বোলপুর, 28 অক্টোবর: বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে বাসভবন থেকে বের করে বীরভূম থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি তৃণমূল নেতার ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলা ধরনা মঞ্চ থেকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে এই হুমকি দেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা ৷ শান্তিনিকতনে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি ফলকে ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । এরই প্রতিবাদে দুই দিন ধরে চলছে তৃণমূলের অবস্থান-বিক্ষোভ । সেখান থেকেই এই হুমকি দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ৷
মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা তথা নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা বলেন, "নিজের নামটা খোদাই করে রেখে যেতে চাইছেন রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলে । আমরা চাইলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আপনাকে (উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী) বাড়ি থেকে টেনে বের করে আনতে পারি ৷ মুখ্যমন্ত্রী যদি নির্দেশ দেন আপনাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে বোলপুর, বীরভূম ছাড়া করতে বেশি সময় লাগবে না ৷ আর এসব ফলক থাকবেও না । আপনি আমাদের পায়ের নিচে থাকবেন ।"
উল্লেখ্য, 27 সেপ্টেম্বর ইউনেসকো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' বা 'বিশ্ব ঐতিহ্যের' তকমা দিয়েছে । এই নিয়ে ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে তিনটি শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । সেই ফলকে লেখা রয়েছে, ‘ইউনেসকোর স্বীকৃতি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ । আর নিচে নাম রয়েছে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর । ফলকে ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম । যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷
এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ তিনি দলের নেতা-মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অবস্থান-বিক্ষোভ করার জন্য । সেই মতো 27 অক্টোবর থেকে শান্তিনিকেতন রাস্তার উপর কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটে শুরু হয়েছে ধরনা ৷ এ দিন ধরনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল-সহ তৃণমূল কাউন্সিলর, নেতারা ৷ বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রবীন্দ্রনাথ আমাদের অঙ্গে অঙ্গে । তাঁকে বাদ দিয়ে কোনও কিছুই হয় না৷ তাই আমাদের আন্দোলন চলবে ।"
আরও পড়ুন: বিশ্ব ঐতিহ্যের ফলকে ব্রাত্য রবীন্দ্রনাথ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ধরনা-বিক্ষোভে তৃণমূল