সিউড়ি, 27 সেপ্টেম্বর: সাত বছর ধরে কেন্দ্রের দ্বিচারিতায় ধীরগতিতে চলছে রেল ওভারব্রিজের কাজ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেল ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদে বিক্ষোভে বসলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। সঙ্গে ছিলেন সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ-সহ বীরভূম জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, সেতু নির্মানে সাত বছর টালবাহানা করেছে রেল। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে জেলা সদরের বাসিন্দাদের। কবে এর মুক্তি মিলবে ?
সাত বছর আগে, সিউড়ি বোলপুরের ব্যস্ততম রাস্তার উপর হাটজন বাজারে রেলের ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই কাজ 2017 শুরু করে 2023, কাজ চলছে ঢিমেতালে। অথচ একই সঙ্গে বরাত পাওয়া বর্ধমানের একই ধরনের ওভারব্রিজের চার বছর আগে সম্পন্ন হয়ে তা উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। অথচ, বিভিন্ন টালবাহানা করে সিউড়িতে আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার।
শতাব্দী রায় এদিনের সভায় গোছা গোছা চিঠি দেখিয়ে দাবি করেন, "2017 সাল থেকে চিঠি দিচ্ছি। সংসদে দাবি জানাচ্ছি। রেলমন্ত্রীর কাছে দরবার করছি। শুধু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছু মিলছে না।" গত মাসে সিউড়িতে পৌরপ্রধানের শপথের দিনেই রেল রোকো এবং অবস্থানের ডাক দিয়েছিলেন শতাব্দী রায়। তারপর চারদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায়, কাজের ওয়ার্ক অর্ডারের ছবি দিয়ে পোস্ট করে দাবি করেন, রেলব্রিজের কাজ পুজোর আগেই শুরু হবে। তাঁর আবেদনেই দল নাকি এই ছাড়পত্র দিয়েছে বলে মঙ্গলবার সিউড়ি জুড়ে স্ট্রির্ট কর্ণার করে প্রচার করে বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সিউড়ির রেলট্র্যাকে সাংসদ-বিধায়কদের বসিয়ে দিয়েছি । তাঁরা আন্দোলন বিক্ষোভ করেছেন। 3টি ঠিকাদার স্থানীয়দের উৎপাতে পালিয়ে গিয়েছে । যখন তৃণমূল অবরোধ করছে তখন পাশেই বরাত পাওয়া সংস্থা কাজের সার্ভে শুরু করে দিয়েছে। তিন-চারদিনের মধ্যে রেলের কাজ শুরু হবে । তৃণমূল সেতু নিয়ে নতুন নাটক করছে ।"
আরও পড়ুন: সিবিআই নাকি ইডি ডেকেছে, মলয়ের দিল্লি যাওয়ার কথা শুনে প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
শতাব্দী রায় বলেন, "আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এতবার আবেদন করেছি অথচ বিজেপির কে একজন দাবি করল তাঁর কথায় দিল ! তাহলেই বোঝা যাচ্ছে কারা নোংরা রাজনীতি করছে। 2017 সাল থেকে আমি লড়ছি। এটা লোকসভা রাজনীতির কোনও ইস্যুই হতে পারে না। ঘোলা জলের এমন মাছ আমি আগেই ধরে দিয়েছি। প্রকৃত ঘটনা কী লোকের জানা দরকার। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাই প্রতিবাদ করছি। আমরা চাই দ্রুত কাজ হোক, সময়ে শেষ হোক ।"