বীরভূম, 20 জুন: বীরভূম জেলায় 3 মহকুমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার বোলপুরে ৷ ইতিমধ্যে এই মহকুমায় 4টি পঞ্চায়েত সমিতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে তৃণমূল ৷ সেই সঙ্গে বোলপুর মহকুমার 4টি ব্লকে 40টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে 39টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জয়লাভ করল শাসকদল ৷ বাকি রামপুরহাটে মাড়গ্রাম 2 ও সিউড়িতে লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের দখলে গেল ৷
2013 ও 2018 সালে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে বীরভূম জেলাপরিষদ সম্পূর্ণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল শাসকদল ৷ আর গুটিকতক পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছিল সেই দুই নির্বাচনে ৷ এবার গরুপাচার ও হাওয়ালা মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত ৷ কেষ্টহীন বীরভূমের 167টি গ্রাম পঞ্চায়েতের 60 শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিরোধিরা ৷ সেই সঙ্গে 19টি পঞ্চায়েত সমিতির 75 শতাংশ আসনে ও জেলা পরিষদের 52টি আসনেই মনোনয়ন দাখিল করেছিল বিরোধী বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস ৷
মনোনয়ন দাখিল হলেও, বীরভূমের তিনটি মহকুমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে বোলপুরে ৷ অভিযোগ উঠেছে, এই মহকুমায় বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হুমকি ও মারধর করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ তাই লাভপুর, বোলপুর, ইলামবাজার ও নানুর পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের দখলে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী শিবির ৷ শুধু তাই নয়, লাভপুর ব্লকে 11টি গ্রাম পঞ্চায়েত, নানুর ব্লকে 11টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ইলামবাজার ব্লকে 10টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকে 9টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে 8টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের হিড়িক, 17টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে
অর্থাৎ, রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়া 40টির মধ্যে 39টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল ৷ এছাড়া, লাভপুরে 1টি জেলা পরিষদের আসনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় শাসকের দখলে গিয়েছে ৷ মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরিসংখ্যানে অবশ্য পিছিয়ে রামপুরহাট ও সিউড়ি মহকুমা ৷ এই দুই মহকুমায় 2টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে ৷ বাকিগুলিতে যথারীতি নির্বাচন হবে আগামী 8 জুলাই ৷ বীরভূমে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে বোলপুর, নানুর, লাভপুর ও ইলামবাজারে বিরোধীরা অনেকটাই কোণঠাসা ৷