বোলপুর, 26 ডিসেম্বর: উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করতে অর্থ সংগ্রহের জন্য বিকল্প পৌষমেলায় স্টল করেছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা (Stall Visva Bharati Student) ৷ এই স্টলে বিক্রির লভ্যাংশ উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে খরচ করা হবে ৷ বিশ্বভারতীর কলাভবন, শিল্প সদন-সহ অন্যান্য ভবনের পড়ুয়াদের তৈরি শিল্প সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে এই স্টলগুলিতে ৷ 2020 সালের মত এবারও হয়নি শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা ৷ এই পৌষমেলার উপর নির্ভর করে বোলপুর-শান্তিনিকেতন-সহ সংলগ্ন এলাকার আর্থসামাজিক ব্যবস্থা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা না করায় বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করে। সহযোগিতা করেছে রাজ্য সরকার।
এই মেলার সূচনা করেছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর-সহ বিশ্বভারতীর প্রাক্তন দুই উপাচার্য। 2019 সাল থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আন্দোলন চলছে। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে এখনও। বিকল্প পৌষমেলায় বিশ্বভারতীর বাম সমর্থিত পড়ুয়ারা একটি স্টল করেছে ৷ সেখানে পাওয়া যাচ্ছে কলাভবন, শিল্প সদন-সহ বিভিন্ন ভবনের পড়ুয়াদের তৈরি শিল্প সামগ্রী। শৈল্পিক ক্যালেন্ডার, গ্রিটিংস কার্ড, কানের দুল, ব্যাগ, আঁকা ছবি, ওড়না, চাদর প্রভৃতি। স্টলে লাগানো একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, বিশ্বভারতীতে গৈরিকিকরণের প্রতিবাদ ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে চলতে থাকা ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে ছাত্রছাত্রীদের কাজ কিনুন স্টল থেকে।
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার খরচ তুলতে মেলায় স্টল করেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। আগামিদিনে যে ফের পড়ুয়ারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছেন, সেই বার্তাও এই স্টল থেকেই মিলেছে ৷ পড়ুয়াদের মধ্যে শুভ নাথ ও সোমনাথ সৌ বলেন, " আমাদের স্টলে ছাত্রছাত্রীদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। যা লাভ হবে সেই টাকা আগামিদিনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে কাজে লাগাব ৷ মূলত সেই উদ্দেশ্যেই এই স্টল করেছি। আন্দোলন চালাতে একটা বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয় ৷ সেটা কিছুটা মিটবে।"