শান্তিনিকেতন, 2 ডিসেম্বর : "ন্যাক-এর পরিদর্শনে কে আসবে ঠিক করব আমি । কিন্তু, এখন আমার কোনও আগ্রহ নেই", ন্যাকের প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের আগে একটি বৈঠকে বলেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (controversial video over NAAC evaluation ) । এদিন ন্যাকের মূল্যায়নে বি প্লাস (B+) পাওয়ার পর উপাচার্যের এহেন মন্তব্যর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে বির্তক তৈরি হয়েছে ৷ যদিও, এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
2015-য় ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল-এর (National Assessment and Accreditation Council, NAAC)-এর মূল্যায়নে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati University) মান ছিল বি প্লাস (NAAC evaluation report B+) ৷ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিচে নেমে যাওয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছিল শিক্ষামহলে । সকলে ভেবেছিল এবার হয়তো উন্নত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ৷ এমনকি, ন্যাকের প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি নিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । কিন্তু, এদিন ন্যাকের মূল্যায়নে বিশ্বভারতীর মান এক রইল ৷ এর জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Vice Chancellor Bidyut Chakrabarty) কর্মকাণ্ডকেই দায়ী করেছেন পড়ুয়ারা ৷
আরও পড়ুন : Visva-Bharati NAAC Report : ন্যাকের রিপোর্টে B+, উপাচার্যকে দায়ী করলেন ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা
ন্যাকের মূল্যায়নের পর উপাচার্যের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে ৷ 16 সেপ্টেম্বর অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল একটি বৈঠকে উপাচার্যকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "তোমরা আমাকে কোন সাহসে বলছো, স্যার আপনি দায়িত্ব নিন ৷ আমি তো বলেছিলাম, ন্যাকের মান বাড়ানোর ক্ষমতা আমার আছে ৷ ইনসিস্ট করার ক্ষমতা আমার আছে ৷ আমি কেন এত উৎসাহ নিয়ে বলতাম যে, কে আসবে, না আসবে সেটা আমি ঠিক করব ৷ কিন্তু, এখন আমার কোনও আগ্রহ নেই ৷"
এই ভিডিয়োর ফলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে (Vice Chancellor Bidyut Chakrabarty) ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে । উপাচার্য গুরুত্ব না দেওয়ায় বা আগ্রহ না দেখানোয় যে ন্যাকের মূল্যায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কমেছে, সে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন সকলে ৷ ন্যাকের মূল্যায়নের উপর নির্ভর করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ । তবে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ।