কলকাতা, 27 মে : উচ্চমাধ্যমিকে সেরা দশের তালিকায় কলকাতার অনেকেই জায়গা করে নিয়েছে । যাদবপুর বিদ্যাপীঠের সত্যম কর উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে । তার প্রাপ্ত নম্বর 491 অর্থাৎ 98.2 শতাংশ । 2017 সালে মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় সত্যম ষষ্ঠস্থান অধিকার করেছিল সত্যম । ভবিষ্যতে সে চিকিৎসক হতে চায় ।
মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম, জীবনের দু'টি বড় পরীক্ষায় অভাবনীয় সাফল্য । কেমন লাগছে?
সত্যম বলে, "আমি মাধ্যমিকের পর চেষ্টা করেছিলাম এই ফর্ম ধরে রাখতে । এটাকে যাতে ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারি । সেটা করতে পেরেছি । খুব ভালো লাগছে ।"
আগামীদিনে কী হতে চাও ?
সত্যম বলে," আগামীদিনে আমি চিকিৎসক হতে চাই । ডাক্তারি একটা মহান পেশা । মানুষের জীবন বাঁচানো আমি মনে করি সবচেয়ে মহৎ কাজ । সুতরাং এটা নিয়ে আমি পরবর্তীকালে এগোতে চাই ।"
স্কুল জীবনের সর্বশেষ এই পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছিলে?
সত্যম বলে, "বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যা বলছেন সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি । হয়ত অক্ষরে অক্ষরে পালন সব সময় হয়ে ওঠে না । কারণ, সাবজেক্টের প্রেসার তো থাকে । তাই প্রত্যেকটা সাবজেক্টকে পড়া সব সময় হয়ত সম্ভব হত না । ওয়াকিবহাল থাকা দরকার। তাছাড়া জিনিসটা ভালো করে আত্মস্থ করা, বোঝা । এই জিনিসটা হচ্ছে সব থেকে আসল । তারপরে সেটা প্র্যাকটিস করা । বিগত বছরের প্রশ্নপত্রগুলোকে অ্যানালিসিস করা, সেই অনুসারে প্র্যাকটিস করা । কিছু মক টেস্ট দেওয়া । ব্যাস এইগুলোই ।"
হবি কী?
সত্যম বলে, "গল্পের বই পড়া । অনেকটা সময় আমি ওটাতেই কাটাতাম । সত্যজিৎ রায় আমার ফেভারিট লেখক ও শার্লক হোমসের গল্প আমার খুব ভালো লাগে । তাছাড়া দাবা খেলতাম, গান শুনতাম । "
পর পর সাফল্য । কার অবদান, কী বলবে ?
সত্যম বলে, "প্রথমত আমার বাবা-মা তো সব থেকে প্রধান । আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল স্যার । তাছাড়া আমাদের অন্য শিক্ষকরাও প্রচুর সাহায্য করেছেন । আমি যখনই কোনও সমস্যা নিয়ে গেছি, আমাকে ফেরাননি । আমার গৃহশিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অনেকটাই ।" সত্যমের প্রতিটি বিষয়ের জন্য একজন করে গৃহ শিক্ষক ছিলেন ।
সত্যমের মা মালবিকা কর তিনিও ছেলের সাফল্যে খুব খুশি । বলেন, "আমরা কোনও প্রেসার দিইনি । বলেছি তোমার যখন ইচ্ছা, যেভাবে ইচ্ছা তুমি পড় । কোনও প্রেসার নয়, আমরা তোমার পাশে আছি । আশা করছি পরবর্তী সোপানগুলোও যেন এভাবেই পার করে । সে চিকিৎসক হতে চায় । চাইব সে যেন সাফল্য পায় ।"