সাঁইথিয়া, 17 এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত জীবনকৃষ্ণর দুর্নীতির দায় তিনি নেবেন না, পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন তাঁর বাবা বিশ্বনাথ সাহা । আজ, সোমবার বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাড়িতে বসে এমনটাই জানালেন তিনি ৷ এদিনই নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ৷ তার পরই তিনি মুখ খুলেছেন তিনি ৷ একই সঙ্গে ছেলের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন বিশ্বনাথ ।
তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাবা থাকেন বীরভূমের সাঁইথিয়া পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডের লাউতোরে । অভিযোগ, ছেলের অত্যাচারেই সাঁইথিয়া পালিয়ে আসেন বিশ্বনাথ । কিন্তু তাতেও ছেলের অত্যাচার থেকে রেহাই পাননি তিনি । বিশ্বনাথ সাহা বলেন, “কয়েক বছর ধরে ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই । তারপরও আমার ব্যবসায় অনেক ক্ষতি করেছে । ব্যবসা বন্ধের হুমকি দিয়ে গিয়েছিল । মিড ডে মিলের চাল-ডাল সরবরাহের দায়িত্ব বিডিও অফিসের মাধ্যমে পেয়েছিলাম । কিন্তু ছেলে মোটা টাকা ঘুষ নিয়ে আমার সেই অর্ডার বাতিল করিয়েছে । এমনকি সাঁইথিয়ায় এসে আমাকে মারধর করে গিয়েছিল । জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গিয়েছিল দিন সাতেক আগে ৷”
জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ সাহার জন্মভিটে মুর্শিদাবাদের আন্দি গ্রামে । তিনি প্রথম বিয়ে করেন বেলারানি সাহাকে । প্রথম পক্ষের দুই মেয়ে ও এক ছেলে । এরই মধ্যে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন গায়েত্রী সাহাকে । এনিয়ে অশান্তি শুরু হওয়ায় দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের আন্দির পাট চুকিয়ে সাঁইথিয়া চলে আসেন তিনি । সেখানেই রাইস মিল করে ব্যবসা শুরু করেন ।
জীবনকৃষ্ণ বিশ্বনাথ সাহার প্রথম পক্ষের ছেলে ৷ তিনি আন্দির বাড়িতে মা বেলারানি সাহা ও দুই বোনকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন । এদিকে বিশ্বনাথের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলের কয়েক বছর আগে সাঁইথিয়া-রামপুরহাটের মাঝে রেল লাইন থেকে মৃতদেহ পাওয়া যায় । সেই নিয়েও রহস্য রয়েছে ৷ তা এখনও সমাধান হয়নি ৷
সাঁইথিয়া শহরেই থাকেন জীবনকৃষ্ণর পিসি মায়ারানি সাহা । তিনি সাঁইথিয়া পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর । শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী । জীবনকৃষ্ণ ওই বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন বলে জানিয়েছেন বাবা বিশ্বনাথ সাহা । যদিও সেই কথা স্বীকার করেনি মায়ারানি সাহার ঘনিষ্ঠরা । তবে পিসির বাড়িতে কেউ না থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি ৷
আরও পড়ুন: চার দিনের সিবিআই হেফাজতে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা
