কলকাতা, 19 এপ্রিল: "মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশকে তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত করেছেন। তাঁদের দিয়েই বাংলায় ভোট করাতে চাইছেন।" গতকাল BJP-র রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন মুকুল রায়। তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, যদি এতই উন্নয়ন করে থাকেন তাহলে ভোট করাতে এত ভয় পাচ্ছেন কেন?
তিনি আরও বলেন, "মমতা ব্যানার্জি জানেন মানুষ যদি শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাক ভোট দিতে পারেন তাহলে তাঁকে রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে 3টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় 80 শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করেছিলেন। তা সত্ত্বেও গতকাল সাধারণ ভোটার থেকে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। গতকাল চোপড়ার বেশিরভাগ বুথে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও গন্ডগোল হয়েছে। এছাড়া রায়গঞ্জের ইসলামপুর, মহম্মদবাজার দার্জিলিঙের নকশালবাড়ি, জলপাইগুড়ির বিভিন্নপ্রান্তে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে।" তবে তিনি স্বীকার করেন, প্রথম পর্যায়ের তুলনায় দ্বিতীয় দফায় অশান্তি কিছুটা কম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "ইতিমধ্যেই দু'জন বাংলাদেশের অভিনেতা তৃণমূলের হয়ে রাজ্যে প্রচার করে গেছেন। পরবর্তী প্রচারের নামের তালিকায় আমি শুনছি ইমরান খানের নাম রয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটাই পুরো ভেঙে চুরে চুরমার করে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।" পরবর্তী প্রতিটি পর্যায়ের নির্বাচনে তিনি প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় প্যারা মিলিটারি ফোর্সের দাবি করেন। সেইসঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে পক্ষপাততুষ্ট অফিসারদের অবিলম্বে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে অপসারণের জন্য অনুরোধ করেন কমিশনকে।
গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের BJP প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, "আসানসোলের মেয়র উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির নামও নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "জেতা বা হারা পরের ব্যাপার। কিন্তু মানুষ যেন তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। 70 থেকে 80 শতাংশ মানুষ ভোট দিতে ইচ্ছুক। আর মমতা ব্যানার্জি তাঁদের ইচ্ছেকেই ভয় পাচ্ছেন। পরের পর্যায়ের নির্বাচনে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা যেন কোনও সুযোগ না পান তাই নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করব।"