রামপুরহাট, 12 অগাস্ট : প্রশাসককে পদ থেকে না সরালে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে চিঠি দিলেন 10 জন কাউন্সিলর । রামপুরহাট পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিদায়ী চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারিকে প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় । বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে নিয়ে বৈঠক ডাকলেও ওই 10 জন কাউন্সিলর উপস্থিত হননি ।
কোরোনা আবহে পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায় । রামপুরহাট পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় । বিদায়ী চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারিকেই প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় । প্রসঙ্গত, তৃণমূল পরিচালিত রামপুরহাট পৌরসভায় চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারির সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন কারণ নিয়ে কলহ চলছে কাউন্সিলরদের একাংশের ।
এদিন, ওই 10 কাউন্সিলর তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে একটি চিঠি দেন । সেই চিঠিতে উল্লেখ করেন, প্রশাসক অশ্বিনী তেওয়ারি কারও সঙ্গে কোনও কিছু নিয়ে আলোচনা না করে কাজ করে চলেছেন । "তিনি রাজা, বাকি সবাই প্রজা", এমনটাও উল্লেখ করা হয় ।
প্রশাসক পদ থেকে অশ্বিনী তেওয়ারিকে না সরালে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় ওই 10 কাউন্সিলর । কাউন্সিলর আব্বাস হুসেন, প্রিয়নাথ সাউ, পারমিতা চট্টোপাধ্যায়, ঋণা গুপ্ত, মধুমিতা শর্মা, সুকান্ত সরকার, জামালউদ্দিন শেখ, সুদেব দাস, ভগীরথ দাস, প্রজাপতি ধীবর সই করে অনুব্রত মণ্ডলকে চিঠি দেন ।
জানা গিয়েছে, দলীয় কাউন্সিলরদের এই বিবাদ মেটাতে আজই একটি বৈঠক ডাকেন কৃষি মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না ওই দশ জন । উল্লেখ্য, এই দশ জন তৃণমূল কাউন্সিলর BJP-তে যোগ দিতে পারেন । এমন জল্পনা রয়েছে এলাকায় ।
যদিও, এই প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে চাননি অনুব্রত মণ্ডল । বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের মধ্যে আব্বাস হুসেন বলেন, "উনি (অশ্বিনী তেওয়ারি) যা দুর্নীতি করেছেন, তাতে তাঁর যাবজ্জীবন হয়ে যাবে । আমরা দলকে ভালোবাসি । উনি প্রশাসক থাকলে আমরা থাকব না । আজ অনুব্রত মণ্ডল, রানা সিংহকে ফ্যাক্স করে চিঠি দিয়েছি ।"
রামপুরহাট পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, "ওরা কেন এমন করছে জানি না । ওদের আজ মিটিংয়ে ডেকেছিলেন মন্ত্রী, কিন্তু ওরা আসেননি ।"