেক্রেটারি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, "গতকাল একজন আইনজীবী গাড়ি পার্কিং করছিলেন । যার ফলে সেইসময় হাওড়া পৌরনিগমের একটা গাড়ি ঢুকতে পারছিল না ওই চত্বরে । এই নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয় । সেইসময় আরও একজন আইনজীবী (প্রতিবন্ধী) আসছিলেন । তিনি সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন । কিন্ত ওখানে যে নিরাপত্তা রক্ষী ছিল তাঁর সঙ্গে আরও এক যুবক যুক্ত হয়ে গালিগালাজ করতে শুরু করে । ওই প্রতিবন্ধী আইনজীবীকে মাটিতে ফেলে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করে । তখন ওখানে অন্য আইনজীবীরাও জড়ো হন । সেই সময় ওই যুবক পালিয়ে যায়। পরে আরও লোকজন ডেকে আনে সে । পাশে ভাঙা একটা বাড়ি ছিল সেখান থেকে ইট তুলে নিয়ে কোর্টের ভিতরে ঢুকে ছুড়তে থাকে । এই ঘটনার প্রতিবাদে পরে যখন আইনজীবীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিল সেই সময় পুলিশ আইনজীবীদের নির্বিচারে প্রহার করে । মহিলা আইনজীবীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। "

হাওড়া পৌরনিগম ও হাওড়া আদালত পাশাপাশি অবস্থিত । পৌরনিগম কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, পৌরনিগম চত্বরে আইনজীবীরা নিজেদের গাড়ি পার্ক করেন । এর ফলে, তাঁরা গাড়ি পার্ক করতে পারেন না । তা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে গতকাল বচসা বাধে । ক্রমশ তা হাতাহাতিতে গড়ায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । পৌরকর্মী ও আইনজীবীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ । কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয় । আক্রান্ত হন আইনজীবীদের একাংশ ।

এরপরই আইনজীবীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট সহ রাজ্যের একাধিক বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আজ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল । এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও আজ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল ।


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের বিভিন্ন আদালতের আজকের ছবি :

হাওড়া : হাওড়া কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে । ফলে কোর্টে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । আজ মেদিনীপুরের এগরা থেকে হাওড়া কোর্টে এসেছিলেন কৃষ্ণপদ খাঁ নামে এক ব্যক্তি । তিনি এসেছিলেন জরুরি কাগজ করাতে । কিন্তু কোর্ট বন্ধ থাকায় তাঁকে ফিরে যেতে হয় । অন্যদিকে বাড়ি সংক্রান্ত মামলার কাজে কোর্টে এসেছিলেন হাওড়ারই এক স্থানীয় বাসিন্দা । কিন্তু কোর্ট বন্ধ থাকায় তাঁকেও সমস্যার মুখে পড়তে হয় । তিনি বলেন, "দু'পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া উচিত ছিল ।"


অন্যদিকে, আজকেই বার কাউন্সিলের সভা ডাকা হয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য । বার কাউন্সিলের সভাপতি সমীর বসু রায়চৌধুরি জানান, তাঁদের দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মবিরতি চলবে । তাঁদের স্পষ্ট দাবি, যে সমস্ত পৌর-কর্মীরা কালকের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে । পাশাপাশি ADCP ভাবনা গুপ্তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

উলুবেড়িয়া : একই ছবি উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতেও । সেখানে আজ প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হয় । একটি ধিক্কার মিছিলও করা হয় উলুবেড়িয়া আদালতের আইনজীবীদের তরফে ।

জলপাইগুড়ি : হাওড়ার ঘটনার প্রতিবাদে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আইনজীবীরাও আজ কর্মবিরতি পালন করেন । জলপাইগুড়ি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমলকৃষ্ণ ব্যানার্জি বলেন, "গতকাল হাওড়াতে পুলিশের মারধরের ঘটনায় আমরা রাজ্যজুড়ে আজ প্রতিবাদ করছি । তাই জলপাইগুড়ি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চেও কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে ।"

গঙ্গারামপুর (দক্ষিণ দিনাজপুর) : আজ গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি পালন করে বার অ্যাসোসিয়েশন । এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী রাখি বোস জানান, গতকাল হাওড়া আদালতের মহিলা আইনজীবী সহ অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে । তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই আজকে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে ।

কল্যাণী (নদিয়া): আজ কল্যাণী আদালতের সামনে আইনজীবীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন । থানার মোড়ে রাস্তায় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে তাঁদের এই অবরোধ ।

কালনা (পূর্ব বর্ধমান ) : হাওড়ায় আইনজীবীদের উপর পৌরনিগমের কর্মীদের চড়াও হওয়ার ঘটনার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয় । আজ কালনার আইনজীবীরা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হোন । কালনা মহকুমা আদালতে কর্মবিরতি, মিছিল, পথসভা ছিল সেই প্রতিবাদ কর্মসূচির অঙ্গ । আইনজীবীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন কালনা ল- ক্লার্ক ইউনিয়নের কর্মীরাও।

এই বিষয়ে কালনা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও আইনজীবী পার্থসারথি কর বলেন, "হাওড়ার এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় । আর তারপরই RAF ও কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে এক তরফা ভাবে আইনজীবীদের উপর লাঠি ও টিয়ার গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হয় । তার প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি । দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি যতক্ষণ না হচ্ছে আমরা আইনজীবীরা এই কর্মবিরতি চালিয়ে যাব ।"

কলকাতা, 25 এপ্রিল: হাওড়া কোর্ট চত্বরের ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত জেলা আদালতে কর্মবিরতির ডাক দিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্টবেঙ্গল । কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বলেন, "সমস্ত দোষী পুলিশ আধিকারিকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে । সোমবারের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে, ওইদিন বিকাল 4টে 30 নাগাদ আবার মিটিং ডেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করব ।" সেইসঙ্গে আহত আইনজীবীদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাসও দেন তিনি ।

আগামীকাল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করবেন বার কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা । সেখান থেকে হাওড়া কোর্টে যাওয়া হবে বিচারকের সাথে দেখা করতে । প্রয়োজনে তাঁরা SP-র সাথেও দেখা করতে পারেন । তাঁদের দাবি, যাঁরা এই ঘটনায় মদত দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় ।

গতকাল ঠিক কী ঘটেছিল?

হাওড়া ক্রিমিনাল কোর্ট বার লাইব্রেরির সেক্রেটারি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, "গতকাল একজন আইনজীবী গাড়ি পার্কিং করছিলেন । যার ফলে সেইসময় হাওড়া পৌরনিগমের একটা গাড়ি ঢুকতে পারছিল না ওই চত্বরে । এই নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয় । সেইসময় আরও একজন আইনজীবী (প্রতিবন্ধী) আসছিলেন । তিনি সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন । কিন্ত ওখানে যে নিরাপত্তা রক্ষী ছিল তাঁর সঙ্গে আরও এক যুবক যুক্ত হয়ে গালিগালাজ করতে শুরু করে । ওই প্রতিবন্ধী আইনজীবীকে মাটিতে ফেলে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করে । তখন ওখানে অন্য আইনজীবীরাও জড়ো হন । সেই সময় ওই যুবক পালিয়ে যায়। পরে আরও লোকজন ডেকে আনে সে । পাশে ভাঙা একটা বাড়ি ছিল সেখান থেকে ইট তুলে নিয়ে কোর্টের ভিতরে ঢুকে ছুড়তে থাকে । এই ঘটনার প্রতিবাদে পরে যখন আইনজীবীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিল সেই সময় পুলিশ আইনজীবীদের নির্বিচারে প্রহার করে । মহিলা আইনজীবীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। "

হাওড়া পৌরনিগম ও হাওড়া আদালত পাশাপাশি অবস্থিত । পৌরনিগম কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, পৌরনিগম চত্বরে আইনজীবীরা নিজেদের গাড়ি পার্ক করেন । এর ফলে, তাঁরা গাড়ি পার্ক করতে পারেন না । তা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে গতকাল বচসা বাধে । ক্রমশ তা হাতাহাতিতে গড়ায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । পৌরকর্মী ও আইনজীবীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ । কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয় । আক্রান্ত হন আইনজীবীদের একাংশ ।

এরপরই আইনজীবীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট সহ রাজ্যের একাধিক বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আজ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল । এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও আজ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল ।


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের বিভিন্ন আদালতের আজকের ছবি :

হাওড়া : হাওড়া কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে । ফলে কোর্টে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । আজ মেদিনীপুরের এগরা থেকে হাওড়া কোর্টে এসেছিলেন কৃষ্ণপদ খাঁ নামে এক ব্যক্তি । তিনি এসেছিলেন জরুরি কাগজ করাতে । কিন্তু কোর্ট বন্ধ থাকায় তাঁকে ফিরে যেতে হয় । অন্যদিকে বাড়ি সংক্রান্ত মামলার কাজে কোর্টে এসেছিলেন হাওড়ারই এক স্থানীয় বাসিন্দা । কিন্তু কোর্ট বন্ধ থাকায় তাঁকেও সমস্যার মুখে পড়তে হয় । তিনি বলেন, "দু'পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া উচিত ছিল ।"


অন্যদিকে, আজকেই বার কাউন্সিলের সভা ডাকা হয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য । বার কাউন্সিলের সভাপতি সমীর বসু রায়চৌধুরি জানান, তাঁদের দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মবিরতি চলবে । তাঁদের স্পষ্ট দাবি, যে সমস্ত পৌর-কর্মীরা কালকের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে । পাশাপাশি ADCP ভাবনা গুপ্তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

উলুবেড়িয়া : একই ছবি উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতেও । সেখানে আজ প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হয় । একটি ধিক্কার মিছিলও করা হয় উলুবেড়িয়া আদালতের আইনজীবীদের তরফে ।

জলপাইগুড়ি : হাওড়ার ঘটনার প্রতিবাদে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আইনজীবীরাও আজ কর্মবিরতি পালন করেন । জলপাইগুড়ি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমলকৃষ্ণ ব্যানার্জি বলেন, "গতকাল হাওড়াতে পুলিশের মারধরের ঘটনায় আমরা রাজ্যজুড়ে আজ প্রতিবাদ করছি । তাই জলপাইগুড়ি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চেও কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে ।"

গঙ্গারামপুর (দক্ষিণ দিনাজপুর) : আজ গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি পালন করে বার অ্যাসোসিয়েশন । এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী রাখি বোস জানান, গতকাল হাওড়া আদালতের মহিলা আইনজীবী সহ অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে । তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই আজকে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে ।

কল্যাণী (নদিয়া): আজ কল্যাণী আদালতের সামনে আইনজীবীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন । থানার মোড়ে রাস্তায় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে তাঁদের এই অবরোধ ।

কালনা (পূর্ব বর্ধমান ) : হাওড়ায় আইনজীবীদের উপর পৌরনিগমের কর্মীদের চড়াও হওয়ার ঘটনার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয় । আজ কালনার আইনজীবীরা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হোন । কালনা মহকুমা আদালতে কর্মবিরতি, মিছিল, পথসভা ছিল সেই প্রতিবাদ কর্মসূচির অঙ্গ । আইনজীবীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন কালনা ল- ক্লার্ক ইউনিয়নের কর্মীরাও।

এই বিষয়ে কালনা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও আইনজীবী পার্থসারথি কর বলেন, "হাওড়ার এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় । আর তারপরই RAF ও কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে এক তরফা ভাবে আইনজীবীদের উপর লাঠি ও টিয়ার গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হয় । তার প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি । দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি যতক্ষণ না হচ্ছে আমরা আইনজীবীরা এই কর্মবিরতি চালিয়ে যাব ।"

 মোদি সাহেব বলতেন বিরোধীরা পাকিস্তানের হয়ে কথা বলছে।কিন্তু মোদীজির পোল খুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।তিনি পাকিস্তানে সমস্ত মিডিয়াকে ডেকে বললেন তিনি চান ভারতের প্রধানমন্ত্রী আবারো মোদীজি হোক।ইমরান খান বলেছেন ভারতে মোদি জি ও সরকার যত মজবুত হবে ততই পাকিস্তানেও আমরা মজবুত হব। মোদি জি বলছেন জনতা পার্টি দুনিয়াকে সবচেয়ে বড় পার্টি।মহাভারতে কৌরবরা বলেছিল আমরা একশো ভাই।পাঁচ ভাই কিকরে আমাদের হারাবে।কিন্তু তার উল্টো হয়েছিল।বিজেপি সব চেয়ে বড় পার্টি তার মধ্যে দুর্যোধন ও দুঃশাসন কে নরেন্দ্র মোদি ও আমিত শাহ সঙ্গে তুলনা করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি।আজ শ্রীরামপুর লোকসভার পার্থী তীর্থঙ্কর রায়ের সমর্থনে শ্রীরামপুর RMS মাঠে জনসভায় এসে বিজেপি ও তৃণমূল কে আক্রমন করেন তিনি। সৈনিক নাম করে ভোট চাইছে নরেন্দ্র মোদি ।সেখানেও নির্বাচন কমিশন চুপ হয়ে আছে। পার্লামেন্ট একমাত্র জায়গা যেখানে সরকারের কাছে জবাব চাওয়া যায়।পার্লামেন্ট যদি না চলে সরকার জবাব দিতে মুক্ত।আর সেটাকেই বন্ধ করতে চাইছে।সুপ্রিম কোর্টের উপর হস্তক্ষেপ করছে এই সরকার।কি করে ন্যায় দেওয়া যায়।CBI কে ব্যবহার করে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায়।RBI কে ওরা দুর্বল করছে।নির্বাচন কমিশন কে চাপ দিয়ে চলেছে।এডিট ও ভিজিলেন্স উপর চাপ দিয়ে সংবিধানিক সংস্থা কে আরো দুর্বল করে দাও।তাহলে RRS ইচ্ছা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে কঠর হিন্দুত্ববাদী ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে বিজেপি ও মোদি সরকার করছে।আর তিনি বলেন হানাহানি ভয় হিংসাতক পরিবেশ সৃষ্টি করা চেষ্টা করছে।গো হত্যার নামে হামলা গরিবের উপর।উত্তর প্রদেশে আন্টি রোমিও স্কোয়ার্ট পোশাক পরিচ্ছদের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছে।কার সঙ্গে মিশবে,কি খাওয়া দাওয়া করবে ।তা যদি না করলে ছেলে মেয়েদের উপর হামলা হবে। সীতারাম ইয়েচুরি বলেন আমার জীবনে দেখিনি পাঁচ বছরের শিশুকে রেপ করে খুন করা হচ্ছে।এখনো দোষীদের কোনো ব্যবস্থা ও শাস্তি নেই। এর জন্য বিকল্প সরকার দরকার।ওনারা বলছে মোদির জির বিকল্প কি আছে।আর মোদী জি বলছেন কে প্রধান মন্ত্রী হবেন ।কিন্তু বাজপি সরকার ভেঙে ছিলাম বিকল্প এনে ছিলাম।বিকল্পের জন্য মোদিকে হারাতে হবে।হারানোর প্রসঙ্গে অনেকেই দাবি করেন মোদিকে হারাবো।কিন্তু বিজেপি ও তৃণমূল একই।তৃণমূল ও বিজেপি বাচ্চাদের হাতে তরোয়াল দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা কে উস্কে দিচ্ছে দুজনেই।আমরা যখন বলছিলাম এরা দুজনে এক।তখন বিশ্বাস করছিল না।কিন্তু প্রধান মন্ত্রী মোদি জি কাল পোল খুলে দিচ্ছেন প্রতি বছর মুখ্যমন্ত্রী কুর্তা ও মিষ্টি পাঠাতেন তার জন্য।বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন সন্দেশ পাঠাতেন তেমনি মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশ পাঠাতেন। 2014 সালে মোদি জি এসে বলেছিলেন বাংলার মানুষের দু হাতে লাড্ডু আছে।এদিন CPIM নেতা বলেন লাড্ডু মানে এক হাতে তৃণমূল ও অন্য হাতে বিজেপি আছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.