ETV Bharat / state

মাধ্যমিকের ফর্ম ধরে রাখতে চেয়েছিলাম, বলল উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম সত্যম

উচ্চমাধ্যমিকে কলকাতা থেকে সেরা দশের তালিকায় রয়েছে অনেকেই । তার মধ্যে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের সত্যম কর পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে । ভবিষ্যতে সে চিকিৎসক হতে চায় ।

সত‍্যম কর
author img

By

Published : May 27, 2019, 6:23 PM IST

Updated : May 27, 2019, 7:31 PM IST

কলকাতা, 27 মে : উচ্চমাধ্যমিকে সেরা দশের তালিকায় কলকাতার অনেকেই জায়গা করে নিয়েছে । যাদবপুর বিদ্যাপীঠের সত্যম কর উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে । তার প্রাপ্ত নম্বর 491 অর্থাৎ 98.2 শতাংশ । 2017 সালে মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় সত্যম ষষ্ঠস্থান অধিকার করেছিল সত্যম । ভবিষ্যতে সে চিকিৎসক হতে চায় ।

মাধ‍্যমিকে ষষ্ঠ ও উচ্চমাধ‍্যমিকে পঞ্চম, জীবনের দু'টি বড় পরীক্ষায় অভাবনীয় সাফল‍্য । কেমন লাগছে?

সত‍্যম বলে, "আমি মাধ্যমিকের পর চেষ্টা করেছিলাম এই ফর্ম ধরে রাখতে । এটাকে যাতে ক‍্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারি । সেটা করতে পেরেছি । খুব ভালো লাগছে ।"

ভিডিয়োয় দেখুন

আগামীদিনে কী হতে চাও ?

সত‍্যম বলে," আগামীদিনে আমি চিকিৎসক হতে চাই । ডাক্তারি একটা মহান পেশা । মানুষের জীবন বাঁচানো আমি মনে করি সবচেয়ে মহৎ কাজ । সুতরাং এটা নিয়ে আমি পরবর্তীকালে এগোতে চাই ।"

স্কুল জীবনের সর্বশেষ এই পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছিলে?

সত্যম বলে, "বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যা বলছেন সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি । হয়ত অক্ষরে অক্ষরে পালন সব সময় হয়ে ওঠে না । কারণ, সাবজেক্টের প্রেসার তো থাকে । তাই প্রত‍্যেকটা সাবজেক্টকে পড়া সব সময় হয়ত সম্ভব হত না । ওয়াকিবহাল থাকা দরকার। তাছাড়া জিনিসটা ভালো করে আত্মস্থ করা, বোঝা । এই জিনিসটা হচ্ছে সব থেকে আসল । তারপরে সেটা প্র্যাকটিস করা । বিগত বছরের প্রশ্নপত্রগুলোকে অ্যানালিসিস করা, সেই অনুসারে প্র্যাকটিস করা । কিছু মক টেস্ট দেওয়া । ব‍্যাস এইগুলোই ।"

হবি কী?

সত্যম বলে, "গল্পের বই পড়া । অনেকটা সময় আমি ওটাতেই কাটাতাম । সত্যজিৎ রায় আমার ফেভারিট লেখক ও শার্লক হোমসের গল্প আমার খুব ভালো লাগে । তাছাড়া দাবা খেলতাম, গান শুনতাম । "

পর পর সাফল্য । কার অবদান, কী বলবে ?

সত্যম বলে, "প্রথমত আমার বাবা-মা তো সব থেকে প্রধান । আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল স্যার । তাছাড়া আমাদের অন্য শিক্ষকরাও প্রচুর সাহায্য করেছেন । আমি যখনই কোনও সমস্যা নিয়ে গেছি, আমাকে ফেরাননি । আমার গৃহশিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অনেকটাই ।" সত‍্যমের প্রতিটি বিষয়ের জন্য একজন করে গৃহ শিক্ষক ছিলেন ।

সত্যমের মা মালবিকা কর তিনিও ছেলের সাফল্যে খুব খুশি । বলেন, "আমরা কোনও প্রেসার দিইনি । বলেছি তোমার যখন ইচ্ছা, যেভাবে ইচ্ছা তুমি পড় । কোনও প্রেসার নয়, আমরা তোমার পাশে আছি । আশা করছি পরবর্তী সোপানগুলোও যেন এভাবেই পার করে । সে চিকিৎসক হতে চায় । চাইব সে যেন সাফল্য পায় ।"

কলকাতা, 27 মে : উচ্চমাধ্যমিকে সেরা দশের তালিকায় কলকাতার অনেকেই জায়গা করে নিয়েছে । যাদবপুর বিদ্যাপীঠের সত্যম কর উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে । তার প্রাপ্ত নম্বর 491 অর্থাৎ 98.2 শতাংশ । 2017 সালে মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় সত্যম ষষ্ঠস্থান অধিকার করেছিল সত্যম । ভবিষ্যতে সে চিকিৎসক হতে চায় ।

মাধ‍্যমিকে ষষ্ঠ ও উচ্চমাধ‍্যমিকে পঞ্চম, জীবনের দু'টি বড় পরীক্ষায় অভাবনীয় সাফল‍্য । কেমন লাগছে?

সত‍্যম বলে, "আমি মাধ্যমিকের পর চেষ্টা করেছিলাম এই ফর্ম ধরে রাখতে । এটাকে যাতে ক‍্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারি । সেটা করতে পেরেছি । খুব ভালো লাগছে ।"

ভিডিয়োয় দেখুন

আগামীদিনে কী হতে চাও ?

সত‍্যম বলে," আগামীদিনে আমি চিকিৎসক হতে চাই । ডাক্তারি একটা মহান পেশা । মানুষের জীবন বাঁচানো আমি মনে করি সবচেয়ে মহৎ কাজ । সুতরাং এটা নিয়ে আমি পরবর্তীকালে এগোতে চাই ।"

স্কুল জীবনের সর্বশেষ এই পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছিলে?

সত্যম বলে, "বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যা বলছেন সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি । হয়ত অক্ষরে অক্ষরে পালন সব সময় হয়ে ওঠে না । কারণ, সাবজেক্টের প্রেসার তো থাকে । তাই প্রত‍্যেকটা সাবজেক্টকে পড়া সব সময় হয়ত সম্ভব হত না । ওয়াকিবহাল থাকা দরকার। তাছাড়া জিনিসটা ভালো করে আত্মস্থ করা, বোঝা । এই জিনিসটা হচ্ছে সব থেকে আসল । তারপরে সেটা প্র্যাকটিস করা । বিগত বছরের প্রশ্নপত্রগুলোকে অ্যানালিসিস করা, সেই অনুসারে প্র্যাকটিস করা । কিছু মক টেস্ট দেওয়া । ব‍্যাস এইগুলোই ।"

হবি কী?

সত্যম বলে, "গল্পের বই পড়া । অনেকটা সময় আমি ওটাতেই কাটাতাম । সত্যজিৎ রায় আমার ফেভারিট লেখক ও শার্লক হোমসের গল্প আমার খুব ভালো লাগে । তাছাড়া দাবা খেলতাম, গান শুনতাম । "

পর পর সাফল্য । কার অবদান, কী বলবে ?

সত্যম বলে, "প্রথমত আমার বাবা-মা তো সব থেকে প্রধান । আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল স্যার । তাছাড়া আমাদের অন্য শিক্ষকরাও প্রচুর সাহায্য করেছেন । আমি যখনই কোনও সমস্যা নিয়ে গেছি, আমাকে ফেরাননি । আমার গৃহশিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অনেকটাই ।" সত‍্যমের প্রতিটি বিষয়ের জন্য একজন করে গৃহ শিক্ষক ছিলেন ।

সত্যমের মা মালবিকা কর তিনিও ছেলের সাফল্যে খুব খুশি । বলেন, "আমরা কোনও প্রেসার দিইনি । বলেছি তোমার যখন ইচ্ছা, যেভাবে ইচ্ছা তুমি পড় । কোনও প্রেসার নয়, আমরা তোমার পাশে আছি । আশা করছি পরবর্তী সোপানগুলোও যেন এভাবেই পার করে । সে চিকিৎসক হতে চায় । চাইব সে যেন সাফল্য পায় ।"

Intro:কলকাতা, 27 মে: মাধ্যমিকে কলকাতা থেকে মাত্র একজন সেরা দশে এসে কলকাতার মুখ বাঁচিয়েছিল। সে ছিল যাদবপুর বিদ‍্যাপিঠের পড়ুয়া। উচ্চ মাধ্যমিকের সেরা দশের তালিকায় কলকাতার অনেকেই জায়গা করে নিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন যাদবপুর বিদ‍্যাপিঠের ঐক পড়ুয়াও। যাদবপুর বিদ‍্যাপিঠের পড়ুয়া সত‍্যম কর উচ্চমাধ‍্যমিকের মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে নিয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর 491। শতাংশের বিচারে 98.2। এবারি প্রথম নয়। 2017 সালে মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে নিয়েছিল সত‍্যম। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে চান যাদবপুর বিদ‍্যাপিঠের সত‍্যম।

মাধ‍্যমিকে ষষ্ঠ ও উচ্চমাধ‍্যমিকে পঞ্চম। জীবনের বড় দুটি পরীক্ষায় অভাবনীয় সাফল‍্য। কেমন লাগছে? সত‍্যম কর বলেন, "আমি মাধ্যমিকের পর চেষ্টা করেছিলাম যে এই ফর্মটাকে ধরে রাখতে। এটাকে যাতে ক‍্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারি। সেটা করতে পেরেছি খুব ভালো লাগছে।" সাফল‍্যের পিছনে বাবা-মা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান সবথেকে বেশি বলে জানাচ্ছেন সত‍্যম। তিনি বলেন, "প্রথমত আমার বাবা-মা তো সব থেকে প্রধান। আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল স্যার। তা ছাড়া, আমাদের অন্যান্য শিক্ষকরাও প্রচুর সাহায্য করেছেন। আমি যখনই কোনো সমস্যা নিয়ে ওনাদের কাছে গেছি ওনারা আমাকে ফেরাননি। তা ছাড়া, আমার গৃহ শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অনেকটাই।" সত‍্যমের প্রতিটি বিষয়ের জন্য একজন করে গৃহ শিক্ষক ছিলেন।

স্কুল জীবনের সর্বশেষ এই পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছিলেন? সত‍্যম কর বলেন, "প্রস্তুতি বলতে শিক্ষকরা, গৃহশিক্ষিকরা হোক বা আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যা বলছেন সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলা। হয়তো অক্ষরে অক্ষরে পালনটা সব সময় হয়ে ওঠে না। কারণ, সাবজেক্টের প্রেশার তো থাকেই। তাই প্রত‍্যেকটা সাবজেক্টকে পড়া সব সময় হয়তো সম্ভব হতো না। কিন্তু, যাতে সত্তর হয়ে যায় সেটার সম্পর্কে সব সময় ওয়াকিবহাল থাকা। তা ছাড়া, জিনিসটা ভালো করে আত্মস্থ করা, বোঝা। এই জিনিসটা হচ্ছে সব থেকে আসল। তারপরে সেটা প্র্যাকটিস করা, বিগত বছরের কোশ্চেনগুলোকে অ্যানালিসিস করা, সেই অনুসারে প্র্যাকটিস করা, কিছু মক টেস্ট দেওয়া, ব‍্যাস এইগুলোই।" পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের হবিকেও সময় দিতেন সত‍্যম। তা হল গল্পের বই পড়া। তিনি বলেন, "আমার হবি বলতে আমার গল্প বই পড়ার হবি‌। মানে অনেকটা সময় ওটাতেই স্পেন্ড করতাম। সত্যজিৎ রায় আমার ফেভারিট অথর এবং শার্লক হোমসের গল্প আমার খুব ভালো লাগে। তা ছাড়া, প্রফেসর শঙ্কু। তা ছাড়া, দাবা খেলতাম, গান শুনতাম।"




Body:ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের জীবন বাচাতে চান সত‍্যম। তিনি বলেন, "আগামী দিনে আমি চিকিৎসক হতে চাই। কারণ, চিকিৎসক বা চিকিৎসা, ডাক্তারি এটা একটা মহান পেশা। কারণ, এখানে মানুষের সাথে সরাসরি ইন্টারএ্যাক্ট করা যায়। মানুষের জীবন বাঁচানো। আমি মনে করি এটা সবথেকে মহৎ একটা কাজ। তার একটা সুযোগ পাওয়া যায়। সুতরাং, এটা নিয়েই আমি পরবর্তীকালে এগোতে চাই।"


Conclusion:
Last Updated : May 27, 2019, 7:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.