ETV Bharat / state

স্বাস্থ্য পরিষেবায় উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তেমন কোনও পার্থক্য নেই : কাফিল খান - Health for all

গতকাল NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন চিকিৎসক কাফিল খান । তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনও হেলথ কেয়ার সিস্টেমের মেরুদণ্ডই হল প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সিস্টেম ।

কাফিল খান
author img

By

Published : Jul 21, 2019, 10:13 AM IST

Updated : Jul 21, 2019, 1:52 PM IST

কলকাতা, 21 জুলাই : বিশ্বের যে কোনও হেলথ কেয়ার সিস্টেমের মেরুদণ্ডই হল প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সিস্টেম । গোটা উত্তর ভারতেই প্রাইমারি স্বাস্থ্য পরিষেবার মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে । উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবায় তেমন কোনও পার্থক্য নেই । রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে গতকাল এই মন্তব্য করেন চিকিৎসক কাফিল খান ।

গতকাল NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি । রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার অবস্থা কেমন? এবিষয়ে ETV ভারতের প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, "গতবার যখন এসেছিলাম তখন কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম । এখানকার চিকিৎসকরা বলেছেন গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সন্ধের পর চিকিৎসক পাওয়া যায় না । তালা দেওয়া থাকে । কোনও এমারজেন্সি হলে রোগীদের 10-20 কিলোমিটার দূরে নিয়ে যেতে হয় । " তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপ রয়েছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুযায়ী প্রতি 1000 জন রোগী পিছু 1 জন করে চিকিৎসক থাকার কথা । কিন্তু এরাজ্যে প্রতি 2500 রোগী পিছু 1 জন চিকিৎসক । এটা অবশ্য শহরের ক্ষেত্রে । গ্রামের ক্ষেত্রে এই অনুপাতের ব্যবধানটা আরও বেশি ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

কী ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করা যেতে পারে? কাফিল বলেন, "সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সিস্টেমকে মজবুত করা প্রয়োজন । আমাদের এটা বুঝতে হবে, এখনও আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের বেসিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, শিক্ষা । সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বাজেট তৈরি করা । "

উল্লেখ্য, কাফিল খান 2017 সালে সংবাদ শিরোনামে আসেন । উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাবা রাঘবদাস মেডিকেল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে ওই বছর এক রাতে 33 শিশুর মৃত্যু হয় । সেরাতে দায়িত্বে ছিলেন কাফিল । তিনি কয়েকজন চিকিৎসককে নিয়ে শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু এই ঘটনার জেরে জেল হয়েছিল তাঁর । দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জামিন পান তিনি । এরপর দেশজুড়ে "Health For All"-এর জন্য কাজ শুরু করেন । চলতি মাসের 4 তারিখ কলকাতায় তিনি "Health For All" পশ্চিমবঙ্গের জন্য ঘোষণা করেন ।

চলতি মাসের 14 তারিখ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে "Health For All"-র প্রস্তাব দিয়েছেন কাফিল । বলেন, "স্বাস্থ্যের অধিকারের জন্য লড়াই করছি । সংবিধানের 21 নম্বর ধারা অনুযায়ী আমাদের স্বাস্থ্যের অধিকার দেওয়া হয়েছে । জাতি-ধর্ম-ধনী-গরিব নির্বিশেষে ভারতীয় যে কোনও নাগরিক হিসাবে এই অধিকার রয়েছে ।" এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেও কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি । বলেন, "শেষবার যখন এসেছিলাম মেইল করেছিলাম । কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনও উত্তর আসেনি । ওনার একজন সাংসদের সঙ্গে দেখা করেছি । তাঁকে এই বিষয়টি জানিয়েছি । তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন ।"

এখনও পর্যন্ত 11টি রাজ্যে এটি চালু হয়েছে । তাই প্রতিটি রাজ্যের সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে তাঁর এই "Health For All"-র পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চান ।

চিকিৎসকরা ধর্মের ভিত্তিতে চিকিৎসা করেন । মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই মূলত গতকাল NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ওই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল । এই বিষয়ে কাফিল খান বলেন, " মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি একদম সহমত নই । জাতি-ধর্ম-আঞ্চলিকতা-লিঙ্গ-আর্থ-সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রতিটি রোগীর চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে ভরতির সময় চিকিৎসকদের শপথ নিতে হয় । আমার মনে হয় না, কোনও চিকিৎসক কোনও রোগীকে ধর্ম-জাতির বিচারে দেখেন । তাঁরা একজন রোগীকে রোগী হিসাবেই দেখেন, চিকিৎসা করেন ।"

কলকাতা, 21 জুলাই : বিশ্বের যে কোনও হেলথ কেয়ার সিস্টেমের মেরুদণ্ডই হল প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সিস্টেম । গোটা উত্তর ভারতেই প্রাইমারি স্বাস্থ্য পরিষেবার মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে । উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবায় তেমন কোনও পার্থক্য নেই । রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে গতকাল এই মন্তব্য করেন চিকিৎসক কাফিল খান ।

গতকাল NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি । রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার অবস্থা কেমন? এবিষয়ে ETV ভারতের প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, "গতবার যখন এসেছিলাম তখন কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম । এখানকার চিকিৎসকরা বলেছেন গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সন্ধের পর চিকিৎসক পাওয়া যায় না । তালা দেওয়া থাকে । কোনও এমারজেন্সি হলে রোগীদের 10-20 কিলোমিটার দূরে নিয়ে যেতে হয় । " তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপ রয়েছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুযায়ী প্রতি 1000 জন রোগী পিছু 1 জন করে চিকিৎসক থাকার কথা । কিন্তু এরাজ্যে প্রতি 2500 রোগী পিছু 1 জন চিকিৎসক । এটা অবশ্য শহরের ক্ষেত্রে । গ্রামের ক্ষেত্রে এই অনুপাতের ব্যবধানটা আরও বেশি ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

কী ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করা যেতে পারে? কাফিল বলেন, "সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সিস্টেমকে মজবুত করা প্রয়োজন । আমাদের এটা বুঝতে হবে, এখনও আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের বেসিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, শিক্ষা । সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বাজেট তৈরি করা । "

উল্লেখ্য, কাফিল খান 2017 সালে সংবাদ শিরোনামে আসেন । উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাবা রাঘবদাস মেডিকেল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে ওই বছর এক রাতে 33 শিশুর মৃত্যু হয় । সেরাতে দায়িত্বে ছিলেন কাফিল । তিনি কয়েকজন চিকিৎসককে নিয়ে শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু এই ঘটনার জেরে জেল হয়েছিল তাঁর । দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জামিন পান তিনি । এরপর দেশজুড়ে "Health For All"-এর জন্য কাজ শুরু করেন । চলতি মাসের 4 তারিখ কলকাতায় তিনি "Health For All" পশ্চিমবঙ্গের জন্য ঘোষণা করেন ।

চলতি মাসের 14 তারিখ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে "Health For All"-র প্রস্তাব দিয়েছেন কাফিল । বলেন, "স্বাস্থ্যের অধিকারের জন্য লড়াই করছি । সংবিধানের 21 নম্বর ধারা অনুযায়ী আমাদের স্বাস্থ্যের অধিকার দেওয়া হয়েছে । জাতি-ধর্ম-ধনী-গরিব নির্বিশেষে ভারতীয় যে কোনও নাগরিক হিসাবে এই অধিকার রয়েছে ।" এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেও কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি । বলেন, "শেষবার যখন এসেছিলাম মেইল করেছিলাম । কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনও উত্তর আসেনি । ওনার একজন সাংসদের সঙ্গে দেখা করেছি । তাঁকে এই বিষয়টি জানিয়েছি । তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন ।"

এখনও পর্যন্ত 11টি রাজ্যে এটি চালু হয়েছে । তাই প্রতিটি রাজ্যের সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে তাঁর এই "Health For All"-র পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চান ।

চিকিৎসকরা ধর্মের ভিত্তিতে চিকিৎসা করেন । মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই মূলত গতকাল NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ওই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল । এই বিষয়ে কাফিল খান বলেন, " মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি একদম সহমত নই । জাতি-ধর্ম-আঞ্চলিকতা-লিঙ্গ-আর্থ-সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রতিটি রোগীর চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে ভরতির সময় চিকিৎসকদের শপথ নিতে হয় । আমার মনে হয় না, কোনও চিকিৎসক কোনও রোগীকে ধর্ম-জাতির বিচারে দেখেন । তাঁরা একজন রোগীকে রোগী হিসাবেই দেখেন, চিকিৎসা করেন ।"

Intro:কলকাতা, ২০ জুলাই: প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সিস্টেম গোটা বিশ্বের যে কোনও হেলথ কেয়ার সিস্টেমের মেরুদণ্ড। গোটা উত্তর ভারতে এই মেরুদণ্ড ভেঙ্গে পড়েছে।পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি হেলথ সেন্টারগুলিতে সন্ধ্যায় চিকিৎসক থাকেন না। ইমারজেন্সির ক্ষেত্রে রোগীকে ১০-২০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যেতে হয়। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উত্তর প্রদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কোনও পার্থক্য নেই। শনিবার এমনই বললেন চিকিৎসক কাফিল খান।
Body:২০১৭-র অগাস্ট মাসে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে বাবা রাঘবদাস মেডিকেল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে ৭০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনায় সেখানকার চিকিৎসক কাফিল খানকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। যার জেরে, জেলে থাকতে হয় এই চিকিৎসককে। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে জামিন পান তিনি। এর পরে, দেশজুড়ে "হেলথ ফর অল"-এর জন্য কাজ শুরু করেছেন চিকিৎসক কাফিল খান। গত ৮ জুলাই কলকাতায় তাঁর এই "সকলের জন্য স্বাস্থ্যে"র বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গের জন্য ঘোষণা করেন। শনিবার NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের আলোচনাসভায় তিনি অংশগ্রহণ করেন।

পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার অবস্থা কেমন? এই বিষয়ে চিকিৎসক কাফিল খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "গত বার যখন এসেছিলাম, তখন কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের অনেক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।প্রাইমারি হেলথ সেন্টার, যেটা গোটা বিশ্বের যে কোনও হেলথ কেয়ার সিস্টেমের মেরুদণ্ড। পুরো উত্তর ভারতের কথা বললে, এই মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "এখানকার চিকিৎসকরা বলেছেন, গ্রামাঞ্চলের প্রাইমারি হেলথ সেন্টারগুলিতে সন্ধ্যাবেলায় চিকিৎসক পাওয়া যায় না। তালা দেওয়া থাকে। কোনও ইমারজেন্সির প্রয়োজন হলে রোগীদের ১০-২০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যেতে হয়।" পশ্চিমবঙ্গে এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপ রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এই চিকিৎসক বলেন, "চিকিৎসক এবং রোগীদের অনুপাত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বক্তব্য অনুযায়ী এক হাজার রোগী পিছু একজন করে চিকিৎসক থাকার কথা। পশ্চিমবঙ্গে আড়াই হাজার রোগী পিছু রয়েছেন একজন করে চিকিৎসক। এই অনুপাত শহরের ক্ষেত্রে। গ্রামের দিকে এই অনুপাতের ব্যবধান অনেক বেড়ে যায়।" তিনি বলেন, "আমার মনে হয়, উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। তবে, পশ্চিমবঙ্গে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা অনেক।" কিভাবে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় উন্নতি হতে পারে? তাঁর কথায়, "সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সিস্টেমকে মজবুত করা প্রয়োজন। আমাদের এটা বুঝতে হবে, এখনও খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, শিক্ষা পর্যন্ত আমাদের সাধারন মানুষের চাহিদা রয়েছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, স্বাস্থ্যের বিষয়টিতে বাজেট তৈরি করা।"Conclusion:গত ১৪ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে "সকলের জন্য স্বাস্থ্যে"র প্রস্তাব দিয়েছেন। এ কথা জানিয়ে চিকিৎসক কাফিল খান বলেন, "স্বাস্থ্যের অধিকারের জন্য লড়াই করছি। আমাদের সংবিধানে জাতি-ধর্ম-ধনী-গরিব নির্বিশেষে ভারতীয় একজন নাগরিক হিসাবে এই অধিকার রয়েছে।" তাঁর "সকলের জন্য স্বাস্থ্য", এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি। কথা কি হয়েছে? তিনি শনিবার বলেন, "মেল করেছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে কোনও উত্তর আসেনি।" তিনি জানিয়েছেন, একজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁকে "হেলথ ফর অল"-এর প্রস্তাবের বিষয়টি বলেছেন। এই বিষয়টি ওই সংসদ সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন।

প্রতিটি রাজ্যের সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে তাঁর এই "সকলের জন্য স্বাস্থ্য"-র পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চান তিনি। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, "প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্যের বিষয়টির জন্য সরকারের দায়িত্ব থাকা উচিত।" চিকিৎসকরা ধর্মের ভিত্তিতে চিকিৎসা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শনিবার ওই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই বিষয়ে চিকিৎসক কাফিল খান বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে একদম সহমত নই। জাতি-ধর্ম-আঞ্চলিকতা-লিঙ্গ-আর্থ-সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রতিটি রোগীর চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে ভর্তির সময় শপথ নিতে হয়। আমার মনে হয় না, কোনও চিকিৎসক কোনও রোগীকে ধর্ম-জাতির ভিত্তিতে দেখেন। তাঁরা একজন রোগী হিসাবে চিকিৎসা করেন।"

________


বাইট:
wb_kol_03a_dr_kafeel_khan_health_byte_7203421
চিকিৎসক কাফিল খানের বক্তব্য



Last Updated : Jul 21, 2019, 1:52 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.