মানসিক অবসাদ কাটাতে বৃদ্ধাশ্রমে রবীন্দ্রসংগীত পড়ুয়াদের

লকডাউনে মানসিক অবসাদে ভুগছেন অনেকেই । বিশেষ করে বৃদ্ধ মানুষেরা । তাঁদের কথা ভেবেই আজ শান্তিনিকেতনের একটি বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রমে যান বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । ওই বৃদ্ধাশ্রমের সকলকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়ারা রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনান । এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁদের হাতে ফল ও শুকনো খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন ।

শান্তিনিকেতন , 23 মে : লকডাউনে মানসিক অবসাদ কাটাতে বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনিয়ে উৎসাহিত করলেন বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়ারা । সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । পাশাপাশি, তাঁদের হাতে ফল ও শুকনো খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর তরফে।

কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে লকডাউন । এই লকডাউনে অনেকেরই মনের অবস্থা ঠিক নেই । মানসিক অবসাদে ভুগছেন শিশু ও বৃদ্ধরা । তাই আজ শান্তিনিকেতন সংলগ্ন একটি বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রমে যান বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রায় 100 জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থাকেন সেখানে । তাঁদের মানসিক অবসাদ কাটাতে বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়ারা রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে শোনান ।

শুধুমাত্র পড়ুয়ারা নয় । বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরাও গান গেয়ে , নেচে নিজেদের মনের অবসাদ দূর করার চেষ্টা করেন । 84 বছরের এক বৃদ্ধা প্রণতি লাহিড়ি উপাচার্যের সামনে নৃত্য পরিবেশন করেন ও 64 বছরের এক বৃদ্ধা তাপসী রায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন । এইভাবেই বিশ্বভারতীর তরফে তাঁদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করা হয় । এছাড়া, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হাতে বিভিন্ন ফল, শুকনো খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন উপাচার্য । উপাচার্য ছাড়াও সেখানে ছিলেন , বিশ্বভারতীর অন্যান্য আধিকারিক, কর্মী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা ।