ETV Bharat / state

Visva-Bharati VC Bidyut Chakrabarty: 'বসন্ত তাণ্ডব' রুখতে বসন্তোৎসব বন্ধ করা হয়েছে, ব্যাখ্যা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের - উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

এ বছর বিশ্বভারতীতে হবে না বসন্তোৎসব ৷ তার বদলে 'বসন্ত বন্দনা' হবে বলে জানান উপাচার্য (Visva-Bharati VC Bidyut Chakrabarty) ৷ বসন্তোৎসবকে তাণ্ডব বলে আখ্যা দিলেন তিনি ৷

Visva Bharati University ETV Bharat
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
author img

By

Published : Mar 1, 2023, 1:04 PM IST

বসন্তোৎসবকে তাণ্ডব বলে আখ্যা দিলেন উপাচার্য

বোলপুর, 1 মার্চ: "যাঁরা প্রথার কথা বলেন তাঁরা বসন্তোৎসবের নামে বসন্ত তাণ্ডব চান ।" একথা বললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাণ্ডব বন্ধ করতেই বসন্তোৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । তার বদলে নিজেদের মধ্যে বসন্ত বন্দনা হবে । বুধবারের উপাসনা থেকে এমনটাই জানালেন উপাচার্য । অর্থাৎ, দোলের দিন হচ্ছে না বাঙালির চিরপরিচিত বসন্তোৎসব । 2 ও 3 মার্চ বসন্ত বন্দনা হবে বিশ্বভারতীতে ৷

প্রসঙ্গত, 2019 সালে শেষ বার বসন্তোৎসব হয়েছিল বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati University) ৷ উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল সেবারও । ক্ষতি হয়েছিল বিশ্বভারতীর বহু ঐতিহ্যবাহী ভবন ও ভাস্কর্যের । তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । কীভাবে এত সংখ্যক মানুষের প্রবেশ বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছিল ৷ 2020 সালে যদিও কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বসন্তোৎসব । 2021 ও 22 সালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে শুধুমাত্র পড়ুয়াদের নিয়ে হয়েছিল বসন্তোৎসব ।

এবার হচ্ছে না বসন্তোৎসব । হবে 'বসন্ত বন্দনা' ৷ তবে সময়ের আগে 3 মার্চ হচ্ছে এই 'বসন্ত বন্দনা'। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় থেকেই ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্নিমার দিন বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব হয়ে আসছে । তাই স্বাভাবিকভাবেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রথা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে । এই প্রসঙ্গে অবশ্য ব্যাখ্যা দিলেন উপাচার্য । বুধবারের উপাসনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "সবাই বলছেন প্রথা ভেঙে বসন্তোৎসব করা হল না । অর্থাৎ, যারা প্রথার কথা বলেন তারা প্রথার নামে বসন্ত তাণ্ডব চান ৷ আমরা সেই বসন্ত তাণ্ডবের পক্ষপাতি নই ৷ আমাদের পাঠভবনের পড়ুয়ারা বসন্ত আহ্বান করেছে । এবার আমরা বসন্ত বন্দনা করব ৷ এটা বিশ্বভারতীর উৎসব ।"

এছাড়াও, উপাচার্য জানান, তিনি একটা সাবধান বাণী উচ্চারণ করতে চান ৷ বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিততে ভরে গিয়েছে । অশিক্ষিতদের তিনি দোষ দেন না । কারণ তাদের শিক্ষা দেওয়া যায় । কিন্তু, অল্প শিক্ষিতরা খুব ক্ষতিকারক । এদিন উপাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করতে বসন্তোৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, কর্মী-আধিকারিক, অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের নিয়ে হবে 'বসন্ত বন্দনা' । তাও দোল উৎসবের আগে ।

আরও পড়ুন: প্রথা ভেঙে কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে এবার অকাল বসন্তোৎসব, সূচি প্রকাশ কর্তৃপক্ষের

বসন্তোৎসবকে তাণ্ডব বলে আখ্যা দিলেন উপাচার্য

বোলপুর, 1 মার্চ: "যাঁরা প্রথার কথা বলেন তাঁরা বসন্তোৎসবের নামে বসন্ত তাণ্ডব চান ।" একথা বললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাণ্ডব বন্ধ করতেই বসন্তোৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । তার বদলে নিজেদের মধ্যে বসন্ত বন্দনা হবে । বুধবারের উপাসনা থেকে এমনটাই জানালেন উপাচার্য । অর্থাৎ, দোলের দিন হচ্ছে না বাঙালির চিরপরিচিত বসন্তোৎসব । 2 ও 3 মার্চ বসন্ত বন্দনা হবে বিশ্বভারতীতে ৷

প্রসঙ্গত, 2019 সালে শেষ বার বসন্তোৎসব হয়েছিল বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati University) ৷ উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল সেবারও । ক্ষতি হয়েছিল বিশ্বভারতীর বহু ঐতিহ্যবাহী ভবন ও ভাস্কর্যের । তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । কীভাবে এত সংখ্যক মানুষের প্রবেশ বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছিল ৷ 2020 সালে যদিও কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বসন্তোৎসব । 2021 ও 22 সালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে শুধুমাত্র পড়ুয়াদের নিয়ে হয়েছিল বসন্তোৎসব ।

এবার হচ্ছে না বসন্তোৎসব । হবে 'বসন্ত বন্দনা' ৷ তবে সময়ের আগে 3 মার্চ হচ্ছে এই 'বসন্ত বন্দনা'। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় থেকেই ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্নিমার দিন বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব হয়ে আসছে । তাই স্বাভাবিকভাবেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রথা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে । এই প্রসঙ্গে অবশ্য ব্যাখ্যা দিলেন উপাচার্য । বুধবারের উপাসনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "সবাই বলছেন প্রথা ভেঙে বসন্তোৎসব করা হল না । অর্থাৎ, যারা প্রথার কথা বলেন তারা প্রথার নামে বসন্ত তাণ্ডব চান ৷ আমরা সেই বসন্ত তাণ্ডবের পক্ষপাতি নই ৷ আমাদের পাঠভবনের পড়ুয়ারা বসন্ত আহ্বান করেছে । এবার আমরা বসন্ত বন্দনা করব ৷ এটা বিশ্বভারতীর উৎসব ।"

এছাড়াও, উপাচার্য জানান, তিনি একটা সাবধান বাণী উচ্চারণ করতে চান ৷ বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিততে ভরে গিয়েছে । অশিক্ষিতদের তিনি দোষ দেন না । কারণ তাদের শিক্ষা দেওয়া যায় । কিন্তু, অল্প শিক্ষিতরা খুব ক্ষতিকারক । এদিন উপাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করতে বসন্তোৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, কর্মী-আধিকারিক, অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের নিয়ে হবে 'বসন্ত বন্দনা' । তাও দোল উৎসবের আগে ।

আরও পড়ুন: প্রথা ভেঙে কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে এবার অকাল বসন্তোৎসব, সূচি প্রকাশ কর্তৃপক্ষের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.