শান্তিনিকেতন, 30 সেপ্টেম্বর : বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) ওয়েবসাইটে এমএড পরীক্ষার বিভ্রান্তিকর মেধাতালিকা প্রকাশের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হল ৷ বৃহস্পতিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানিয়েছে বিশ্বভারতীর অ্যাডমিশন সেল ৷
আরও পড়ুন : Visva-Bharati University : বিতর্কের জের, এমএড-এর মেধাতালিকা ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার করল বিশ্বভারতী
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর এমএড পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বর 100 ৷ অথচ, ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, 100 নম্বরের সেই পরীক্ষায় অনেকেই 100-এর থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন ! এমনকী, কারও ঝুলিতে 200 নম্বরও জুটেছে ! যা পরীক্ষার মোট নম্বরের দ্বিগুণ ৷ যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বিশ্বভারতীতে ৷ প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এমএড-এর মেধাতালিকা প্রকাশিত হয় ৷ সেই মেধাতালিকার নম্বর দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে ৷ 100 নম্বরের মধ্যে কেউ পেয়েছেন 151, কেউ পেয়েছেন 196, কারও আবার প্রাপ্ত নম্বর 198 ৷ এমনকী, 100 নম্বরের মধ্যে 200 নম্বরও পেয়েছে একজন !
এমন বিভ্রান্তিকর মেধাতালিকা ঘিরে বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছিল ৷ কীভাবে এই ধরনের আজব মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও, কেন ওয়েবসাইটে তা পোস্ট করার আগে সংশ্লিষ্ট কারও বিষয়টি চোখে পড়ল না, তা নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ৷ এই বিভ্রান্তিকর মেধাতালিকা অনুযায়ী কীভাবে উচ্চস্তরের পাঠক্রমে ভর্তি হওয়া যাবে, তা নিয়েও সংশয়ে ছিলেন পড়ুয়ারা ৷
সূত্রের খবর, বিশ্বভারতীর এমএড পরীক্ষায় মোট 100 নম্বরের মধ্যে 60 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় ৷ বাকি 40 নম্বরের মধ্যে 10 নম্বর করে শতাংশের বিচারে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও বিএড-এর নম্বর যোগ করা হয় ৷ লিখিত পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে এই পরীক্ষাগুলির নম্বরের শতাংশ যোগ করে মেধাতালিকা প্রকাশ কার হয়।
আরও পড়ুন : Visva-Bharati University : এমএড-এ একশোর মধ্যে দু'শো ! বিভ্রান্তিকর মেধাতালিকা বিশ্বভারতীতে
বিতর্কের জেরে তড়িঘড়ি ওয়েবসাইট থেকে বিনয় ভবনের এমএড-এর মেধাতালিকা প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ এরপরই এদিন এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ কেন এমন বিভ্রান্তিকর মেধাতালিকা প্রকাশিত হল, তা এই কমিটি তদন্ত করে দেখবে ৷ বিশ্বভারতীর অ্যাডমিশন সেলের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনই জানানো হয়েছে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত সংশোধিত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি ৷ কবে তা প্রকাশ করা হবে, তা পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷