বোলপুর, 8 নভেম্বর: পূর্বের ন্যায় ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা পূর্বপল্লির মাঠেই আয়োজন করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এই দাবিতে বিশ্বভারতী জুড়ে পোস্টার দিল ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন । তাদের দাবি, ঐতিহ্যের পাশাপাশি প্রান্তিক স্তরের মানুষের রুজিরুটি জড়িত এই মেলার সঙ্গে ৷ তাই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নিজের দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে পৌষমেলার আয়োজন করুক।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ট্রাস্ট ডিড অনুযায়ী, প্রতি বছর পৌষ মাসের 7 তারিখ পৌষ উৎসব ও পৌষমেলার আয়োজন করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ৷ এতে সহযোগিতা করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । 2020 সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল পৌষমেলা । 2021 সালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও একই কারণে মেলা বন্ধ রাখা হয় ৷ আর যার জেরে হতাশ হয়ে পড়ে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের মানুষ । তাই এই বছর বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে পৌষমেলা নামেই একটি মেলা করে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ৷ সহযোগিতা করেছিল বোলপুর পৌরসভা ৷
যদিও সেই মেলায় ঐতিহ্যের অভাব ছিল ৷ এবারও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অন্তঃদ্বন্দ্বে কার্যত অনিশ্চয়তার মুখে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা । জলাশয়ে কচুরিপানা ভর্তি, তাই পূর্বপল্লীর মাঠে মেলা করা সম্ভব নয়, বোলপুর পৌরসভা ডাকবাংলো মাঠে মেলা করুক । এই দাবিতে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট বোলপুর পৌরসভাকে চিঠি দেয় ৷ অর্থাৎ ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলাকে রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিতে চাইছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট । যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ।
আরও পড়ুন: পৌষমেলার জন্য পূর্বপল্লির মাঠ ভাড়া চাইবে বোলপুর পৌরসভা
বিশ্বভারতী পড়ুয়াদের দাবি, এই পৌষমেলা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি এর উপর প্রান্তিক স্তরের মানুষের রুজিরোজগার নির্ভর করে ৷ তাই আগের মতো পূর্বপল্লির মাঠেই পৌষমেলার আয়োজন করুক বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । পড়ুয়াদের মধ্যে শুভ নাথ, সায়ন সরকার বলেন, "যেমনভাবে এতকাল পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হয়ে এসেছে, তেমনভাবেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে মেলার আয়োজন করতে হবে ৷ ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলাকে কোনওভাবে বন্ধ করা যাবে না, বা অন্যের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না ।"