তারাপীঠ, 25 মে: তারাপীঠে দিনদিন বেড়েই চলেছে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজ কর্ম। আর এবার তাতেই নতুন সংযোজন অনুমতি ছাড়া ডান্স বার। তীর্থক্ষেত্রে বাউন্সার দিয়ে চলছে বার। সন্ধ্যা হতেই ছোট ছোট পোশাকে চটুল গানের সঙ্গে চলেছে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গির নাচ। যত রাত বাড়ছে, অশ্লীলতা ততই বেড়েই চলেছে। ওড়ানো হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। মদ্যপানে এবং মহিলাদের নৃত্যে বুঁদ হলেই করা হয় সর্বস্বান্ত। অভিযোগ, কেড়ে নেওয়া হচ্ছে মোবাইল, সোনার গয়না। এমনই অভিযোগ পেয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকেও বার বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ এখন রাজ্য তথা ভিন রাজ্যেও ছড়িয়ে দেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এই তীর্থক্ষেত্র আগত যাত্রীদের নেশায় বুঁদ করে অর্থ উপার্জন করতে মন্দিরের ঢিল ছোড়া দূরত্বে গজিয়ে উঠেছে অবৈধ ডান্স বার। প্রশাসনকে আড়ালে রেখে চালানো হচ্ছে স্বল্প পোশাকের তরুণীদের নৃত্য। প্রায় দিন এ নিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয় সেখানে। নেশায় মদ্যপদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী টাকা, মোবাইল, সোনার গয়নাও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কয়েক দিন ধরে এই বারের একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও ইটিভি ভারত এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। তাতে দেখা যাচ্ছে এক যুবতী হিন্দি গানে নাচ করছেন। পিছনে বসে বেশ কয়েক জন তরুণী। আর তারপর থেকেই বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থা থেকে আরম্ভ করে রাজনৈতিক দলগুলিও এই বার বন্ধের দাবি জানিয়েছে। বীরভূম বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি রেশমি দে বলেন, "অবিলম্বে এই অসামাজিক কাজ বন্ধ করতে হবে। তারাপীঠের পবিত্র ভূমিতে এই ধরনের অসামাজিক কাজ চলতে দেব না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এই বার বন্ধ হোক। না-হলে আমাদের আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হবে ।"
আরও পড়ুন: হুক্কা বার বন্ধ করা নিয়ে অনড় ফিরহাদ, এবার আইন প্রণয়নের ভাবনা
সম্প্রতি জয়ন্ত রায় নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে এমনই ঘটনা ঘটেছে। তিনি প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন,"বারের ভিতর রাত বাড়লে মদের সঙ্গে ড্রাগ মেশানো হয়। হুক্কায় গাঁজা, চরস মিশিয়ে সবকে বুঁদ করে চলে লুটপাট। আমার সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হয়েছে। সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে। আমি প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।" এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মন্দির কমিটিও। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, "কোনও তীর্থক্ষেত্রে বার কাম্য নয়। ডান্স বার তো নয়ই। প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক ৷" বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি। কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"