বোলপুর, 29 অক্টোবর: ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেলাগাম আক্রমণ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ৷ চিঠি দিয়ে তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী 'কান দিয়ে দেখেন' ৷ এছাড়াও সরাসরি তিনি চিঠিতে কটাক্ষ করে লিখেছেন যে, 'আপনার মন্ত্রী-স্তাবকরা জেল খাটছেন'৷ পাশাপাশি, ফলক সরিয়ে নেওয়া হবে, তাও জানানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ অন্যদিকে, বিশ্ব ঐতিহ্যের ফলকে ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ, সেই নিয়ে তৃণমূলের আন্দোলন তৃতীয় দিনে পা দিল । ধরনা মঞ্চ থেকে এ দিনও উপাচার্যকে আক্রমণ করা হয় ৷
27 সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেসকো । সেই সংক্রান্ত একটি শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । তাতে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও ব্রাত্য স্বয়ং গুরুদেব । যা নিয়ে সরব হয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তিন দিন ধরে শান্তিনিকেতনে রাস্তার ধারে কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটে মঞ্চ তৈরি করে চলছে ধরনা । এ দিন, রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী প্রমুখ ধরনায় উপস্থিত ছিলেন ৷ মঞ্চ থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে আক্রমণ করেন সকলেই । রবীন্দ্রনাথের নাম যুক্ত করতে হবে, অথবা ফলক বদল করতে হবে, এই দাবিতে চলছে তৃণমূলের ধরনা-বিক্ষোভ ।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ঐতিহ্যের ফলকে ব্রাত্য রবীন্দ্রনাথ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ধরনা-বিক্ষোভে তৃণমূল
আন্দোলন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়ে বেলাগাম আক্রমণ করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । চিঠিতে ফের উপাসনাগৃহে সামনের রাস্তা চাওয়া হয় । পাশাপাশি লেখা হয়, 'আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন' । শুধু এটুকুই নয়, নজিরবিহীন আক্রমণ করে উপাচার্য লেখেন, "আপনার দুই সিনিয়র মন্ত্রী জেলে আছেন । আপনার বিশ্বস্ত সহযোগীরা তিহাড়ে বন্দি । আপনার সরকারের উপাচার্য জেলে ।"
এছাড়াও বিস্ফোরক এই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূল সরকার কয়লা, গরু, রেশন, চোরাচালান কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত । অর্থাৎ, ফলক বিতর্কের আন্দোলন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এ ভাবেই বেলাগাম আক্রমণ করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ৷
প্রসঙ্গত, এর আগেও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি ইস্যুতে পাশে দাঁড়ানোয় মুখ্যমন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের।