বোলপুর, 31 মে : হারিয়ে যেতে বসেছে কোপাই নদী । রাতের অন্ধকারে নদীর পাড় কেটে চলছে ইটভাটার কাজ । নজর নেই প্রশাসনের । শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত গোয়ালপাড়া, আদিত্যপুর, কঙ্কালীতলা প্রভৃতি এলাকাগুলিতে প্রায় সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে নদী । বহু চাষের জমি ইতিমধ্যেই তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় স্থান পেয়েছে এই কোপাই নদী । এমন কী, কোপাই নদীকে নিয়ে বহু লেখকের একাধিক লেখা রয়েছে । ছোটো এই নদীটি বীরভূমের ঐতিহ্যের ধারক । বীরভূমের মধ্যে এই একমাত্র নদী যা থেকে বালি তোলার অনুমতি মেলে না প্রশাসনের তরফে । কিন্তু, শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত গোয়ালপাড়া, আদিত্যপুর, কঙ্কালীতলা প্রভৃতি এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর পাড় কেটে নেওয়া হচ্ছে । এই এলাকাগুলিতে কোপাই নদীর তীরে রয়েছে একাধিক ইটভাটা । নদীর পাড় কেটে ইট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয় ।
লকডাউনের মাঝে রাতের অন্ধকারে কেটে নেওয়া হচ্ছে কোপাই নদীর পাড় । পাড় কাটতে কাটতে এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে, নদী প্রায় সমতল ভূমির রূপ নিয়েছে । বহু চাষের জমি ইতিমধ্যেই তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে । এমন কী, দিনের আলোয় চলছে নদীর পাড় কাটা । প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ঐতিহ্যবাহী কোপাই নদী কার্যত হারিয়ে যেতে বসেছে । এইভাবে নদীর পাড় কাটা চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই বীরভূম জেলার ম্যাপ থেকে হারিয়ে যাবে এই কোপাই নদী ।
নদীর পাড় কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন বোলপুরের BDO শেখর সাই । বলেন, "লকডাউনে পুলিশ ও প্রশাসন অন্য কাজে ব্যস্ত রয়েছে । তাই এই বিষয়গুলির উপর নজর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ।"