তারাপীঠ, 3 নভেম্বর: লোকসভায় সতীর্থ মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়ালেন শতাব্দী রায় ৷ পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভার এথিক্স কমিটির এক্তিয়ার নিয়েও ৷ শুক্রবার বীরভূমের তারাপীঠে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি মহুয়ার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার বিষয়ে সরাসরি তোপ দাগেন কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ৷
বীরভূমের সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের শতাব্দী রায় বলেন, "শুধু আদানি বিষয়ক প্রশ্নের জন্য নয়, মহুয়া মৈত্র সব বিষয়ে আক্রমণাত্মক ৷ তাই তাঁকে বিজেপি টার্গেট করছে । এখনও প্রমাণিত হয়নি যে উনি কী করেছেন । সেটা উনি প্রমাণ দেবেন । মহুয়ার জনপ্রিয়তার জন্য এই ভাবে তাঁকে বিজেপির আক্রমণ করার কারণ বলে আমার মনে হয় ।"
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে লোকসভায় ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ৷ আইনজীবী ও মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের কাছ থেকে এই বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন বলে নিশিকান্তের দাবি ৷
বিজেপির এই সাংসদের অভিযোগ, দর্শন হিরানন্দানি নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে মহুয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আদানিদের বিরুদ্ধে লোকসভায় প্রশ্ন করেছেন ৷ এই নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি লেখেন নিশিকান্ত দুবে ৷ তার পর বিষয়টি চলে যায় লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে ৷
এখন এথিক্স কমিটি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ৷ ইতিমধ্যে তারা কথা বলেছে নিশিকান্ত দুবে ও জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের সঙ্গে ৷ গতকাল, বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হন মহুয়া মৈত্র ৷ কিন্তু মাঝপথে বৈঠক ছেড়ে তিনি বেরিয়ে আসেন ৷ দাবি করেন যে তাঁকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হয়েছে ৷ এই নিয়ে কমিটির বিরোধী সাংসদ সদস্যরাও হইচই করেন ৷
শুক্রবার লোকসভার এথিক্স কমিটির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শতাব্দী রায় ৷ তাঁর কথায়, "এথিক্স কমিটিকে একটি বাউন্ডারির মধ্যে থাকা উচিত । আর উনি একা ওয়াক আউট করে বেরিয়ে এসেছেন তা না, বিরোধীরা সবাই বেরিয়ে এসেছেন ।"
আরও পড়ুন: 'রাতে কার সঙ্গে কথা', এথিক্স কমিটির নোংরা প্রশ্নে স্পিকারকে চিঠি ক্ষুব্ধ মহুয়া